ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

কোন্্ পথে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট

প্রকাশিত: ০৫:৪৫, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

কোন্্ পথে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অগ্রাধিকার খাতে যৌথ সহযোগিতার অঙ্গীকারে শেষ হলো সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের তৃতীয় শীর্ষ সম্মেলন। বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের (বিডিএফ-২০১৮) এ সম্মেলন শেষে বিদেশী সহযোগীরা বলেছেন, আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রে বাংলাদেশ সাম্প্রতিককালে অভাবনীয় উন্নতি করেছে। তারা এ উন্নতি ধরে রাখতে ও উন্নয়ন গতিকে আরও এগিয়ে নিতে বাংলাদেশের পাশে থাকবেন। তারা মনে করেন, নারীর পূর্ণ অংশগ্রহণ বাংলাদেশের অর্থনীতিকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যাবে। এজন্য দেশের অর্ধেক এ জনগোষ্ঠীর ক্ষমতায়ন নিশ্চিত করা প্রয়োজন। আর সরকার বলেছে, সবাইকে নিয়েই টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট (এসডিজি) অর্জন করতে হবে। এজন্য আগামী ১৩ বছরে অতিরিক্ত ৯২৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন। সরকারের প্রত্যাশা, এই অর্থায়নের ক্ষেত্রে উন্নয়ন সহযোগীরা অগ্রণী ভূমিকা পালন করবেন। তবে এসডিজি বাস্তবায়নে দাতাদের কাছ থেকে সুনির্দিষ্ট কোন প্রতিশ্রুতি আসেনি। বৃহস্পতিবার বিকেলে রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁওয়ে বিডিএফ’এর সমপানী অধিবেশনে সরকার ও উন্নয়ন সহযোগীদের ঘোষণায় এসব বিষয় ওঠে আসে। সমাপনী অধিবেশনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিত। অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সহযোগীদের পক্ষে ইউএসএইড বাংলাদেশের মিশন ডিরেক্টর ও লোকাল কনসালটিভ গ্রুপের কো-চেয়ার জেনিনা জেরুজালেস্কি বিবৃতি দেন। আর সরকারের তরফে অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) সচিব কাজী শফিকুল আজম দুই দিনব্যাপী সম্মেলনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। সমাপনী অনুষ্ঠানে অর্থমন্ত্রী বলেন, এসডিজি বাস্তবায়নে বাড়তি অর্থায়ন সব দেশের জন্যই বড় চ্যালেঞ্জ হবে। তবে অর্থায়নের আশায় বসে থেকে বাংলাদেশ এসডিজি বাস্তবায়নে পিছিয়ে থাকবে না। তিনি বলেন, বাংলাদেশ এখন আর বিদেশী সাহায্যনির্ভর দেশ নয়। তবে বাংলাদেশের উন্নয়নে বিদেশী সহযোগীদের ভূমিকা আছে। আমরা চাই তারা এ সহযোগিতা অব্যাহত রাখুক। অর্থমন্ত্রী বলেন, আগামী মার্চে আমরা আনুষ্ঠানিকভাবে এলডিসি (স্বল্পোন্নত দেশ) থেকে বেরিয়ে যাচ্ছি। এটা আমাদের সাফল্য। পাশপাশি আরও সামনে এগিয়ে যাওয়ার প্রস্তুতিও আমরা নিচ্ছি। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে সহজ শর্তে ঋণ পাওয়া কঠিন হবে। এ অবস্থা মোকাবেলার জন্য বাংলাদেশের প্রস্তুতি আছে কিনা সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে অর্থমন্ত্রী বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে যাওয়া মানেই সহজ শর্তে ঋণের সুযোগ বন্ধ হয়ে যাওয়া নয়। এডজাস্ট (মানিয়ে নেয়া) করার জন্য আমরা ছয় বছর সময় পাব। এলডিসি থেকে বেরিয়ে গেলে কিছু সুবিধা কমবে, এটা স্বাভাবিক। কিন্তু এর বিপরীতে নতুন অনেক সুবিধাও পাওয়া যাবে। ইতিমধ্যে আমরা এ প্রক্রিয়া শুরু করে দিয়েছি। বিশ্বব্যাংকের আইডা তহবিল ছাড়াও আমরা উচ্চ সুদে স্কেল আপ ফ্যাসিলিটির বড় লোন নিচ্ছি। এডিবি ও জাইকার কাছ থেকেও আমরা বড় অঙ্কের লোন নিচ্ছি, যা এলডিসিভুক্ত দেশ নেয় না। তিনি আরও বলেন, দাতারা যে সাহায্য করেছে তাতে আমরা যথেষ্ট লাভবান হয়েছি, আমরা এটাতে আপত্তি করছি না। তবে আমাদের চেয়েও উন্নত দেশকেও আমরা সাহায্য করছি। মালয়েশিয়া, ভুটানের শিক্ষার্থীদেরও বৃত্তি দিচ্ছি। রোহিঙ্গা ইস্যুতে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে মুহিত বলেন, বিষয়টি নিয়ে বিশ্বব্যাংকের কাছে সহযোগিতা চেয়ে আমি চিঠি লিখেছি। কিন্তু সহযোগিতা এখনই নিচ্ছি না। তাদের বাসস্থানের জন্য ভাসানচরে আমরা নিজেরাই বিনিয়োগ করছি। নিজেরাই সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছি। উনাদের (বিশ্বব্যাংক) বলেছি আপনারা একটু অপেক্ষা করেন। শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধাসহ সামনে আরও কিছু চ্যালেঞ্জ অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ আগামী মার্চ মাসে স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পাচ্ছে বাংলাদেশ। স্বল্পোন্নত (এলডিসি) থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত তিনটি মানদ- যথা- মাথাপিছু জিএনআই, মানবসম্পদ সূচক এবং অর্থনৈতিক সঙ্কট সূচকের মান ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। তবে এই সুখবরের সঙ্গে শুল্কমুক্ত বাণিজ্য সুবিধাসহ আরও বেশ কিছু চ্যালেঞ্জ রয়েছে বাংলাদেশের। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার সক্ষমতাও বাংলাদেশের রয়েছে। বরং উন্নয়নশীল দেশে রূপান্তর হলে বিশ্বে সুনামের পাশাপাশি বিনিয়োগ, বাণিজ্যে নতুন কিছু সুবিধাও পাওয়া যাবে। বিনিয়োগে বিদেশীদের আস্থা বাড়বে। বহির্বিশ্বে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি আরও উজ্জ¦ল হবে। বৃহস্পতিবার রাজধানীর সোনারগাঁ হোটেলে বাংলাদেশ অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের (ইআরডি) উদ্যোগে দু’দিনব্যাপী অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ উন্নয়ন ফোরামের ‘এলডিসি অর্জনের চ্যালেঞ্জ ও সুবিধাসমূহ’ শীর্ষক সেমিনারে বক্তারা এসব কথা বলেন। আলোচনায় অংশ নেন প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, ইআরডি সচিব কাজী শফিকুল আযম, বিশ্ব ব্যাংকের ঢাকা অফিসের লিড ইকোনোমিস্ট ড. জাহিদ হোসেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোঃ শাহারিয়ার আলম, বাণিজ্য সচিব শুভাশিষ বসু ও অর্থনীতিবিদ ড. আহসান এইচ মুনসুর প্রমুখ। আলোচনায় অংশ নিয়ে কাজী শফিকুল আযম বলেন, উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা লাভের পর যেসব সমস্যা ও তৈরি হবে তা কাটিয়ে উঠতে একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠন করা হচ্ছে। তিনি বলেন, আগামী মার্চ মাসে জাতিসংঘের ত্রি-বার্ষিক সভায় বাংলাদেশের এলডিসি থেকে উত্তরণের একটি আনুষ্ঠানিক প্রস্তাব উত্থাপিত হবে। ওই সভায় বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণে প্রথম পর্যায়ের সুপারিশ লাভ করবে। তিনি জানান, স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে বাংলাদেশ উন্নয়ন দেশগুলো থেকে আন্তর্জাতিক বাণিজ্য সুবিধাসহ নমনীয় হারে উন্নয়ন সহায়তা পেয়ে আসছে। এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উত্তরণ হলে বাংলাদেশের অনুকূলে এসব বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহায়তা পর্যায়ক্রমে হ্রাস পাবে এবং বাংলাদেশকে বৈশ্বিক প্রতিযোগিতার সম্মুখীন হতে হবে। তবে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের ফলে সম্ভাব্য প্রতিকূলতা ও উত্তরণের ক্রান্তিকাল যাতে মসৃণ হয় উন্নয়ন পরিকল্পনা, উন্নয়ন কর্মসূচী এবং প্রকল্পগুলো বাস্তবায়নে যাতে কোন ব্যাঘাত সৃষ্টি না হয় এজন্য এখন থেকে কার্যক্ষেত্রে নিবিড় সম্পৃক্ততা বজায় রাখা জরুরী হয়ে পড়ছে। উন্নয়নশীল দেশের ধারবাহিকতায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ এলডিসি স্ট্যাটাস থেকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে উত্তরণের ক্ষেত্রে জাতিসংঘ কর্তৃক নির্ধারিত নির্ণায়ক তিনটি সূচকের মান ইতোমধ্যে অর্জিত হয়েছে। তিনি বলেন, সরকার সব ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় প্রস্তুতি নিয়েছে। আশা করছি, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশে উত্তীর্ণ হওয়ার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সব ধরনের সক্ষমতা অর্জন করবে। আলোচনায় অংশ নিয়ে ড. জাহিদ হোসেন বলেন, আগামী মার্চে বাংলাদেশ এলডিসি থেকে উত্তরণের প্রথম স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছে। বাংলাদেশের অগ্রগতি যেভাবে আছে, তার কোন বড় ধরনের ব্যত্যয় না ঘটলে ২০২৪ সালে বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের কাতারে শামিল হবে। এটি যেমন মর্যাদার তেমনি এর সঙ্গে বেশকিছু অর্থনৈতিক চ্যালেঞ্জ যুক্ত হবে। দেখার বিষয়, সেই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বাংলাদেশ কতটা দক্ষতার পরিচয় দিতে সক্ষম হবে। তিনি বলেন, উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পর বাংলাদেশ এলডিসি হিসেবে বাণিজ্যে যে অগ্রাধিকার সুবিধা পায় তার সবটুকু পাবে না। আবার বৈদেশিক ঋণে কম সুদ ও নমনীয় শর্তও সীমিত হয়ে আসবে। তবে এটা ঠিক, বড় বিষয় মর্যাদার। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে, এটি তারই আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। এই স্বীকৃতি অর্জনের পর আন্তর্জাতিক ফোরামে তখন বাংলাদেশকে আলাদাভাবে দেখতে হবে, এ দেশের দরকষাকষির ক্ষমতা বাড়বে। বিদেশী বিনিয়োগ বৃদ্ধিরও সম্ভাবনা রয়েছে। ড. মশিউর রহমান রহমান বলেন, বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটি তারই স্বীকৃতি হবে। উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার পরও রফতানিতে এখন যেসব বাণিজ্য সুবিধা রয়েছে তা বহাল রাখতে কৌশল নেয়া হবে। সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় সবকিছু করা হবে। তিনি বলেন, এলডিসি থেকে বেরিয়ে আসা যে কোন দেশের জন্য গর্বের। উন্নয়নশীল দেশের জন্য যেসব সুযোগ-সুবিধা বিশ্বে বহাল রয়েছে তার পুরোটাই গ্রহণ করতে হবে। এটাও এক ধরনের চ্যালেঞ্জ। বাণিজ্যসচিব শুভাশিষ বসু বলেন, আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে চ্যালেঞ্জসমূহ মোকাবেলা করা হবে। সরকারের পক্ষ থেকে করণীয় নির্ধারণে কাজ শুরু করা হয়েছে। এটা নিয়ে উদ্বিগ্ন হওয়ার কিছু নেই। ড. আহসান এইচ মুনসুর বলেন, এ বছরে উন্নয়নশীল দেশ হওয়ার যোগ্যতা অর্জনের স্বীকৃতি অনেক ইতিবাচক খবর। এতে বাংলাদেশের ভাবমূর্তি বাড়বে। বিদেশী বিনিয়োগ বাড়বে। আরও বেশি হারে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির পথ সুগম হবে। তবে উত্তরণের সব পর্যায়েই কিছু চ্যালেঞ্জ থাকে। এগুলোর মুখোমুখি হওয়ার প্রস্তুতি দ্রুত নিতে হবে। তিনি বলেন, ইউরোপীয় ইউনিয়নে জিএসপি সুবিধা থাকবে না। উন্নয়নশীল দেশগুলো ইইউতে জিএসপি প্লাস সুবিধা পায়। বাংলাদেশকে এ জন্য প্রস্তুতি নিতে হবে। পরিকল্পিতভাবে নগর ও শহর গড়ে তুলতে হবে স্টাফ রিপোর্টার ॥ অফুরন্ত সম্ভাবনার দেশ বাংলাদেশ। তাই এদেশের নগর এলাকার স্থায়ী উন্নয়নে পরিকল্পিত নগর তৈরি ও গৃহীত পরিকল্পনা সঠিক সময়ে সঠিকভাবে বাস্তবায়নের মাধ্যমেই কেবল নগরে বসবাসরত নাগরিকদের জীবনমান উন্নয়ন সম্ভব। এজন্য নির্দিষ্ট সময়ে বাস্তবসম্মত পরিকল্পনা গ্রহণের পাশপাশি সময়মতো তা বাস্তবায়নে মনযোগ দিতে হবে। এজন্য সরকারের পাশাপাশি এনজিও ও ব্যক্তি খাতকে এগিয়ে আসতে হবে। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে ঢাকা ও তার আশপাশের নবসৃষ্ট শহরকে পরিকল্পিতভাবে গড়ে তুলতে হবে বলে মতামত দিয়েছেন নগর বিশেষজ্ঞরা। বৃহস্পতিবার রাজধানীর হোটেল সোনারগাঁয়ে বাংলাদেশ ডেভেলপমেন্ট সম্মেলনে ‘ইমপ্রুভিং আরবান সার্ভিস ডেলিভারি ফর সাসটেইনেবল ডেভেলপমেন্ট’ শীর্ষক আলোচনা সভায় দেশের ও বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে আগত নগর বিশেষজ্ঞরা এসব মতামত তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে শতাধিক নগর বিশেষজ্ঞ ও সংশ্লিষ্ট সরকারী বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের প্রধানগণ ও আন্তর্জাতিক সংস্থার প্রতিনিধিগণ উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ইনভেস্টমেন্ট ডেভেল্পমেন্ট অথরিটির (বিডা) নির্বাহী চেয়ারম্যান কাজী এম আমিনুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে কিনোট পেপার উপস্থাপন করেন স্থানীয় সরকার পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব (মহাপরিচালক এমআইই ইউনিট) এ এস এম মাহবুব আলম। অনুষ্ঠানে প্যানেল সদস্যরাও তাদের মতামত তুলে ধরেন। বক্তারা বলেন, আরবান এলাকার সঠিক ও স্থায়ী উন্নয়নে এ সংশ্লিষ্ট যে কোন প্রকার সিদ্ধান্ত বাস্তবায়নে অতি দ্রুত সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে হবে। নাগরিকদের কথা চিন্তা করে দীর্ঘস্থায়ী ও পরিকল্পনা গ্রহণ করতে হবে। এজন্য সবাইকে নগরে নতুন করে আসা নাগরিকদের সুবিধার কথা ভাবতে হবে। নগরে যারা নতুন আসে তাদের বাধা দেয়া যাবে না এবং তাদের আসতেও দেয়া যাবে না। এজন্য গ্রামেই বা প্রত্যন্ত অঞ্চলে কর্মসংস্থান বাড়াতে হবে। বিশেষজ্ঞরা বলেন, রাজধানী ঢাকা অতি অপরিকল্পিত একটি শহর। এটিকে অবশ্যই দীর্ঘস্থায়ী পরিকল্পনায় এনে সকল প্রকল্প সঠিকভাবে কঠোর হয়ে বাস্তবায়ন করতে হবে। এজন্য নির্বাচিত প্রতিনিধিদের বিষয়টি গুরুত্ব অনুধাবণ করতে হবে। নগরে বসবাসরত নাগরিকদের প্রয়োজনীয় সেবার মান আরও কিভাবে বাড়ানো যায় তা স্থায়ীয়ভাবে সেবার মান ধরে রাখা যায় তার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে। আরবান সেন্টারগুলোতে জনশক্তি বাড়াতে হবে ও কর্মসংস্থান বৃদ্ধিতে কাজ করতে হবে। নগর এলাকায় অবস্থিত আবাসিক ও শিল্প প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নে ও এতে কর্মরতদের সুবিধার কথাও ভাবতে হবে। পৌর এলাকায় অবস্থিত সকল সেবা সংস্থার মাঝে বর্তমানে তেমন কোন সমন্বয় নেই। তাই উন্নয়ন কর্মকা-ে সমন্বয় করা অতি জরুরী। ঢাকা সম্পর্কে বক্তারা বলেন, রাজধানী হওয়া সত্ত্বেও ঢাকার উন্নয়নে কোন দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নেই। বর্তমানে ঢাকায় ১০ মিনিটের হাঁটার পথ কখনও কখনও গাড়িতে করে ২ ঘণ্টায় পার হতে হয়। যত্রতত্র স্থাপনা তৈরি করা হচ্ছে। এছাড়া ঢাকার সঙ্গে নতুন যুক্ত হওয়া ৩৬টি ইউনিয়নের উন্নয়নে এখনই বিশেষভাবে মনযোগ দিতে হবে। অন্যথায় ভবিষ্যতে তা বড় সমস্যার সৃষ্টি করবে।
×