ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সাত বছরেও চূড়ান্ত হয়নি সংশোধিত কোম্পানি আইনের খসড়া

প্রকাশিত: ০৪:২১, ১৯ জানুয়ারি ২০১৮

সাত বছরেও চূড়ান্ত হয়নি সংশোধিত কোম্পানি আইনের খসড়া

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ সাত বছরেও চূড়ান্ত হয়নি প্রস্তাবিত নতুন কোম্পানি আইনের খসড়া। বছরের পর বছর সভা হলেও নানা জটিলতায় আলোর মুখ দেখছে না আইনটি। ফলে একাধিক কোম্পানি একীভূত করা বা বার্ষিক সাধারণ সভার সময় বাড়ানোর আবেদনসহ ছোটখাটো কারণেও যেতে হয় আদালতে। এ অবস্থায় গুরুত্বপূর্ণ ধারাগুলো সংশোধন করে আইনটি দ্রুত যুগোপযোগী করার দাবি ব্যবসায়ীদের। যৌথ মূলধন কোম্পানি ও ফার্মসসমূহের নিবন্ধকের আশ্বাস, দু’এক মাসের মধ্যেই চূড়ান্ত হবে নতুন কোম্পানি আইন। ব্যবসা-বাণিজ্য প্রসারের সঙ্গে পরিবর্তন এসেছে কোম্পানি পরিচালনার ধ্যান ধারণাতেও। কিন্তু কোম্পানি আইন-১৯৯৪’ এ নানা সীমাবদ্ধতার কারণে কোম্পানি গঠন ও পরিচালনায় নানা সমস্যায় পড়তে হচ্ছে উদ্যোক্তাদের। বর্তমান আইনে একাধিক কোম্পানি একীভূত করা কিংবা বিলুপ্তির জন্য যেতে হয়ে আদালতে। বিদেশী কিংবা মাইনরিটি শেয়ার হোল্ডারদের, শেয়ার ক্রয়-বিক্রয়েও পড়তে হয় জটিলতায়। এমনকি রিটার্ন দাখিলে দেরির জন্য মালিকদের ফৌজদারি মামলায় কারাগারে পাঠানোরও বিধান রয়েছে। এসব হয়রানি বন্ধে ২০১১ সালে সরকার কোম্পানি আইন সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু করলেও চূড়ান্ত হয়নি এখনও। এমসিসিআইর সভাপতি নিহাদ কবির বলেন, কিছু জায়গায় সংশোধন করলে আমাদের প্রয়োজন মিটে যেতে পারে। অনেক দশেই কোম্পানি নিজের শেয়ার কিনে নিতে পারলেও আমাদের দশে সেই সুযোগ নেই। এফবিসিসিআইর সাবেক সভাপতি একে আজাদ বলেন, একাধিক জয়েন্ট স্টক কোম্পানির জন্য রিটার্ন ও ইনকাম ট্যাক্স আলাদা দিতে হয়। আর এটা একীভূত করতে হলে হাইকোর্টের অনুমোদন নিতে গিয়ে অনেকটা সময় কেটে যায়। বর্তমান আইনে ক্ষুদ্র বিনিয়োগকারীদের স্বার্থ সুরক্ষা হচ্ছে না দাবি করে, বিনিয়োগ বাড়াতে এক ব্যক্তির কোম্পানি গঠনের বিধান রাখা, কোম্পানির নিবন্ধনসহ ফি কমানোসহ ৫০টি ধারা সংশোধনের পরামর্শ দিয়েছে বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা)। যৌথ মূলধন কোম্পানি নিবন্ধকের দাবি, চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে নতুন আইনের খসড়া। অনুমোদনের জন্য আগামী মাসেই পাঠানো হবে আইন মন্ত্রণালয়ে। রেজিস্টার অব জয়েন্ট স্টক কোম্পানির নিবন্ধক মোশাররফ হোসেন বলেন, ব্যবসায়ীদের মতামতকে আমলে নেয়া হয়েছে। ২৪ তারিখে বিসিসিআইয়ের সঙ্গে সভা শেষে ফেব্রুয়ারি মাসেই কেবিনেটের অনুমতির জন্য এটি আইন মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হবে। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, প্রস্তাবিত আইনেও বেশকিছু অপ্রয়োজনীয় ধারা ও অসঙ্গতি রয়েছে। সেগুলো বাদ দেয়ার পরামর্শ তাদের।
×