ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

বরিশালের কারা সুপারসহ তিনজনকে হাইকোর্টে তলব

প্রকাশিত: ২৩:৫২, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

বরিশালের কারা সুপারসহ তিনজনকে হাইকোর্টে তলব

স্টাফ রিপোর্টার, বরিশাল ॥ কারারক্ষীর দায়ের করা আপিলে বরিশাল কেন্দ্রীয় কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আজিজুল হকসহ তিনজনকে শোকজ করেছে হাইকোর্ট। কেন তাদের বিরুদ্ধে দাখিলকৃত অভিযোগটি মামলা হিসেবে নেয়া হবেনা তার ব্যাখা চাওয়া হয়েছে। একই সাথে বরিশালের নারী শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে দায়েরকৃত অভিযোগের নথিপত্রও তলব করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে বিষয়টি নিশ্চিত করে জুডিশিয়াল বেঞ্চ সহকারী মোঃ ইলিয়াস বালী জানান, সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আজিজুল হকসহ তিন বিবাদীর বিরুদ্ধে হাইকোর্টের জারিকৃত নোটিশ বুধবার বরিশাল আদালতে এসে পৌছেছে। তিনি আরও জানান, গত ১৩ নভেম্বর হাইকোর্টের বিচারপতি মোঃ রেজাউল হক এবং বিচারপতি মোঃ খোরশেদ আলম সরকারের বেঞ্চে উল্লেখিত আদেশ প্রদান করা হয়। সূত্রমতে, বাদী শাম্মী আক্তার ২০০১ সালে নারী কারারক্ষী হিসেবে চাকরিতে যোগদান করেন। গত বছরের ১২ জানুয়ারি ঢাকা থেকে তিনি বদলি হয়ে বরিশালে আসার পর তার ওপর সিনিয়র জেল সুপার আজিজুল হকের কুদৃষ্টি পরে। ১৫ জানুয়ারি শাম্মী আক্তারকে ঝালকাঠি কারাগারে পোস্টিং দেয়ার পরেও আজিজুল হক ১৯ ফেব্রুয়ারি তাকে প্রেষণে বরিশাল নিয়ে আসেন। শাম্মী আক্তারকে কারাগারে দায়িত্ব না দিয়ে নিজের কক্ষের পাশে বন্দি স্লিপ দেয়ার জন্য পোস্টিং দেন আজিজুল হক। এরপর বিভিন্ন সময় কাজের অজুহাতে শাম্মীকে তার রুমে ডেকে কু-প্রস্তাব দেয়া শুরু করেন। পওে যৌণ নিপীড়নসহ তার সকল কথা না মেনে চললে অন্যত্র বদলি এমনকি চাকরিচ্যুত করারও হুমকি দেয়া হয়। গত ১৮ অক্টোবর রাতে কারারক্ষী নিজাম ও শেখ ফরিদ শাম্মীকে সিনিয়র জেল সুপারের বাসভবনে যাওয়ার জন্য বলেন। একপর্যায়ে জোরপূর্বক তাকে সেখানে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে ওই দুইজনের পাহারায় জেল সুপার আজিজুল হক তাকে (শাম্মি) ধর্ষণের চেষ্টা করেন। চাকরী হারানোর ভয়ে প্রাথমিক পর্যায়ে কারারক্ষী শাম্মি মুখ বুঝে থাকলেও আজিজুল হকের অব্যাহত হুমকির মুখে গত ১৩ নভেম্বর বরিশালের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে একটি নালিশি মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সিনিয়র জেল সুপার আজিজুল হক ছাড়াও তার সহযোগী কারারক্ষী নিজাম ও শেখ ফরিদকে বিবাদী করা হয়। তবে আদালতের ভারপ্রাপ্ত বিচারক সুদিপ্ত দাস মামলাটি খারিজ করে দেন। বরিশাল আদালত থেকে মামলাটি খারিজ করার পরপরই বাদি শাম্মি আক্তার তার ওপর জোর জুলুমের বিচার চেয়ে হাইকোর্টে একটি আপীল করেন।
×