ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংস্কৃতি সংবাদ

অমিয় ভালবাসার নিবেদনে আনিসুল হককে স্মরণ

প্রকাশিত: ০৬:০৩, ১৮ জানুয়ারি ২০১৮

অমিয় ভালবাসার নিবেদনে আনিসুল হককে স্মরণ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ গানে আর কথায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের প্রয়াত মেয়র আনিসুল হককে স্মরণ করেছে শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশন। বুধবার সন্ধ্যায় বাংলা একাডেমির আবদুল করিম সাহিত্যবিশারদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয় এই স্মরণানুষ্ঠান। ইমেরিটাস প্রফেসর ড. আনিসুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আনিসুল হকের জীবন ও কর্মের উপর আলোকপাত করে বক্তব্য রাখেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেন, জাদুশিল্পী জুয়েল আইচ, নাট্যব্যক্তিত্ব নাসির উদ্দিন ইউসুফ প্রমুখ। অনুষ্ঠানের শুরুতেই আনিসুল হক ও সদ্যপ্রয়াত কণ্ঠশিল্পী শাম্মী আখতারসহ প্রয়াতদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনে এক মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর শিল্পী বুলবুল ইসলাম পরিবেশন করেন রবীন্দ্রসঙ্গীত ‘তুমি রবে নীরবে হৃদয়ে মম’। পরে শিল্পী খায়রুল আনাম শাকিল পরিবেশন করেন নজরুলসঙ্গীত ‘মৃত্যু নাই-নাই দুঃখ আছে শুধু প্রাণ’ এবং শিল্পী শারমিন সাথী ইসলাম পরিবেশন করেন ‘সবারে বাসরে ভালো নইলে মনে কারো ঘুচবে নারে’। আলোচনার শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন শিল্পীর পাশে ফাউন্ডেশনের মহাসচিব ওমর সাহাদাৎ। সর্ববঙ্গীয় লেখক-শিল্পী সম্মেলন শুরু ॥ ঢাকায় শুরু হলো সর্ববঙ্গীয় লেখক-শিল্পী সম্মেলন। বাংলাদেশ, ভারতের পশ্চিমবঙ্গসহ বাংলা ভাষী অঞ্চলের লেখক-শিল্পীদের নিয়ে ঢাকায় শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী এ সম্মেলন। এতে বাংলার কথাসাহিত্য, অনুবাদ, মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক সমকালীন সাহিত্য, সাহিত্য-সংস্কৃতিতে প্রযুক্তির প্রভাব নিয়ে সম্মেলনে আলোচনা করবেন দুই দেশের লেখক ও শিল্পীরা। আয়োজনটি করেছে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ। বুধবার সকালে রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালায় সম্মেলনের উদ্বোধন করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। সর্ববঙ্গীয় লেখক-শিল্পী সম্মেলনের সভাপতি কথাসাহিত্যিক সেলিনা হোসেনের সভাপতিত্বে এ সভায় অংশ নেন বাংলাদেশের কবি আজিজুর রহমান, ভারতের রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক ঋত্বিক ব্যানার্জী, পশ্চিমবঙ্গের নাট্যনির্দেশক শৈবাল কুমার ঘোষসহ বেশকজন কবি, কথাসাহিত্যিক। সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামন নূর বলেন, বাংলা ভাষাভাষী দুটি দেশের বন্ধন একসূত্রে গেথেছে আমাদের মৃত্তিকালগ্ন সংস্কৃতি। সেই সংস্কৃতি চর্চার মাধ্যমেই আমাদের মানবিক জীবনবোধের একটি সমাজব্যবস্থা গড়ে তুলতে হবে। সংস্কৃতিচর্চার মাধ্যমে উগ্রবাদ রুখে দেয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, মঞ্চের সংস্কৃতিকর্মীরা প্রায়সই বলেন, নিজের খেয়ে আমরা বনের মোষ তাড়াই। নিজের পকেটের পয়সা খরচ করে তারা সংস্কৃতিচর্চা করছেন। এখন সেই বনের মোষ তাড়াতে না পারলে তা বাংলাদেশ নামের সাজানো ফুলের বাগানটি একদিন তছনছ করে দিয়ে যাবে। ঋত্বিক ব্যানার্জী বলেন, সর্ববঙ্গীয় লেখক শিল্পী সম্মেলনের মতো বড় আয়োজন বর্তমানে খুব কমই হচ্ছে। বাংলাদেশে এ ধরনের চর্চা চালু আছে এবং তা নিয়মিত দেখে ভাল লাগছে। সেলিনা হোসেন বলেন, পারস্পরিক মৈত্রী, শান্তি প্রতিষ্ঠা এবং বাংলা সাহিত্য-সংস্কৃতির মিলন সেতুবন্ধনে অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই সম্মেলন। বাংলাভাষী লেখক-শিল্পীদের একটি বৃহৎ প্ল্যাটফর্ম গড়ে তোলার পাশাপাশি অভিন্ন যোগাযোগ ও মতবিনিময়ের স্থান হিসেবে বিবেচিত হবে এই সম্মেলন। উদ্বোধনী আসরে বৃন্দ নৃত্য পরিবেশন করে নটরাজ ও ভারত থেকে আগত একটি দল। গৌড়ীয় নৃত্য পরিবেশন করেন র‌্যাচাল প্রিয়াঙ্কা প্যারিস। উদ্বোধনী আসরের পর জাতীয় নাট্যশালার সেমিনার কক্ষে আয়োজিত হয় কথা সাহিত্য, রবীন্দ্র সাহিত্যে বিশ্বায়ন শিরোনামের দুটি সেমিনার। একই দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনে অনুষ্ঠিত হয়েছে কবিতা পাঠ ও আবৃত্তির আসর। সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে অনুরাগ থিয়েটার মঞ্চস্থ করে ‘গ্রাস’ নাটকটি। আজ বৃহস্পতিবার সম্মেলনের দ্বিতীয় দিন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনে অনুষ্ঠিত হবে ‘অনুবাদ-সাহিত্য, মুক্তিযুদ্ধ ও সমকালীন সাহিত্য’ সেমিনার। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে সঙ্গীত উৎসব শুরু হচ্ছে ২৬ জানুয়ারি ॥ ঐতিহ্যের সঙ্গে আধুনিকতার সম্মিলিত চর্চায় বাংলা গানের সোনালি সময়কে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গীত বিভাগের আয়োজনে শুরু হতে যাচ্ছে দুই দিনব্যাপী সঙ্গীত উৎসব। আগামী ২৬ জানুয়ারি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল চত্বরে এই উৎসবটি উদ্বোধন করবেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক আখতারুজ্জামান। এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সঙ্গীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পরিবেশনায় থাকছে মূলধারার বাংলা গান। এতে থাকছে উচ্চাঙ্গসঙ্গীত, রবীন্দ্রসঙ্গীত, নজরুলগীতি, লোকসঙ্গীত, আধুনিক ও চলচ্চিত্রের গানের পরিবেশনরা। আরও থাকবে যন্ত্রসঙ্গীত পরিবেশনা। উদ্বোধনী আসরে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন সুবীর নন্দী ও খুরশীদ আলম।
×