ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

নাইট উপাধি না পেয়েও আমি সম্মান বোধ করি, কারণ আমি আমার নীল রঙের ব্রিটিশ পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছি

ব্রেক্সিটপন্থী হওয়ায় নাইট উপাধি থেকে বঞ্চিত -নাইজেল ফারাজ

প্রকাশিত: ০৬:৫৩, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

ব্রেক্সিটপন্থী হওয়ায় নাইট উপাধি থেকে বঞ্চিত -নাইজেল ফারাজ

ব্রিটেনের ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির সাবেক নেতা ও কট্টর ব্রেক্সিটপন্থী আন্দোলনকারী নাইজেল ফারাজ বলেছেন, তিনি ২০১৬ সালে ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিপক্ষে থাকায় তাকে নাইট উপাধি থেকে বঞ্চিত করা হয়েছে। টেলিগ্রাফ পত্রিকাকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে তিনি বলেন, অনেকেই ক্যালগেরি বোর্ড অব এ্যাডুকেশন-সিবিই পদবি, কেউ বা নাইট উপাধি পেয়েছে- কিন্তু আমি তা থেকে বঞ্চিত হয়েছি-ব্রেক্সিপন্থী হওয়ার জন্য। আমি ব্রেক্সমাস (ব্রেক্সিট + ক্রিসমাস) নামে পরিচিত হয়েছি কিন্তু আমি তাতেই খুশি। গত বছরে ইংরেজী নববর্ষের সূচনাকালে যখন রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের সম্মানজনক উপাধি দেয়া হয়, তখন ইন্ডিপেন্ডেন্ট পার্টির সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য ডগলাস্ কার্সওয়েল ফারাজের নাম সম্ভাব্য পদকপ্রাপ্তদের তালিকা থেকে বাদ দিয়েছিলেন বলে প্রকাশিত এক খবরের প্রতিক্রিয়ায় নাইজেল ফারাজে এ কথা বলেন। ফারাজ বলেন, নাইট উপাধি না পেয়েও আমি সম্মান বোধ করি, কারণ আমি আমার নীল রঙের ব্রিটিশ পাসপোর্ট ফিরে পেয়েছি। ফারাজে বলেন যে, তিনি উগ্র ডানপন্থীদের ঠেকাতে ডগলাস কার্সওয়েলের চেয়ে বেশি কাজ করেছেন। অন্যদিকে কার্সওয়েল নাইজেলকে উপহাস করে বলেন, তাকে বড়জোর পত্রিকার শিরোনাম লেখক হিসেবে একটি পুরস্কার দেয়া যেতে পারে। জবাবে নাইজেল বলেন, কার্সওয়েল ঈর্ষাকাতর হয়ে আমাকে কষ্ট দেয়ার জন্য এ ধরনের কথা বলছেন। ইন্ডিপেডেন্ট পার্টির সাবেক নেতা লর্র্ড পিয়ারসন গত বছরের ব্রেক্সিট সংক্রান্ত গণভোটের পর নাইজেলকে লর্ড পদবি দেয়ার লক্ষ্যে এক উদ্যোগ গ্রহণ করেন। কিন্তু লর্ড হতে গেলে ফারাজেকে মেম্বার অব ইউরোপিয়ান পার্লামেন্ট (এমইপি) পদ থেকে সরে যেতে হবে-এটি জানার পর এই উদ্যোগ বাতিল করা হয়। উল্লেখ্য, ৫৩ বছর বয়সী ব্রিটিশ রাজনীতিক ফারাজ এক ঘোর অভিবাসী বিরোধী। তার দাদা একজন জার্মান অভিবাসী হিসেবে ব্রিটেনে গিয়েছিলেন। ডোনাল্ড ট্রাম্প যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর প্রধানমন্ত্রী টেরেসা মের আগে তিনিই তাকে প্রথম অভিনন্দর জানান। ইউরোপীয় পার্লামেন্টে ইউনিয়ন বিরোধী বক্তৃতা দিয়ে তিনি বিভিন্ন সময় আলোচনায় আসেন। ইউরোপীয় দেশগুলোর একক মুদ্রা ইউরোরও তিনি একজন কট্টরবিরোধী। তিনটি ভিন্ন মেয়াদে তিনি ইউকিপ দলের নেতা ছিলেন। সর্বশেষ ২০১৬ সালের ২৮ নবেম্বর ওই পদ থেকে ইস্তফা দেন।
×