ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৯ মার্চ ২০২৪, ৫ চৈত্র ১৪৩০

সেরা অর্জনটাই প্রত্যাশা ম্যাথুসের

প্রকাশিত: ০৬:৩৬, ১৭ জানুয়ারি ২০১৮

সেরা অর্জনটাই প্রত্যাশা ম্যাথুসের

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ বাংলাদেশের মাটিতে সবচেয়ে সুখকর স্মৃতি ছিল শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের ২০১৪ সালের সফর। সেবার তারা বাংলাদেশের মাটিতে টি২০ বিশ্বকাপ জিতেছিল প্রথমবারের মতো, এশিয়া কাপে চ্যাম্পিয়ন এবং বাংলাদেশের বিরুদ্ধে দ্বিপাক্ষিক সিরিজে শতভাগ জয় তুলে নিয়েছিল। সেই দলটি গত বছর সাম্প্রতিক সময়ের মধ্যে সবচেয়ে বাজে কাটিয়েছে। এমনকি ঘরের মাঠে দুর্বলতর দল জিম্বাবুইয়ের কাছে ঘরের মাঠেও ওয়ানডে সিরিজ খুইয়েছিল শ্রীলঙ্কা। আক্ষেপে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন এ্যাঞ্জেলো ম্যাথুস। কিন্তু নতুন বছরের শুরুতে এখন নতুন কোচ চন্দিকা হাতুরাসিংহের অধীনে একেবারে নতুনভাবে ভাল শুরু করতে চান নেতৃত্বে ফেরা এ অলরাউন্ডার। ত্রিদেশীয় সিরিজে আজই প্রথম তারা নামছে, প্রতিপক্ষ সেই জিম্বাবুইয়ে। তাদের ভয়ঙ্কর দল হিসেবে বিবেচনা করে টুর্নামেন্টে সবগুলো দলকেই সমমানের বলে দাবি করেন ম্যাথুস। তবে অতীত ভুলে গিয়ে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার মাধ্যমে সেরা কিছু অর্জনের জন্যই লড়াইয়ের ঘোষণা দিলেন তিনি। ম্যাথুস গত বছর জুলাইয়ে জিম্বাবুইয়ের কাছে ওয়ানডে সিরিজে ৩-২ ব্যবধানে ঘরের মাটিতে হারার আক্ষেপে অধিনায়কত্ব ছেড়ে দিয়েছিলেন। এবার কোচ হাতুরাসিংহের পছন্দেই নতুন করে ফিরেছেন বিপর্যস্ত লঙ্কানদের নেতৃত্বে। হাতুরাসিংহের অধীনে বেশ ভারমুক্ত ও ফুরফুরে মেজাজেই আছে লঙ্কান ক্রিকেটাররা এমন দাবি ম্যাথুসের। এ বিষয়ে লঙ্কান অধিনায়ক বলেন, ‘এটা আসলে নতুন বছর। আমরা ২০১৭কে পেছনে ফেলে সার্বিকভাবে নতুন শুরু করতে চাই। আমরা খুবই ফুরফুরে ও ভারমুক্ত। আমরা সেরা কিছুর জন্য লড়াই করব। আমরা ভাল ক্রিকেট খেলতে চাই এবং প্রতিটি ম্যাচে উন্নতি করতে চাই। এটাই আমাদের মূল লক্ষ্য। জেতা খুবই জরুরী কিন্তু ২০১৯ সালের জন্য দলগতভাবে গড়ে ওঠা সার্বিক দিক দিয়েই তাকাতে হবে।’ ম্যাথুস যাদের কাছে হেরে নেতৃত্ব ছেড়েছিলেন তাদের বিরুদ্ধেই আবার তার ফিরে আসার পর প্রথম ম্যাচ। ত্রিদেশীয় সিরিজে দুই প্রতিপক্ষ নিয়ে ম্যাথুস বলেন, ‘শ্রীলঙ্কায় অনেক ভাল খেলেছে জিম্বাবুইয়ে। তারা বেশ ভাল দল। নিজের দেশের হয়ে খেলার জন্য কয়েকজন ক্রিকেটার ফিরেছে, তাই এখন তারা আরও শক্তিশালী। এটা অনেক চ্যালেঞ্জের হবে, কিন্তু আমরা সেজন্য প্রস্তুত আছি। উভয় দল সমানভাবেই ভাল। ত্রিদেশীয় এই সিরিজে তিনটি দলই প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ। আমরা কোন দলের বিপক্ষেই নির্ভার থাকতে পারি না। তারা খুবই ভাল এবং শক্তিশালী।’ জয়-পরাজয় খেলারই অংশ এবং যে কোন মুহূর্তে একটি দলের খারাপ সময় আসতে পারে। সেজন্য একটি দল বাজে হয়ে যায় না। আর খারাপ সময়ের মধ্যে থাকা সত্ত্বেও সর্বশেষ ভারত সফরে তারা একটি জয় তুলে নিয়েছিল। এই মুহূর্তে সারাবিশ্বের মধ্যে সবচেয়ে ফর্মের তুঙ্গে আছে ভারতীয় দল। এ বিষয়ে ম্যাথুস বলেন, ‘যখন ভাল করা যাচ্ছে না সে সময় নিজেকে অনুপ্রাণিত করা খুব কঠিন। কিন্তু এটাই আমাদের কাজ। নিজেদের অনুপ্রাণিত করতে হবে। ছেলেরা সকলেই অনুপ্রাণিত। শুধু দুয়েকটি পরাজয় আমাদের বাজে পরিস্থিতির মুখে ফেলতে পারে না।’ মিরপুরে অতীতে অনেক ভাল স্মৃতি আছে লঙ্কানদের। ২০১৪ সালেও দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বেশ কিছু অর্জন এনে দিয়েছিলেন ম্যাথুস। এবারও ভাল কিছু অর্জনের জন্য নিজেদের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টার কথা জানালেন তিনি, ‘আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে আপনি কখনও আত্মতৃপ্তিতে থাকতে পারেন না। তারা এরপরও ভয়ঙ্কর দল হয়ে উঠতে পারে। বাংলাদেশের বিপক্ষে গতকাল হেরেছে বলেই আমরা কোনকিছু সাধারণ চোখে দেখতে পারি না। আমরা মিরপুরে বেশ কিছু ক্রিকেট খেলেছি এবং জিম্বাবুইয়েও তাই। উইকেট কেমন আচরণ করে সে বিষয়ে আমাদের ভাল ধারণা আছে। এই গ্রাউন্ডটা আমাদের জন্য বেশ সুখকর স্মৃতির। বিশেষ করে ২০১৪ সালে ঢাকায় আমাদের বেশ ভাল কেটেছিল। আমরা অনেক প্রিয় স্মৃতি অর্জন করেছি এখানে এবং আরও কিছুর অপেক্ষায় আছি।’
×