ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

দিনাজপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ

প্রকাশিত: ০১:৫৯, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

দিনাজপুরে স্বেচ্ছাশ্রমে সাঁকো নির্মাণ

স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর ॥ দিনাজপুরের চিরিরবন্দর উপজেলার সাতনালা গ্রামের তারকশাহার হাট এলাকার ইছমতি নদীর উপরে স্থানীয় এলাকাবাসীর নিজ উদ্যোগে নির্মাণ করা হয়েছে ২৫০ ফুট বাঁশের সাঁকো। এপারে আলোকডিহি ওপারে সাতনালা। দুই ইউনিয়নের মাঝে ইছামতি নদী। দুই ইউনিয়নের হাজার হাজার মানুষের যোগাযোগে এ নদীই বাধা। এ বাধা দূর করতে গ্রামবাসী নিজেরাই টাকা তুলে স্বেচ্ছাশ্রমে নির্মাণ করেছেন এ বাঁশের সাঁকো। এটি নির্মাণের ফলে দুই ইউনিয়নের পাচঁ গ্রামের প্রায় ১০ হাজার লোক এই সাঁকোর উপর দিয়ে চলাচল করছে। সাঁকোর অভাবে ইতিপূর্বে পাচঁটি গ্রামের মানুষকে প্রায় দুই কিলোমিটার পথ ঘুরে ঘাটেরপাড় কলেজমোড় সেতু দিয়ে চলাচল করতে হতো। অথচ এই দুই ইউনিয়নের সংযোগস্থল পাঁচ মিনিটের পথ বাশেঁর সাঁকো পার হলেই, তারকশাহার হাটসহ আলোকডিহি ইউনিয়ন থেকে সাতনালা ইউনিয়ন পরিষদে সহজেই যাতায়াত করা যায়। সাতনালা ইউপি পরিষদ সূত্রে জানা যায়, এ সাঁকো দিয়ে এলাকার বেকিপুল বাজার, কিষ্টহরি বাজার, চাম্পাতলী বাজার, বিন্যাকুড়ির হাট, তারকশাহার হাট, মডেল স্কুল, ইছামতি ডিগ্রি কলেজ, ইছামতি ফাজিল মাদরাসা, রানীরবন্দর সুইয়ারী বাজারসহ পাঁচ গ্রামের প্রায় দুই হাজার পরিবারের প্রায় ১০ হাজার মানুষ চলাচল করে। প্রতিদিন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, ব্যাংকে লেনদেন, বাজারঘাটসহ প্রতিটি কাজের জন্য চলাচল করতে হয় তাদের। স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণকারী আইনউদ্দিন, হাবিবুর, জাহাঙ্গীর ও নিমাই চন্দ্র বলেন, নিজেদের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ও আর্থিক সহযোগিতায় আমরা ২০ দিন ধরে প্রায় অর্ধশতাধিক মানুষ বাঁশের সাঁকোটি নির্মাণ করেছি। এর ফলে এলাকার মানুষের কিছুটা হলেও দুর্ভোগ লাঘব হবে। ইউপি সদস্য মো. আইজার রহমান জানান, বাঁশের সাঁকো ভেঙে যাওয়ার দীর্ঘ ২০ বছর পরে জনদুর্ভোগ লাঘবে আবার স্থানীয়দের সহায়তা নিয়ে স্বেচ্ছাশ্রমে বাঁশের সাঁকো নির্মাণ করা হয়। তবে নির্মিত এই বাঁশের সাঁকোর জন্য আর্থিক সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন চিরিরবন্দর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ মো: আহসানুল হক মুকুল। সাতনালা ইউপি চেয়ারম্যান মো. ফজলুর রহমান জানান, স্থানীয়দের নিজেদের উদ্যোগেই এই সাঁকোটি নিমার্ণ হয়েছে । ইউনিয়নের পক্ষ থেকে কোনো অর্থায়ন করা সম্ভব হয়নি। কেননা এ খাতে কোনো বরাদ্দ নেই। তিনি এলাকাবাসীকে স্বাগত জানিয়ে এ কাজে প্রেরণা জুগিয়ে আসছেন।
×