ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

‘পিবিআই’য়ের হাতে গ্রেফতার সেই আলাউদ্দিন

প্রকাশিত: ০০:১৭, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

‘পিবিআই’য়ের হাতে গ্রেফতার সেই আলাউদ্দিন

স্টাফ রিপোর্টার ॥ অবশেষে গ্রেফতার হলো সেই প্রতারক আলাউদ্দিন আল আজাদ। যার কাজই ছিল বিয়ে আর টাকার লোভ দেখিয়ে নারীদের ধর্ষণ করা। দীর্ঘ একবছরেরও বেশী সময় আত্মগোপনে থাকার পর অবশেষে পুলিশ বুরো অব ইনভেস্টিগেশনের (পিবিআই) হাতে গ্রেফতার হয়েছে এই প্রতারক ও ধর্ষণকারী। ২০১৬ সালে এক নারীর দায়ের করা মামলায় সে গ্রেফতার হলো। সোমবার বিকেলে ঢাকার গুলশান থানাধীন নিকেতন এলাকা থেকে মো. আলাউদ্দিন আল আজাদ (৩৭) নামের ওই ধর্ষণকারীকে আটক করা হয়। পিবিআইয়ের ঢাকা মেট্রোর অতিরিক্ত বিশেষ পুলিশ সুপার মোঃ বশির আহমেদ জানান, ২০১৪ সালের ৯ মার্চ জান্নাত নামে এক নারীর সঙ্গে আলাউদ্দিনের বিয়ে হয়। পাঁচ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে বিয়ে হলেও আলাউদ্দিন তা অস্বীকার করে। এ ব্যাপারে কাজীকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে তিনি নিকাহনামার প্রকৃত কপি দেখাতে পারেননি। কথিত বিয়ের হলফনামার কপি ওই নারী পুলিশকে দেখায়। ওই কপির জোরেই তারা কথিত স্বামী-স্ত্রী হিসেবে ছিল। এ নিয়ে মামলা চলছিল। ২০১৬ সালের ১৬ জুলাই আনিসুল নামের একজনের বাড়িতে মামলা মোকদ্দমাসহ অন্যান্য বিষয় মীমাংসা হবে বলে এক সালিশী বৈঠক বসে। উভয়পক্ষ মামলা প্রত্যাহার করে নেয়ার বিষয়ে একমত হয়। সেখানে আলাউদ্দিনের সঙ্গে ওই নারীর সঙ্গে ৫ লাখ টাকা কাবিন ধার্য করে বিয়ে হয়। বিয়ের সার্টিফাইড কপি তুলে তা ওই নারীর কাছে হস্তান্তর করার কথা। এরপর যথারীতি স্বামী-স্ত্রী হিসেবে মেলামেশা করে। পরদিন ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হয়। রাতে লঞ্চে একত্রে স্বামী-স্ত্রী হিসেবে রাত কাঁটায়। পরদিন ঢাকায় পৌঁছে আলাউদ্দিন ওই নারীকে নিয়ে মেসে ওঠে। ২০১৬ সালের ২৩ জুলাই ভাটারা থানাধীন বোডঘাট এলাকায় স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে এক বাসায় অবস্থান করে। ২০১৬ সালের ১০ আগষ্ট থেকে আলাউদ্দিন ওই নারীকে ফেলে আত্মগোপনে চলে যায়। এ ব্যাপারে ওই নারী ২০১৬ সালের ৮ অক্টোবর বনানী মডেল থানায় একটি ধর্ষণ মামলা দায়ের করেন। আদালত গত বছরের ১৪ মে মামলাটির তদন্তভার পিবিআইকে দেয়। মামলাটির তদন্তকারী কর্মকর্তা অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ সালাহ্ উদ্দিন তালুকদার দীর্ঘ চেষ্টার পর আলাউদ্দিনের অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার পর তাকে গ্রেফতার করতে সক্ষম হয়। আলাউদ্দিন আল আজাদকে জিজ্ঞাসাবাদ করতে সাত দিনের রিমান্ডের আবেদন করে ঢাকার সিএমএম আদালতে পাঠানো হয়েছে। পিবিআইয়ের এই কর্মকর্তা জানান, আলাউদ্দিন আল আজাদ মূলত প্রতারক ও ধর্ষণকারী। বিভিন্ন সময় নানাভাবে একাধিক মেয়েদেরকে অর্থ ও বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে কৌশলে বাসা ভাড়া নিয়ে তাদের সঙ্গে দৈহিক সম্পর্ক গড়ে তুলেছিল বলে জানা গেছে। আসামীর বিরুদ্ধে ধর্ষণসহ ৭/৮ টি মামলা আছে।
×