ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

প্রথমপর্ব থেকেই ভেনাস-স্টিফেন্স-সিবুলকোভার বিদায়, দ্বিতীয়পর্বে ওজনিয়াকি-ওস্টাপেঙ্কো, সিতলিনা

অঘটনে শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

প্রকাশিত: ০৬:৪২, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

অঘটনে শুরু অস্ট্রেলিয়ান ওপেন

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ অঘটন দিয়েই শুরু হলো অস্ট্রেলিয়ান ওপেন। মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের প্রথম রাউন্ড থেকেই বিদায় নিয়ে মেলবোর্নের দর্শকদের হতাশ করেছেন গতবারের ফাইনালিস্ট ভেনাস উইলিয়ামস এবং ইউএস ওপেনের চ্যাম্পিয়ন স্লোয়ানে স্টিফেন্স। সোমবার তাদের সঙ্গে বিদায় নিয়েছেন স্লোভাকিয়ার ডোমিনিকা সিবুলকোভা, আমেরিকার কোকো ভেন্ডেওয়েঘে, রাশিয়ার একাটেরিনা মাকারোভা এবং অস্ট্রেলিয়ার সামান্থা স্টোসারও। তবে জয় দিয়ে নতুন মৌসুমের প্রথম গ্র্যান্ডস্লাম টুর্নামেন্টের মিশন শুরু করেছেন ক্যারোলিন ওজনিয়াকি, ফ্রেঞ্চ ওপেনের চ্যাম্পিয়ন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো এবং রিও অলিম্পিকের স্বর্ণপদক জয়ী মনিকা পুইগ। গত বছর মেজর কোন শিরোপা জিততে পারেননি ভেনাস উইলিয়ামস। তারপরও মৌসুমের পুরোটা সময়ই কোর্টে আলো ছড়িয়েছেন তিনি। উইম্বলডনের ফাইনাল খেলার আগে অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেরও ফাইনাল খেলেন তিনি। মেলবোর্নে শিরোপা জয়ের লড়াইয়ে ছোট বোন সেরেনা উইলিয়ামসের কাছে পরাজিত হয়ে রানার্সআপ হন তিনি। কিন্তু এবার প্রথম ম্যাচ থেকেই ছিটকে গেলেন তিনি। ভেনাসকে পরাজিত করেছেন হপম্যান কাপে রজার ফেদেরারের সঙ্গে জুটি বেঁধে শিরোপা পাওয়া সুইস তারকা বেলিন্ডা বেনচিচ। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে বেনচিচ এদিন ৬-৩ এবং ৭-৫ গেমে সরাসরি সেটে পরাজিত করেন সাতবারের গ্র্যান্ডস্লাম জয়ী ভেনাসকে। এর ফলে মেলবোর্নে নিজেকে আলাদাভাবে চিনিয়েছেন তিনি। বেনচিচের কাছে হেরে টুর্নামেন্ট থেকে বিদায় নেয়ার ফলে ১৯৯৭ সালের পর প্রথমবারের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের দ্বিতীয় রাউন্ডে উইলিয়ামস বোনদের কেউই খেলছেন না। সন্তান জন্মের কারণে টুর্নামেন্ট থেকে আগেই নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছিলেন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন সেরেনা উইলিয়ামস। টুর্নামেন্টের পঞ্চম বাছাইকে পরাজিত করে দারুণ উচ্ছ্বসিত বেনচিচ। ম্যাচের শেষেই তিনি বলেন, ‘আমি চেয়েছিলাম আরও সহজ কোন প্রতিপক্ষের বিপক্ষে প্রথম রাউন্ডে খেলতে। ছোটবেলায় যখন টেলিভিশনে খেলা দেখতাম কখনই ভাবিনি উইলিয়ামসদের সঙ্গে কখনও লড়াইয়ে নামতে পারব।’ ভেনাস ছাড়াও অস্ট্রেলিয়ান ওপেনের প্রথম রাউন্ড থেকে বিদায় নিয়েছেন আরেক ফেবারিট স্লোয়ানে স্টিফেন্সও। গত বছর অস্ট্রেলিয়ান ও ইউএস ওপেনের সেমিফাইনালিস্ট যুক্তরাষ্ট্রের বিগ-হিটার হিসেবে খ্যাত কোকো ভ্যান্ডেওয়েঘে। হাঙ্গেরির টিমিয়া বাবোসের কাছে ৭-৬ (৭/৪) এবং ৬-২ গেমে পরাজিত হয়ে তিনি বিদায় নেন। সেপ্টেম্বরে ফ্ল্যাশিং মিডোতে জয়ের পর থেকে স্টিফেন্সের হতাশাজনক পারফর্মেন্স বজায় রয়েছে মেলবোর্নেও। চীনের দুই নম্বর খেলোয়াড় ঝ্যাং শুয়াইয়ের কাছে ২-৬, ৭-৬ (৭/২) এবং ৬-২ গেমে পরাজিত হয়ে আবারও সমর্থকদের হতাশ করেছেন আমেরিকার এই ১৩ নম্বর খেলোয়াড়। আট বছর আগে শেষ আটে খেলেছিলেন শুয়াই। নিজের নামের প্রতি সুবিচার করেছেন জেলেনা ওস্টাপেঙ্কো। ইতালিয়ান ফ্র্রান্সেসকা শিয়াভোনের বিপক্ষে ৬-১ এবং ৬-৪ গেমের সরাসরি সেটের সহজ জয় তুলে নিয়ে দ্বিতীয় রাউন্ড নিশ্চিত করেছেন লাটভিয়ার এই টেনিস তারকা। গত বছরটা দুর্দান্ত কেটেছে ক্যারোলিন ওজনিয়াকির। আট টুর্নামেন্টের ফাইনাল খেলেছেন ডেনমার্কের এই টেনিস তারকা। বিশ্ব টেনিস র‌্যাঙ্কিংয়ের সাবেক এই নাম্বার ওয়ান প্রথমপর্বের ম্যাচে ৬-২ এবং ৬-৩ গেমে হারিয়েছেন রোমানিয়ার অখ্যাত মিহায়েলা বুজার্নেস্কোকে। ২০১৬ সালে রিও অলিম্পিকে স্বর্ণপদক জিতে পাদপদ্রীপের আলোয় উঠে এসেছিলেন মনিকা পুইগ। প্রথম রাউন্ডের ম্যাচে তিনি বিদায় করেছেন অস্ট্রেলিয়ার সামান্থা স্টোসারকে। তাও আবার ৪-৬, ৭-৬ এবং ৬-৪ গেমের কঠিন লড়াইয়ের পর। স্লোভাকিয়ার ডোমিনিকা সিবুলকোভাকে হারিয়েছেন এস্তোনিয়ার অখ্যাত কাইয়া কানেপি। এছাড়াও জয়ের স্বাদ পেয়েছেন জুলিয়া জর্জেস এবং কার্লা সুয়ারেজ নাভারোর মতো তারকারা।
×