ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

সংবাদ সম্মেলনে চেয়ারম্যান আরাস্তু খান

প্রতিটি সূচকে অগ্রগতি ইসলামী ব্যাংকের

প্রকাশিত: ০৪:৩০, ১৬ জানুয়ারি ২০১৮

প্রতিটি সূচকে অগ্রগতি ইসলামী ব্যাংকের

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ গত বছর খেলাপী ঋণ বেড়ে যাওয়া, পরিচালনা পর্ষদে রদবদল ও অর্থের তারল্য সঙ্কটসহ নানা অস্থিরতায় ব্যাংকিং খাত ভুগলেও প্রতিটি সূচকে নিজেদের অগ্রগতি হয়েছে বলছেন ইসলামী ব্যাংক বাংলাদেশ লিমিটেডের (আইবিবিএল) চেয়ারম্যান আরাস্তু খান। সোমবার ব্যাংকটির প্রধান কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন তিনি। ব্যাংকটির ২০১৭ সালের অগ্রগতি তুলে ধরতে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করে ইসলামী ব্যাংক। এ সময় তিনি বলেন, সততা এবং যোগ্য ব্যবস্থাপনার শরিয়াহভিত্তিক পরিচালনার কারণে এগিয়ে যাচ্ছে দেশের সবচেয়ে বড় বেসরকারী ব্যাংকটি। এই ধারা অব্যাহত রাখতে ফিন্যান্সিয়াল প্রযুক্তি ব্যবহারের ওপর জোর দেয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন ব্যাংকটির চেয়ারম্যান আরাস্তু খান। আরাস্তু খান বলেন, আমরা সব কিছুকে পিছনে ফেলে সামনে এগিয়ে যাচ্ছি। গত ১ বছরে ইসলামী ব্যাংকের ডিপোজিট ও পরিচালন মুনাফায় বড় সাফল্য এসেছে। ৩১ ডিসেম্বর ২০১৭ সমাপ্ত হিসাব বছরে ব্যাংকটির আমানতের পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭৫ হাজার ১৩০ কোটি টাকা। যা গত বছরের একই সময়ে ছিল ৬৭ হাজার ৮৮৬ কোটি টাকা। সেই হিসাবে ব্যাংক আমানতের পরিমাণ বেড়েছে ৭ হাজার ২৪৪ কোটি টাকা বা ১০ দশমিক ৬৭ শতাংশ। তিনি বলেন, এ সময়ে ব্যাংক বিনিয়োগ ১৩ দশমিক ৭০ শতাংশ বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ হাজার ১০০ কোটি টাকা। তবে নিট বিনিয়োগ হয়েছে ৬৫ হাজার ৯৬৪ কোটি টাকা। এখন ব্যাংকটির ঋণ-আমানত অনুপাত বা আডি রেশিও ৮৭ দশমিক ৮০ শতাংশ। নন-পারফর্মিং লোনের (এনপিএল) হার কমে দাঁড়িয়েছে ৩ দশমিক ৫৭ শতাংশে। যা গত বছরে ছিল ৩ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ইসলামী ব্যাংকের চেয়ারম্যান বলেন, আমাদের এই বছরে আয়ের প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৯ দশমিক ২০ শতাংশ। বিনিয়োগকৃত আয় বেড়েছে ৭ দশমিক ৫০ শতাংশ। আমদানিতে ৩৮ হাজার ৫০০ কোটি, রফতানিতে ২৪ হাজার কোটি এবং ২৩ হাজার ৩০০ কোটি টাকার রেমিটেন্স আহরণ হয়েছে। গ্রাহক সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ১ কোটি ২৫ লাখ। ২০১৭ সালে ইসলামী ব্যাংক আমদানি, রফতানি ও রেমিটেন্স আহরণ বাণিজ্য করেছে যথাক্রমে ৩৮ হাজার ৫ শত কোটি, ২৪ হাজার কোটি এবং ২৩ হাজার ৩ শত কোটি টাকা। তিনি বলেন, আমাদের রেমিটেন্সের প্রবাহ বৃদ্ধির বড় কারণ হলো পলিসিতে পরিবর্তন আনা। ইসলামী ব্যাংক রেমিটেন্স থেকে অর্থ আয় করতে চায় না। এই জন্য গ্রাহকদের একটি সহনীয় রেট দিতে পেরেছি। সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমরা শরিয়াহ সমর্থন করে না এমন কোন প্রোডাক্টের অনুমতি দেয় না। সততা এবং শরিয়াহকে প্রাধান্য দেয়ার কারণে ইসলামী ব্যাংক আজ এই শক্ত অবস্থানে আসতে পেরেছে। এ সময় ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ আব্দুল হামিদ মিয়া এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ইসলামী ব্যাংকে কখনও তারল্য সঙ্কট থাকবে না। আমাদের ঋণ-আমানত অনুপাত বা এডি রেশিও সহনীয় পর্যায়ে রয়েছে। আমরা এখন বড় খাতের ঋণ কমিয়ে ক্ষুদ্র ও মাঝারি শিল্প (এসএমই) খাতে ঋণের পরিমাণ বাড়াতে চাই। সেই লক্ষ্যকে সামনে রেখে ম্যানেজমেন্ট কাজ করছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। ব্যাংকের এক্সিকিউটিভ কমিটির চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব) ইঞ্জিনিয়ার আব্দুল মতিন, অডিট কমিটির চেয়ারম্যান ড. মোঃ জিল্লুর রহমান, পরিচালক মোঃ সাইফুল ইসলাম, অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোঃ মাহবুব-উল-আলমসহ ব্যাংকের উর্ধতন কর্মকর্তারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
×