স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ আড়াইহাজারে উপজেলায় পৃথক দু’টি স্থানে দু’ বাড়িতে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। এ সময় গ্রামবাসীর গণপিটুনীতে এক ডাকাত হয়েছে। ডাকাতদের হামলায় দুই ব্যক্তি আহত হয়েছে। পুলিশ নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল (ভিক্টোরিয়া) হাসপাতালে পাঠিয়েছে। তবে নিহত ডাকাতের এখনও কোন পরিচয় পাওয়া যায়নি। ঘটনাটি ঘটেছে রবিবার রাত আড়াইটায়।
জানা গেছে, রবিবার রাতে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের বড় ফাউসা গ্রামের খলিলুর রহমান ভুইয়ার বাড়িতে ১৫/১৬ জনের একদল ডাকাত হানা দেয়। ডাকাতরা দ্বিতীয় তলা ভবনের নিচ তলার লোহার গেইট ও দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে ফেলে। পরে তারা ডাকাতির কার্যক্রম শুরু করে। ঐ সময় ডাকাতির ঘটনাটির টের পেয়ে গৃহকর্তার ছেলে জাকির দ্বিতীয় তলায় গিয়ে ডাকাত ডাকাত বলে চিৎকার শুরু করে। তার চিৎকারে আশে পাশের লোকজন এগিয়ে আসলে ডাকাতরা বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। এ সময় ডাকাতদের হামলায় গৃহকর্তার ভাতিজা ছোটন (২৪) সহ ২জন আহত হয়। পরে এলাকাবাসী ডাকাতদের কয়েকদিক থেকে ধাওয়া দিয়ে অজ্ঞাতনামা (২৪) এক ডাকাতকে ধরে গণপিটুনী দেয়। এতে ঘটনাস্থলেই ওই ডাকাতের মৃত্যু হয়। গৃহকর্তার ছেলে জাকির জানান, তাদের বাড়ি থেকে ৫ ভরি স্বর্ণালংকার নগদ ও ৫০ হাজার টাকাসহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে গেছে ডাকাতরা। পরে খবর পেয়ে থানা পুলিশ ঘটনাস্থল গিয়ে নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নারায়ণগঞ্জ জেনারেল হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করেছে। বেলা আড়াইটায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত নিহত ডাকাতের পরিচয় পাওয়া যায়নি। অপর দিকে একই রাত ২টার দিকে উপজেলার ব্রাহ্মন্দী ইউনিয়নের ইদবারদী গ্রামের সিরাজুল ইসলাম ভুইয়ার বাড়িতে ডাকাতদল হানা দেয়। ডাকাতরা ভবনের গেটের তালাকেটে ও দরজা ভেঙ্গে ভেতরে ঢুকে বাড়ির লোকজনদের জিম্মি করে রাখে। পরে ডাকাতরা ওই বাড়ি থেকে ৪ ভরি ওজনের স্বর্ণালংকার, ৮হাজার টাকা, ৪টি মোবাইল সহ মূল্যবান মালামাল লুট করে নিয়ে যায়। ঐ সময় বাড়ির লোকজনদের চিৎকারে লোকজন বেড়িয়ে আসলে ডাকাতরা বোমা ফাটিয়ে এলাকায় আতংক সৃষ্টি করে পালিয়ে যায়।
আড়াইহাজার থানার ওসি এম এ হক ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে জানান, নিহত ডাকাতের লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠানো হয়েছে। দুপুর পর্যন্ত নিহত ডাকাতের কোন পরিচয় পাওয়া যায়। তবে এ ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি।
