অনলাইন ডেস্ক ॥ আরব বসন্তের জন্মভূমি তিউনিসিয়ায় আবার সরকারবিরোধী বিক্ষোভ ফুঁসে উঠেছে।
তিউনিসিয়া সরকারের কৃচ্ছ্রতা সাধন ও নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্যের দাম বাড়ানোর বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানাতে সাত বছর আগে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছিল দেশটির জনগণ। সেই বিক্ষোভ তিউনিসীয় সীমান্ত পার হয়ে বেশির ভাগ আরব দেশে ছড়িয়ে পড়েছিল।
তিউনিসীয় জনগণের বিক্ষোভের মুখে পতন হয় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জাইন আল-আবিদিন বেন আলীর। তার পতনের সাত বছর পূর্তিতে আবার সেই একই ইস্যুতে প্রতিবাদ জানাতে রোববার দেশটির বিভিন্ন স্থানে বিক্ষোভ হয়।
বিক্ষোভকারীদের দাবির প্রতি সাড়া দিয়ে রোববার সরকারের উচ্চপর্যায়ে জরুরি বৈঠক হয়। তবে বিভিন্ন স্থান থেকে প্রায় ৮০০ বিক্ষোভকারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট বেজি চাইদ এসেবসি রোববার রাজধানী তিউনিসের একটি প্রশাসিক জেলা পরিদর্শন করেছেন। বিক্ষোভকারীদের উদ্দেশে বলেন, জনগণের কষ্ট বোঝেন তিনি।
তবে এবারের বিক্ষোভের ডাক দিয়েছে বিরোধী দলগুলো। তাদের ডাকে সাড়া দিয়ে জনগণ রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ প্রদর্শন করেছে। জনগণের ভাষ্য, আরব বসন্তের ফলে বেন আলী বিদায় নিলেও দেশের পরিস্থিতি আজো পাল্টায়নি।
৭ জানুয়ারি থেকে তিউনিসিয়ায় বিক্ষোভ চলছে। ওই দিন দেশটির ২০১৮ সালের বাজেটে মূল্য সংযোজন কর (ভ্যাট) ও নিত্যপ্রয়োজনীয় কিছু পণ্যের দাম বাড়ানোর ঘোষণা দেওয়া হয়। সেই থেকে কমপক্ষে ১০টি পৃথক স্থানে বিক্ষোভ হয়েছে।
২০১১ সালে তিউনিসের হাবিব বোরগুইবা স্কয়ার আরব বসন্তের আগুনমুখো স্থান ছিল। রোববার সেখানে কয়েক শত মানুষ বিক্ষোভ করে। বাজেট বাতিল করে পণ্যের দাম কমিয়ে নতুন বাজেট ঘোষণার দাবি জানিয়েছে তারা।
তথ্যসূত্র : বিবিসি অনলাইন