স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ সোনারগাঁ উপজেলায় ইভটিজিংয়ে বাঁধা দেয়ায় মিন্টু মিয়া (২৫) নামে এক তরণকে পিটিয়ে হত্যা করেছে ইভটিজাররা। রবিবার সকালে মিন্টু মিয়া ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়। গত শুক্রবার সকালে ইভটিজাররা মিন্টু মিয়াকে পিটিয়ে গুরুত্বর আহত করেছিল। এ ঘটনার জের ধরে অভিযুক্তদের বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগ করেছে নিহতের আত্মীয়-স্বজনরা। রবিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত এ বিষয়ে কোন মামলা হয়নি বলে সোনারগাঁও থানার ওসি জানান।
জানা গেছে, উপজেলার মোগরাপাড়া ইউনিয়নের ছোট সাদিপুর গ্রামে এক কলেজ ছাত্রীকে যাওয়া-আসার পথে উত্ত্যক্ত করতো পার্শ¦বর্তী গ্রামের রফিক মিয়া। বুধবার সকালে কলেজে যাওয়ার পথে জাকির হোসেন ওই ছাত্রীর পথরোধ করে কুরুচিপূর্ণ উক্তি ছুরে দেয়। এ ঘটনাটি ওই ছাত্রী তার বাবা মোতাহার ও মামাতো ভাই মিন্টু মিয়াকে অবহিত করে। পরে মিন্টু মিয়া ইভটিজার জাকির হোসেনকে ওই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করতে নিষেধ করেন।
এ ঘটনার জের ধরে শুক্রবার সকালে মিন্টু মোগরাপাড়া চৌরাস্তা এলাকা থেকে বাড়ি ফেরার পথে আগে থেকে ওঁৎপেতে থাকা জাকির ও তার সহযোগীরা তার পথরোধ করে রিক্সা থেকে মিন্টুকে নামিয়ে পিটিয়ে মারাত্মক আহত করে ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। এ সময় আশপাশের লোকজন তাকে উদ্ধার করে প্রথমে সোনারগাঁ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স ও পরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে। সেখানে দু’দিন চিকিৎসার পর রবিবার সকালে সে মারা যায়। মিন্টু মিয়ার নিহত হওয়ার খবর এলাকায় ছড়িয়ে পড়লে তার স্বজন ও এলাকাবাসী উত্তেজিত হয়ে অভিযুক্তের তিনটি বাড়িঘর ভাংচুর করে আগুন দিয়ে জ্বালিয়ে দেয়। খবর পেয়ে সোনারগাঁ থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়েন্ত্রনে আনে। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
সোনারগাঁ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোর্শেদ আলম জানান, মিন্টুর হত্যার ঘটনায় এখনও তার আত্মীয়-স্বজরা মামলা দিতে থানায় আসেনি। তবে আমরা মিন্টু হত্যাকারীদের গ্রেফতারে অভিযান অব্যাহত রেখেছি। এলাকায় পুলিশ মোতায়েন রয়েছে।