ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

পদ্মার চরে সবজি চাষে বিপ্লব

প্রকাশিত: ০৪:২২, ১৩ জানুয়ারি ২০১৮

পদ্মার চরে সবজি চাষে বিপ্লব

পদ্মানদী তীরবর্তী লৌহজং, শ্রীনগর ও টঙ্গীবাড়ি উপজেলা তিনটি বাজারের শাকসবজির প্রায় ৬০ ভাগই পদ্মার চরে উৎপন্ন হয়। ৫/৬ বছর আগেও উপজেলার বাজারগুলোতে আসা সবজির প্রায় শতভাগই ছিল ঢাকা থেকে আমদানি করা। আর এখন পদ্মার চরে উৎপন্ন শীতের টাটকা শাকসবজি দেখলেই চোখ জুড়িয়ে যায়। ঢাকা থেকে আমদানি করা সবজির সঙ্গে চরের সবজির পার্থক্য করা যায় অনায়াসেই। এসব তরতাজা সবজি কিনে একদিকে স্থানীয় ক্রেতাসাধারণ যেমন উপকৃত হচ্ছে, অন্যদিকে তেমনি চরের চাষীরা লাভবান হচ্ছে দেশের অন্য অঞ্চলের চাষীদের চাইতে কয়েকগুণ বেশি। তার কারণ, অন্য অঞ্চলের চাষীরা মধ্যস্বত্বভোগী কিংবা পাইকারদের কাছে সস্তায় ক্ষেত্রবিশেষে নামমাত্র মূল্যে শাকসবজি বিক্রি করে থাকে। অথচ তিন উপজেলার চরাঞ্চলের কৃষকেরা তাদের উৎপাদিত পণ্য সরাসরি স্থানীয় হাটবাজারে উচ্চমূল্যে বিক্রি করতে পারছে। তাই তাদের আনন্দের সীমা নেই। পদ্মার চরে উৎপাদিত শীতের সবজির মধ্যে লাউ, লাউশাক, বেগুন, ধনেপাতা, কলই শাক, পেঁয়াজের হাই, টমেটো, মুলা, কাঁচা মরিচ, লালশাক, পালংশাক, কুমড়া, বউত্যাশাক, সর্ষেশাক, ফুলকপি, বাঁধাকপির সমারোহ বিভিন্ন হাটবাজারে মিলছে সুলভেই। বেশ কয়েকটি বাজার ঘুরে দেখা গেছে, স্থানীয় ক্রেতাদের চরের সবজি কেনার প্রতি বেশি আগ্রহ। তাই বাজারের যে দিকে পদ্মার চরের সবজি বিক্রি হয় অধিকাংশ ক্রেতা সেইদিকে ছুটে যায়। -মীর নাসিরউদ্দিন উজ্জ্বল, মুন্সীগঞ্জ থেকে
×