ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

কক্সবাজারে অভিভাবক পেটানো মামলার আসামিরা আটক হয়নি ৬ দিনেও

প্রকাশিত: ২৩:৫০, ১২ জানুয়ারি ২০১৮

কক্সবাজারে অভিভাবক পেটানো মামলার আসামিরা আটক হয়নি ৬ দিনেও

স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ সদরের খরুলিয়া স্কুলে অভিভাবক পেটানোর ঘটনার ছয়দিন অতিবাহিত হলেও এ পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। ঘটনার মূল হোতা এনামূল হক অঢেল টাকা নিয়ে মাঠে নেমেছে বলে অভিযোগ রয়েছে। পুলিশ জানায়, ঘটনার ভিডিও ফুটেজের সূত্র ধরে আসামিদের ধরতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। ট্রেকিং করা হচ্ছে তাদের মোবাইল নাম্বার। জানা যায়, ন্যাক্কারজনক এ ঘটনাটি সরেজমিনে তদন্ত করে গেছেন অতিরিক্ত বিভাগীয় কমিশনার (রাজস্ব) মুমিনুর রশীদ। বৃহস্পতিবার বিকেলে তিনি ঘটনাস্থল পরিদর্শন ও ভিকটিম আয়াত উল্লাহর জবানবন্দি নেন। শুনেন ঘটনার নির্মম বর্ণনা। খরুলিয়া স্কুলের শিক্ষক ও কর্মচারীদের কাছ থেকেও ঘটনার বিষয়ে জানেন তিনি। কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো: নোমান হোসেন ও মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার মো: সেলিম উদ্দিন এ সময় তার সঙ্গে ছিলেন। জানা গেছে, ছাত্র অভিভাবক আয়াত উল্লাহর উপর বর্বর হামলা ঘটনার মূল হোতা এনামুল হক ও মাস্টার নজিবুল্লাহ গ্রেফতার এড়াতে গা ঢাকা দিলেও অঢেল টাকায় পুলিশকে ম্যানেজ করার চেষ্টা চালাচ্ছে। কতিপয় ধান্ধাবাজ নেতা মোটা অঙ্কের টাকার লোভে স্কুল কমিটির সভাপতি এনামুল হক ও সহকারী শিক্ষক নজিবুল্লাহকে মামলা থেকে বাদ দেয়ার তদ্বির চালিয়ে যাচ্ছে। তবে কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি রনজিত কুমার বড়ুয়া জানান, ঘটনায় জড়িত কোন আসামিকে ছাড় দেয়া হবেনা। ভিডিও ফুটেজে যাদের স্পষ্ট দেখা গেছে- তাদের রেহায় নেই। এই দুই অভিযুক্ত ব্যক্তিকে যেখানে পাওয়া যায় আটক করা হবে। কোন নিরীহ লোককে মামলায় জড়ানো হবেনা। উল্লেখ্য গত ৭ জানুয়ারি সকালে খরুলিয়া কেজি এন্ড প্রি-ক্যাডেট স্কুলে ছেলে শাহরিয়ার নাফিস আবিরের ফলাফল জানতে গিয়ে শিক্ষকদের রোষানলে পড়েন অভিভাবক চিত্রশিল্পী আয়াত উল্লাহ। তার হাত ও পায়ে রশি বেঁধে অমানবিকভাবে নির্যাতন চালানো হয়। ঘটনার পর থেকে বিক্ষোভ ও প্রতিবাদের ঝড় উঠে পুরো এলাকায়। বিভিন্ন গণমাধ্যমের খবরে তোলপাড় হয়। এ ঘটনায় প্রধান শিক্ষক জহিরুল হকসহ ৬ জনের বিরুদ্ধে কক্সবাজার সদর মডেল থানায় মামলা করেন ভিকটিম আয়াত উল্লাহ। এলাকাবাসী অভিযোগ করেছে, ন্যাক্কারজনক ঘটনাটি জন্ম দিয়েছে খরুলিয়া উচ্চ বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি এনামুল হক ও সহকারী শিক্ষক নজিবুল্লাহ। এই দুই ব্যক্তির কারণে পুরো শিক্ষক সমাজের গায়ে কলঙ্ক লেগেছে। ঘটনার অন্যতম এই দুই নায়ক এজাহার থেকে বাদ পড়লেও ভিডিও ফুটেজে তারা ঘটনায় জড়িত থাকার স্পষ্ট প্রমাণ রয়েছে। সবার আওয়াজ একটাই-মূল হোতা এনাম ও নজিবুল্লাহকে আইনের আওতায় আনা হোক। অন্যতায় অপরাধ প্রবণতা বাড়বে। সাহস পাবে অপরাধীরা।
×