ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ইজতেমায় যাবেন না মাওলানা সাদ ॥ ছেড়ে যাবেন বাংলাদেশ

প্রকাশিত: ০১:৪৭, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

ইজতেমায় যাবেন না মাওলানা সাদ ॥ ছেড়ে যাবেন বাংলাদেশ

অনলাইন রিপোর্টার ॥ দিল্লীর তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেবেন না। তিনি সুবিধামতো সময়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করবেন এবং এই সময়ে তিনি কাকরাইল মসজিদেই অবস্থান করবেন। আজ বৃহস্পতিবার সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের সঙ্গে তাবলিগ জামাতের বিবাদমান দুটি পক্ষের বৈঠকে এই সিদ্ধান্ত হয়। বৈঠক শেষে এসব সিদ্ধান্তের কথা স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের জানান। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, টঙ্গীতে বিশ্ব ইজতেমা যথাসময়ে হবে। শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। যাদের নিয়ে বিতর্ক ছিল তাদের নিয়ে একটা সমঝোতায় তাঁরা এসেছেন। তিনি বলেন, মাওলানা সাদ সুবিধামতো সময় বাংলাদেশ থেকে চলে যাবেন। তিনি ইজতেমায় অংশ নেবেন না। যতক্ষণ পর্যন্ত তিনি বাংলাদেশে থাকবেন ততক্ষণ পর্যন্ত তিনি কাকরাইলে থাকবেন। এক প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, আশা করি এই সিদ্ধান্তের পর কাল থেকে আর কেউ সড়কে নামবেন না। সবকিছু শান্তিপূর্ণ ভাবে হবে। গত বুধবার মাওলানা সাদ এর বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নেওয়া ঠেকাতে বিমানবন্দর সড়কে বিক্ষোভ করেন তাবলিগ জামাতের একটি অংশ। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যার মধ্যে মাওলানা সাদকে বাংলাদেশ থেকে ভারতের দিল্লিতে ফেরত পাঠানোরও দাবি তোলা হয়। নইলে পরিস্থিতি খারাপ হবে বলে হুমকি দেওয়া হয়। হেফাজতে ইসলাম বাংলাদেশের ঢাকা বিভাগের যুগ্ম সম্পাদক ফজলুল হক কাশেমী আজ জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমের সামনে বলেন, ‘তাঁকে (মাওলানা সাদ) সরালে দেশ শান্ত হবে। গাড়িঘোড়া চলবে। নইলে সব বন্ধ হবে।’ ফজলুল হক কাশেমীর বক্তব্য, দেশকে অশান্ত করার চেষ্টা চলছে। তাঁকে (মাওলানা সাদ) না আনতে বলা হয়েছিল। তিনি নিজেকে তাবলিগের আমির বলে ঘোষণা করেছেন, যা অনেকেই মানেন না। তিনি অনেক বিতর্কিত বক্তব্য দিয়েছেন। এর আগে সকালে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) পক্ষ থেকে জানানো হয়, বিশ্ব ইজতেমায় অংশ নিচ্ছেন না ভারতের তাবলিগ জামাতের মুরব্বি মাওলানা সাদ কান্ধলভী। গতকাল বুধবার বেলা ১টার দিকে থাই এয়ারওয়েজের একটি ফ্লাইটে হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে আসেন মাওলানা সাদ কান্ধলভী। তাঁর এ দেশে আসার প্রতিবাদে বিমানবন্দর এলাকায় বিক্ষোভ চলে। তাবলিগ জামাতের একাংশ এই বিক্ষোভে যোগ দেয়। এতে বিমানবন্দর থেকে টঙ্গী ব্রিজ পর্যন্ত ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কে তীব্র যানজট সৃষ্টি হয়।
×