ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

৭৫ বছরের বেশী ব্যাক্তিদের তথ্য চেয়ে কারাগারে চিঠি সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইডের

প্রকাশিত: ০১:০৪, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

৭৫ বছরের বেশী ব্যাক্তিদের তথ্য চেয়ে কারাগারে চিঠি সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইডের

স্টাফ রিপোর্টার॥ দন্ডপ্রাপ্ত বা মামলা বিচারাধীন এমন ৭৫ বছরের বেশি বয়স্ক ব্যক্তিদের তথ্য এবং তালিকা চেয়ে দেশের কেন্দ্রীয় কারাগারসহ পাঁচটি কারাগারে কারা মহাপরিদর্শককে চিঠি পাঠিয়েছে সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। কমিটির সদস্য-সচিব ও সহকারী এ্যাটর্নি জেনারেল টাইটাস হিল্লোল রেমার স্বাক্ষরে ৯ জানুয়ারি এ চিঠি পাঠানো হয়। বলা হয়েছে, বিচারে দীর্ঘসূত্রতার কারণে দীর্ঘদিন আটক বন্দিদের তালিকা পাওয়া গেলে তাদের আইনি সেবা দেয়া সম্ভব হবে। দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিত করণের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এই আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। এই সংস্থার অধীনে সুপ্রীমকোর্ট সহ দেশের সব জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে কাজ করছে। এর আগে গত বছর ১৫ নবেম্বর কারা কর্তৃপক্ষকে চিঠি দেয় সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি। চিঠিতে ১০ বছরও পাঁচ বছরের বেশি সময় ধরে থাকা বন্দিদের আলাদা তালিকা দিতে বলা হয়। এ তালিকা পাওয়ার পর হাইকোর্ট বিভিন্ন সময়ে আদেশ দেন। সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড অফিসের কো-অর্ডিনেটর রিপন পৌল স্কু জনকন্ঠকে জানিয়েছেন , এর আগেও বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে ১০ ও ৫ বছরের অধিক যারা কারাগাওে আটক আছেন তাদেও তালিকা চাওযা হয়েছিল। এর প্রেক্ষিতে কারাকতৃপক্ষ ৪৬২ জনের তালিকা পাঠায়। তার মধ্যে ১০বছরের অধিক যারা বিচারের দীর্ঘ সুত্রিতার কারনে আটক আছে এমন ৫৮ জনের বিষয়ে আদালতের নজরে আনা হয়। এর মধ্যে ১৮ জনের জামিন দেয়া হয়। ৯ বছরের উদ্ধে ১৯ জনের বিষয়ে আদালতের নজওে আনা হলে ২ জন জামিন পান। বাকী দেও বিষয়ে আদালত বিভিন্ন বিচারিক আদেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তি করার নির্দেশ দেন। যার মধ্যে সিপন রিপন সহ ৪ জনকে বিচারিক আদালত খালাস দিয়েছেন। ঐ টিঠিতে বলা হয় ,সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইড কমিটি দেশের উচ্চ আদালতে সরকারি আইনি সেবা নিশ্চিতকরণে কাজ করে চলছে। নিম্ন আদালতে বিচারে জন্য প্রস্তুত হওয়া মামলাসমূহ সাক্ষ্যগ্রহণসহ নানাবিধ কারণে দীর্ঘ সময় ধরে অনিষ্পত্তি অবস্থায় রয়েছে। ফলে কার্যত সাজা হওয়ার পূর্বেই আটক বন্দি দীর্ঘদিন যাবত কারাভোগ করছেন। সরকারি আইনি সেবা সুনিশ্চিত করার তাদের একটি পূর্ণাঙ্গ ও হালনাগাদ তালিকা প্রয়োজন। ৭ বছরের ঊর্ধ্বে আটক থাকা হাজতিদের তালিকা সুপ্রীমকোর্ট লিগ্যাল এইডে পাঠালে অস্বচ্ছল হাজতিদের আইনি সহায়তা দেওয়া করা সম্ভব হবে বলে চিঠিতে উলে¬খ করা হয়। দেশের স্বল্প আয়ের ও অসহায় নাগরিকদের আইনি সেবা নিশ্চিতের লক্ষ্যে ২০০০ সালে ‘আইনগত সহায়তা প্রদান আইন’ করা হয়। এ আইনের অধীনেই প্রতিষ্ঠা করা হয় জাতীয় আইনগত সহায়তা প্রদান সংস্থা। সংস্থার অধীনে সুপ্রীমকোর্ট সহ দেশের ৬৪ জেলায় লিগ্যাল এইড কমিটি বিনামূল্যে আইনি সেবা নিয়ে কাজ করছে।
×