ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

বেতন বৈষম্য দূর করতে সাকিবের আহ্বান

প্রকাশিত: ০৬:৩৩, ১১ জানুয়ারি ২০১৮

বেতন বৈষম্য দূর করতে সাকিবের আহ্বান

স্পোর্টস রিপোর্টার ॥ প্রথম বাংলাদেশী হিসেবে ঐতিহাসিক মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাবের (এমসিসি) বার্ষিক সাধারণ সভায় নিজের বক্তব্য তুলে ধরেছেন সাকিব আল হাসান। তরুণ প্রজন্মকে টেস্ট ক্রিকেটে আগ্রহী করে তুলতে আর্থিক বিষয়টি সামনে এনেছেন টাইগার ক্রিকেটের এই বড় তারকা। বিশেষ করে টেস্ট খেলুড়ে দেশগুলোর মধ্যে আইসিসির আয়-বণ্টন বড় ও ছোট দলের খেলোয়াড়দের মধ্যে কতটা বিভেদ তৈরি করছে সেটিই বলেছেন তিনি। সিডনিতে মঙ্গল ও বুধবার অনুষ্ঠিত এ সভায় যোগ দিয়ে বিশ্বব্যাপী ক্রিকেটের অশনি সঙ্কেত ও ক্রিকেটারদের বেতন-বৈষম্য দূর করার আহ্বান জানিয়েছেন। সাবিকের বক্তব্যে সহমত পোষণ করেছেন ইংল্যান্ড ক্রিকেটার জনি বেয়ারস্টো ও সাবেক অস্ট্রেলিয়ান অধিনায়ক পন্টিংসহ অনেকেই। বিশ্বব্যাপী ক্রমেই জনপ্রিয় হয়ে ওঠা টি২০ লীগগুলোতে টাকার ছড়াছড়ির কারণে তরুণ প্রজন্ম কিভাবে সেদিকে ছুটছে, বাংলাদেশের প্রতিনিধি হিসেবে সেটি সিরিয়াসলি ভাবার আহ্বান জানিয়েছেন সাকিব। সাকিবের বক্তব্যকে উদ্ধৃত করে পন্টিং বলেন, ‘সাকিব উদাহরণ হিসেবে বাংলাদেশের ক্রিকেটে অনেকদিন ধরে চলে আসা কিছু সমস্যা আর ঘটনার কথা বলেছে। সে এ-ও বলেছে, টাকা (সারাবিশ্বে ক্রিকেট থেকে যে পরিমাণ আয় হয়, এর অংশ) কোথায় যায় সেটা আইসিসিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। সে জানে বিশাল অঙ্কের টাকা হয়তো সঠিক জায়গাতেই যাচ্ছে, কিন্তু খেলোয়াড়দের কাছে যেভাবে যাওয়া উচিত, সেভাবে নয়। এই ধারা চলতে থাকলে বাংলাদেশের মতো টেস্ট ক্রিকেটে দীর্ঘ ঐতিহ্য বা অবকাঠামো নেই, এমন দেশগুলোতে বড় দৈর্ঘ্যরে ক্রিকেট আরও গুরুত্বহীন হয়ে পড়বে। কেবল গৌরবের কথা বলে আর তরুণ ক্রিকেটারদের টেস্ট ক্রিকেটে টানা যাবে না। অন্তত এখনকার বাস্তবতায়।’ ২০ ওভারের ক্রিকেট তরুণদের কাছে আরও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠবে, শুধু টেস্ট নয়; আন্তর্জাতিক ক্রিকেটের গুরুত্ব অনেক দেশের খেলোয়াড়দের কাছে কমে যাবে বলে শঙ্কার সুর উঠেছে এমসিসির সভায়। ওয়েস্ট ইন্ডিজের মতো দেশের ক্রিকেটাররা এর ভাল উদাহরণ। তার আহ্বানে সায় দিয়ে পন্টিং আরও বলেন, ‘আমরা দেখতে চাই, টাকা যেখানে যাওয়া উচিত, সেই খেলোয়াড়দের পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার ব্যাপারে আরও সম্পৃক্ত হবে আইসিসি। এটাও বুঝতে হবে, ঘরোয়া টি২০ টুর্নামেন্টগুলো খেলোয়াড়দের দেশের প্রতিনিধিত্ব না করার ব্যাপারটি আরও সহজ করে দিচ্ছে, সেটা আরও ভাল বেতনভাতা দেয়ার মধ্য দিয়ে। আইপিএল এক্ষেত্রে সম্ভবত সবচেয়ে বড় ভূমিকা রেখে অন্যান্য দেশের ঘরোয়া টুর্নামেন্টকে প্রভাবিত করছে। এ ধরনের টুর্নামেন্ট খেলার জন্য আপনি কিন্তু খেলোয়াড়দের দোষ দিতে পারবেন না।’ উল্লেখ্য, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দেশভেদে খেলোয়াড়দের বেতনভাতার এন্তার পার্থক্য রয়েছে। অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক স্টিভেন স্মিথ গত বছর আয় করেছেন প্রায় ১৫ লাখ ডলার। অথচ এই একই সময়ে জিম্বাবুইয়ের অধিনায়ক গ্রায়েম ক্রেমারের আয় ৮৬ হাজার ডলার। সাকিব অবশ্য ক্রেমারের চেয়ে বেশি আয় করেছেন। গত বছর ১ লাখ ৪০ হাজার ডলার আয় করেছেন এ তারকা অলরাউন্ডার। টেস্ট খেলুড়ে দশ দেশের মধ্যে আয়ে সাকিব কেবল ক্রেমারের চেয়ে এগিয়ে।
×