ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নওগাঁর সাপাহারে দুই সাংবাদিককে পেটাল সন্ত্রাসীরা

প্রকাশিত: ০২:৪১, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

নওগাঁর সাপাহারে দুই সাংবাদিককে পেটাল সন্ত্রাসীরা

নিজস্ব সংবাদদাতা, নওগাঁ ॥ নওগাঁর সাপাহারে দুই সাংবাদিককে পিটিয়ে আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। বুধবার সাপাহার উপজেলা সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় গিয়াস মার্কেটে তাঁদের ওপর এ হামলার ঘটনা ঘটে। হামলাকারীরা সাংবাদিকদের মারপিট করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়।ওই দুই সাংবাদিক হলেন, বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল আইয়ের প্রতিনিধি ও নওগাঁ জেলা প্রেস ক্লাবের সভাপতি কায়েস উদ্দীন এবং এটিএন বাংলা ও এটিএন নিউজ টিভির প্রতিনিধি রায়হান আলম। সন্ত্রাসীরা এটিএন নিউজ ও এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান সুমন ইসলামকেও মারপিট করে। তাঁরা সাপাহার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। সাংবাদিক রায়হান আলম বলেন, ‘সাপাহার উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক সাহাজাহান আলীর বিরুদ্ধে সাপাহার সদরের জিরোপয়েন্ট এলাকায় গিয়াস মার্কেট নামে একটি বিপণিবিতান দখলের ঘটনায় গত মঙ্গলবার মামলা হয়। এ অভিযোগের সূত্রে ধরে প্রকৃত ঘটনা অনুসন্ধান করতে এদিন দুপুরে আমরা ঘটনাস্থলে তথ্য সংগ্রহ করছিলাম। এ সময় দুপুর সাড়ে ১২ টার দিকে সাত-আটজন সন্ত্রাসী আমাদের ওপর অতর্কিত হামলা চালায়। লাঠি ও চেলা কাঠ দিয়ে তাঁরা আমাদের মারধর করে। হামলাকারীরা মারপিট করে ক্যামেরা ছিনিয়ে নেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমাদের উদ্ধার করে।’ সাংবাদিক কায়েস উদ্দীন বলেন, ‘আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজাহান আলীর নির্দেশে আমাদের ওপর হামলা চালানো হয়েছে। এ ঘটনায় আমরা আইনের আশ্রয় নেব। আশা করি, পুলিশ এ ঘটনায় জড়িত ব্যক্তিদের গ্রেফতার করে আইনের আওতায় নিয়ে আসবে।’ হামলার বিষয়ে আওয়ামী লীগ নেতা সাহাজাহান আলী বলেন, ‘এ হামলার ঘটনায় আমার কোনো হাত নেয়। সাংবাদিকের সঙ্গে আমার কোনো বিরোধ নেই। বিপণিবিতান দখলের বিষয়ে বিরোধী পক্ষ আমার বিরুদ্ধে মামলা করেছেন। আমি আদালতেই এর জবাব দেব। ’ সাপাহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শামসুল আলম শাহ্ বলেন, ‘এ ঘটনায় মামলার দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে। ঘটনা তদন্ত করে প্রকৃত হামালাকারীদের শনাক্ত করে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় আনা হবে।’ সাপাহারে বিপণিবিতান দখলের ঘটনায় বুধবার বিভিন্ন জাতীয় ও স্থানীয় পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশিত হয়। জানা যায়, ক্রয়সূত্রে পাওয়া ৪ শতক জমির গিয়াস উদ্দিন নামে এক ব্যক্তি ১৯৮৪ সালে বিপণিবিতান নির্মাণ করে। যা গিয়াস মার্কেট নামে পরিচিত। গিয়াস মারা যাওয়ার পর তার ওয়ারিশরা দীর্ঘদিন ধরে ওই মার্কেট ভাড়া দিয়ে ভোগদখল করছিলেন। কিন্তু গত সোমবার সাহাজাহান আলীর নেতৃত্বে একদল সন্ত্রাসী বাহিনী ওই বিপণিবিতানের ভাড়াটিয়াদের বের করে দিয়ে তালা দিয়ে দখলে নেন। এ ঘটনায় ওই বিপণিবিতানের মালিক মৃত গিয়াস উদ্দিনের স্ত্রী হাজেরা বেগম নওগাঁর সাপাহার সহকারী সিনিয়র জজ আদালতে মামলা করেন।
×