ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

কাকরাইল ও ইজতেমা মাঠে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা বেফাকের

প্রকাশিত: ০১:৫৫, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

কাকরাইল ও ইজতেমা মাঠে অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা বেফাকের

অনলাইন রিপোর্টার ॥ টঙ্গীতে তাবলিগ জামাতের বিশ্ব ইজতেমায় দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের জিম্মাদার মাওলানা মোহাম্মদ সাদ কান্ধলভির অংশগ্রহণ ঠেকাতে লাগাতার অবস্থান কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তার বিরুদ্ধে আন্দোলনকারী সংগঠন বেফাকের (বাংলাদেশ কওমি মাদরাসা শিক্ষা বোর্ড, ঢাকা) নেতারা। মাওলানা সাদের বর্তমান অবস্থানস্থল রাজধানীর কাকরাইলে তাবলিগের শুরা কার্যালয়ের সামনে ও টঙ্গীর বিশ্ব ইজতেমা মাঠে বুধবার (১০ জানুয়ারি) বিকেল থেকেই এ অবস্থানের ঘোষণা দেন বেফাকের ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মাওলানা আবদুল কুদ্দুস এবং সহকারী মহাসচিব মুফতি মাহফুজুল হক। মাওলানা সাদের আগমন ঠেকাতে সকাল থেকে ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের সামনের সড়কের চত্বরে বিক্ষোভ করছিলেন বেফাক ও হেফাজতের নেতাকর্মীরা। মাওলানা সাদ থাই এয়ারওয়েজের ফ্লাইটযোগে শাহজালাল বিমানবন্দরে পৌঁছানোর পর কাকরাইলে শুরা কার্যালয়ে চলে গেলে বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে সেখানে বিক্ষোভের সমাপ্তি টেনে নতুন এ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়। বেফাকের নেতারা জানান, বিমানবন্দর চত্বরের বিক্ষোভে অংশগ্রহণকারীরা দুই ভাগে বিভক্ত হয়ে কাকরাইল ও ইজতেমা মাঠে চলে যাবেন। মাওলানা সাদের ইজতেমায় অংশগ্রহণের বিষয়টির সুরাহা না হওয়া পর্যন্ত এখন থেকে লাগাতার এ বিক্ষোভ চলবে। বিমানবন্দর চত্বরের বিক্ষোভে সমাপ্তি টানার পর ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বনানী থেকে শেওড়া, কুড়িল, খিলক্ষেত, উত্তরা ও আব্দুল্লাহপুর পর্যন্ত সড়কে আটকে পড়া যানবাহন চলতে শুরু করে। তবে সকাল থেকে বিক্ষোভ শুরু হওয়ার কারণে যানবাহনের যে চাপ তৈরি হয়, তা কাটতে বেশ সময় লাগবে বলে মনে করছেন ট্রাফিক পুলিশের কর্মকর্তারা। তাবলিগ জামাতের অন্যতম শীর্ষ মুরুব্বি, দিল্লি নিজামুদ্দিনের জিম্মাদার মাওলানা সাদের কিছু বক্তব্য ও একক নেতৃত্বের প্রশ্নে বেশ কয়েক বছর যাবৎ আলেম-উলামা ও তাবলিগের মুরুব্বিদের মাঝে অসন্তোষ বিরাজ করছে। এর প্রেক্ষিতে ভারতের দারুল উলুম দেওবন্দ মাওলানা সাদের বিপক্ষে অবস্থান নেয়, আর নিজামুদ্দিন ছেড়ে চলে যান মাওলানা ইবরাহিম দেওলাসহ বেশ কয়েকজন মুরুব্বি। বিশ্বব্যাপী তাবলিগের বিভিন্ন মারকাজগুলোও দ্বিধা-বিভক্ত হয়ে পড়ে। এই দ্বিধা-বিভক্তির মধ্যে সম্প্রতি কানাডা, মালয়েশিয়া ও ইন্দোনেশিয়া তাবলিগের শুরা থেকে বাংলাদেশ শুরা ও সরকারকে চিঠি দিয়ে মাওলানা সাদকেই ইজতেমার নেতৃত্বে রাখার দাবি জানায়। কিন্তু বিরোধীরা কোনোভাবেই মাওলানা সাদকে মেনে না নেওয়ার কথা জানিয়ে দেয়।
×