ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

যে গ্রামের অভিভাবকরা শিশুদের ধূমপান করতে উৎসাহিত করে

প্রকাশিত: ০১:১৫, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

যে গ্রামের অভিভাবকরা শিশুদের ধূমপান করতে উৎসাহিত করে

অনলাইন ডেস্ক ॥ পর্তুগালের একটা প্রত্যন্ত গ্রামে অভিভাবকরা তাদের শিশুদের সিগারেট কিনে দেন এবং ধূমপান করতে উৎসাহিত করেন। আর শিশুরাও মহানন্দে সেই সিগারেট খায়। ভেল দে সুলগেইরো গ্রামের এটাই প্রচলিত রীতি। শিশুদের বয়স যখন পাঁচ বছর হয় তখন তাদের সিগারেট খেতে উৎসাহিত করা হয়। যীশুখ্রিস্টের আবির্ভাব দিবস উপলক্ষ্যে এই গ্রামে কিং ফিষ্ট নামে একটি উৎসব হয়। নতুন বর্ষ বরণের পরে দুইদিন ধরে এই উৎসব উদযাপন করা হয়। শুক্রবার শুরু হয়, শেষ হয় শনিবারে। উৎসবের দিন আগুন জ্বালিয়ে সব গ্রামবাসীরা তার চারপাশে নাচতে থাকেন। সেখানে একজনকে রাজা সাজানো হয। তিনি সবাইকে মদ এবং খাবার পরিবেশন করেন। সেই অনুষ্ঠানেই শিশুদের সিগারেট খেতে উৎসাহিত করা হয়। পর্তুগালে ১৮ বছর বয়সের আগে ধূমপান করা আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু এই গ্রামের অভিভাবকরা এ নিয়মের তোয়াক্কা করেন না। আর রাষ্ট্রও এই বিষয়ে কোন হস্তক্ষেপ করে না। গ্রামের এক অভিভাবক বলেন, আমি আমার মেয়েকে কেন সিগারেট খেতে দিচ্ছি এর কোন ব্যাখ্যা আমার কাছে নেই। আমি এতে খারাপ কিছু দেখি না। আসলে শিশুরা তো সত্যিকার অর্থে ধূমপান করতে পারে না। তারা ধোঁয়া টানে এবং ছেড়ে দেয়। উৎসবের দিনগুলিতে তারা ধূমপান করে। এরপরে তারা কখনও সিগারেট চা্ইবে না। গ্রামেরই এক প্রবীণ ব্যক্তি জানালেন, এই আজব নিয়ম অবশ্য শুধু উৎসবরে দুইদিন। আসলে এই উৎসবে গ্রামবাসীরা সেসব কাজই করেন, সারাবছর যেগুলি তারা করতে পারেন না। শিশুদের ধূমপানের বিষয়টিও সেরকমই একটা কারণ। জোস রিবাইরিনহা নামের একজন লেখক ভেল দে সুলগেইরো গ্রামের উৎসব নিয়ে একটি বই লিখেছেন। সেখানে তিনি বলেছেন, কেন এই গ্রামে এ ধরনের রীতি চালু সেই কারন অজানা।তারা হয়তো প্রকৃতি আর মানবজাতির পুনর্জন্ম উদযাপনের জন্যই এমন উৎসব পালন করে। সূত্র : ইণ্ডিয়া টুডে
×