ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১০ বৈশাখ ১৪৩১

খ্যাতি থাকলেও এই তারকাদের জীবন সুখের নয়

প্রকাশিত: ২৩:৩৫, ১০ জানুয়ারি ২০১৮

খ্যাতি থাকলেও এই তারকাদের জীবন সুখের নয়

অনলাইন ডেস্ক ॥ গ্ল্যামারের দুনিয়ার বাস্তব বোধহয় এমনই! জনপ্রিয়তা-খ্যাতি-সম্পত্তির আড়ালে আসলে তারকাদের জীবনটা যে ততটাও সুখের নয়, তারই উদাহরণ এই গ্যালারির পাতায়। তবে আলোচনার কেন্দ্রে পর্নস্টারেরা। পেশার তাগিদে অনেক মহিলা পর্নস্টারকেই যৌন নিগ্রহ এবং হুমকির শিকার হতে হয়। কেউ কেউ সামলে উঠতে পারলেও, অনেকেই বেছে নেন চরম সিদ্ধান্ত। এক ঝলকে দেখে নিন এমনই কয়েকজন পর্নস্টারকে যাঁরা আত্মঘাতী হয়েছিলেন। ক্যারেন ল্যানকুমে: ক্যারেন পর্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে খুবই জনপ্রিয় ছিলেন। ২০০২ সালে পর্ন ফিল্মে যোগ দিয়েছিলেন। ৩২ বছর বয়সে নিজের প্রাক্তন প্রেমিকের অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাঁর দেহ উদ্ধার হয়েছিল। পরে জানা যায়, বেশি পরিমাণে ড্রাগ নিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। মেগান লেই: মাত্র ১৪ বছর বয়সে বাড়ি থেকে পালিয়েছিলেন মেগান। পরে পর্ন ফিল্মে প্রচুর খ্যাতিও অর্জন করেছিলেন। যদিও ২৬ বছরেই জীবনের চরম সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন তিনি। মাথায় গুলি করে আত্মঘাতী হন মেগান। পওলিন চ্যান: চিনের এই পর্নস্টার সবচেয়ে বেশি সংবাদ শিরোনামে এসেছিলেন, যখন তিনি নিজের থেকে ৩৩ বছরের বড় এক জন ধনী ব্যবসায়ীকে বিয়ে করেছিলেন। যদিও কিছুদিনের মধ্যেই সেই বিয়ে ভেঙে যায়। এর পরমানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। মাত্র ২৯ বছর বয়সে ৩০তলা বাড়ির ছাদ থেকে ঝাঁপ দিয়েছিলেন তিনি। ডানা প্লাটো: আটের দশকের বিখ্যাত টেলিভিশন অভিনেত্রী ডানা। তবে পর্ন ফিল্ম ছেড়ে দেওয়ার পর থেকে খুব বেশি কাজ পেতেন না। মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনিও। ১৯৯৯ সালে ডানাও ড্রাগ নিয়ে নিজেকে শেষ করে দেন। সায়া মিসাকি: মাত্র ১৯ বছর বয়সে পর্ন ফিল্ম ইন্ডাস্ট্রিতে যোগ দিয়েছিলেন সায়া। জনপ্রিয়তাও পেয়েছিলেন। ২০০৭ সালে নিজের বাড়ি থেকেই তাঁর ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার হয়। নিজের ব্লগের শেষ লেখার মানসিক অবসাদকেই দায়ী করেছিলেন সায়া। অ্যালিসিয়া পার্কার: সন্তানের জন্মের পর পর্ন ফিল্ম ছেড়ে নতুন করে জীবন শুরু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন অ্যালিসিয়া। কিন্তু কয়েকদিন পরেই তাঁর মায়ের বাড়ি থেকে অ্যালিসিয়ার দেহ উদ্ধার হয়। তিনিও বেশি পরিমাণে ড্রাগ নিয়ে আত্মঘাতী হন। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×