ঢাকা, বাংলাদেশ   মঙ্গলবার ১৬ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

মোঃ সাইফুল ইসলাম খান

পড়ার বিষয় যখন রিয়েল এস্টেট

প্রকাশিত: ০৬:৫৮, ৭ জানুয়ারি ২০১৮

পড়ার বিষয় যখন রিয়েল এস্টেট

চার বছর মেয়াদী ও ১২৮ ক্রেডিটের ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট বিষয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পরিচিতি, মূলনীতি, আধুনিক নগরায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক, রিয়েল এস্টেটে বিপণন ব্যবস্থাপনা, রিয়েল এস্টেটে পরিকল্পনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর মৌলিক বিষয়সমূহ, রিয়েল এস্টেটে আইন, রিয়েল এস্টেটে জি আই এস, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেটের সমসাময়িক ইস্যু, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ও মূল্যায়ন, রিয়েল এস্টেটে পরিসংখ্যানসহ সর্বমোট ৪২টি বিষয় পড়ানো হয় মানুষের অন্যতম মৌলিক চাহিদা আবাসন। বেসরকারী উদ্যোগে বাণিজ্যিক ভিত্তিতে মানুষের আবাসন চাহিদা মেটাবার লক্ষ্যে বিভিন্ন শ্রেণীগোষ্ঠীর জন্য বিবিধ পরিকল্পনা নিয়ে বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেট ক্ষেত্রের আবির্ভাব। সেটাও খুব বেশি দিনের কথা নয়। ক্রমবর্ধমান চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে স্বল্প পরিসরে শুরু হওয়া চরম সম্ভাবনাময় এ ক্ষেত্রটি দ্রুতগতিতে প্রসারিত হচ্ছে। প্রথম দিকে হাতে গোনা কিছু ডেভেলপার কোম্পানি ঢাকা কেন্দ্রিক এ ক্ষেত্রটি নিয়ন্ত্রণ করলেও বর্তমানে ঢাকা ও এর বাইরের বড় শহরগুলোতে ছড়িয়ে পড়া রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সংখ্যা সহস্রাধিক। অপার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে বাংলাদেশেও প্রথমবারের মতো রিয়েল এস্টেট বিষয়টির ওপর উচ্চশিক্ষা কার্যক্রম চালু হয়েছে। আর, বাংলাদেশের বিপুল সম্ভাবনাময় রিয়েল এস্টেট খাতকে প্রতিষ্ঠানিক, তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক জ্ঞানধারী উচ্চমানের স্নাতক ও স্নাতোকত্তোর ডিগ্রিধারী মেধা সরবরাহের লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি চালু করেছে রিয়েল এস্টেট কোর্স। সামার ২০০৮ থেকে শুরু করা ডিপার্টমেন্ট অব রিয়েল এস্টেট চার বছর মেয়াদি শিক্ষা ব্যবস্থার আওতায় ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট ডিগ্রী কার্যক্রম চালু করেছে। এ প্রসঙ্গে উপাচার্য প্রফেসর ড. ইউসুফ এম. ইসলাম বলেন ‘আবাসনের ক্রমবর্ধমান চাহিদার সঙ্গে বাড়ছে রিয়েল এস্টেট কোম্পানির সংখ্যা। এ সেক্টরটিতে বিষয়ভিত্তিক জ্ঞানধারী লোকবলের ব্যাপক চাহিদা সত্ত্বেও যোগান নেই। এটা রিয়েল এস্টেট খাতের বিজ্ঞানসম্মতভাবে এগিয়ে যাবার অন্তরায়। দেশের বৃহত্তর জনগোষ্ঠীর নিরাপদ আবাসন নিশ্চিত করা ও আবাসন সংকট মোকাবেলায় বিষয়ভিত্তিক লোকবল সরবরাহের ব্রত নিয়ে এ বিশ্ববিদ্যালয় রিয়েল এস্টেটের মতো নতুন বিষয়ে পড়াশোনা সুযোগ সৃষ্টি করা হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে চালু হওয়া চার বছর মেয়াদী ও ১২৮ ক্রেডিটের ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট বিষয়ে রিয়েল এস্টেট ব্যবসার পরিচিতি, মূলনীতি, আধুনিক নগরায়ন, পরিবেশ বিজ্ঞান, রিয়েল এস্টেটের সঙ্গে পরিবেশের সম্পর্ক, রিয়েল এস্টেটে বিপণন ব্যবস্থাপনা, রিয়েল এস্টেটে পরিকল্পনায় সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ও আর্কিটেক্ট ইঞ্জিনিয়ারিং এর মৌলিক বিষয় সমূহ, রিয়েল এস্টেটে আইন, রিয়েল এস্টেটে জি আই এস, বাংলাদেশে রিয়েল এস্টেটের সমসাময়িক ইস্যু, রিয়েল এস্টেটে বিনিয়োগ ও মূল্যায়ন, রিয়েল এস্টেটে পরিসংখ্যানসহ সর্বমোট ৪২টি বিষয় পড়ানো হয়। এসএসসি ও এইচএসসিতে ভাল জিপিএ ধারীসহ ভর্তি হবার পর ডিপার্টমেন্টের প্রতি সেমিস্টারে ভাল রেজাল্ট অর্জনকারী মেধাবীদের বিভিন্ন পর্যায়ের বৃত্তি প্রদান করা হয়ে থাকে। এছাড়াও গরীব ও মেধাবী শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রেও ডিআইইউ বিশেষ ছাড় দিয়ে থাকে। ক্যারিয়ার গড়তে স্বনামধণ্য রিয়েল এস্টেট বিভাগকে বেছে নেয়া, এ বিষয়ে পড়াশুনার পর কর্মক্ষেত্রের সুযোগ এবং বিভাগটির বর্তমান অবস্থা ও ভবিষ্যত পরিকল্পনা প্রসঙ্গে বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক শেখ আবদুর রহিম বলেন, “ডিআইইউ এর চার বছর মেয়াদি ব্যাচেলর অব রিয়েল এস্টেট বিষয়ে একাডেমিক ডিগ্রী অর্জনের পথে একজন শিক্ষার্থী নিয়মিতভাবে ডিপার্টমেন্ট আয়োজিত আমন্ত্রিত বিশেষজ্ঞ পরিচালিত বিষয়ভিত্তিক বিভিন্ন সেমিনার. সিম্পোজিয়াম, ওয়ার্কশপ, ব্যবহারিক প্রোজেক্ট, বাণিজ্য উৎসব প্রভৃতিতে অংশ নিয়ে থাকে। মূল কোর্সের সঙ্গে সন্নিবেশিত এসব কার্যক্রম প্রতিটি শিক্ষার্থীকে পুরোপুরি দক্ষ ও বাস্তব জ্ঞান সম্পন্ন করে তোলে। সিনিয়র মেধাবী শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন রিয়েল এস্টেট কোম্পানিতে পার্ট টাইম চাকরির জন্য পাঠানো হয়। বিষয়টির গুরুত্ব অনুধাবন করে ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার সম্ভাবনার কথা মাথায় রেখে ডিআইইউ স্নাতকের পাশাপাশি ইতোমধ্যেই স্নাতোকত্তোর পর্যায়ের এমবিএ মেজর ইন রিয়েল এস্টেট চালু করেছে, যাতে ভর্তি হয়ে আরও উচ্চতর ডিগ্রী অর্জনের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিশ্চিত সম্ভাবনার দ্বার উন্মোচন করতে পারে।’ ডিআইইউ রিয়েল এস্টেট বিভাগের শিক্ষার্থীরা এ বিভাগে নিজেদের ভর্তি হওয়া ও বিভাগের বর্তমান প্রেক্ষাপট বর্ণনা করে বলেন, ‘ডিআইইউ কে ধন্যবাদ দিতে চাই রিয়েল এস্টেট ডিপার্টমেন্টের মতো একটি নতুন ও সম্ভাবনাময় বিষয় খোলার জন্য। এখানকার শিক্ষাব্যবস্থা মানসম্মত, শিক্ষার পরিবেশ বন্ধুভাবাপন্ন এবং শিক্ষাব্যয় সীমিত। এখান থেকে ভাল রেজাল্ট করে সামাজিক দায়বদ্ধতা পূরণের পাশাপাশি নিজেদের জন্য ভাল কিছু করতে পারব বলে বিশ্বাস করি।’ যোগাযোগ: ৪/২ সোবাহানবাগ, ধানমণ্ডি, ঢাকা। ফোনঃ ৯১২৮৭০৫, ০১৭১৩৪৯৩০৫০।
×