ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি

প্রকাশিত: ০২:১৯, ৫ জানুয়ারি ২০১৮

জামায়াতের রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহন করেনি

বিশেষ প্রতিনিধি ॥ হাইকোর্ট জামায়াতে ইসলামীর রাজনীতি নিষিদ্ধ করায় ৫ জানুয়ারীর দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি অংশগ্রহণ করেনি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবউল আলম হানিফ। তিনি বলেন, বিএনপি ৫ জানুয়ারিকে গণতন্ত্র বা ভোটারাধিকার হরণ দিবস পালন করে অথচ বিএনপি-জামায়াত সংবিধান অনুযায়ী নির্বাচনে বাধা দিয়ে অশুভ শক্তির উত্থান ঘটাতে চেয়েছিল। তারা সেই অশুভ শক্তির উত্থান চেয়েছিল, যাতে করে পাকিস্তানি রাষ্ট্র কায়েম হয়। বিএনপি-জামায়াত দেশের শত্রু-জাতির শত্রু। শুক্রবার ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ ইউনাইটেড ইসলামী পার্টি আয়োজিত ‘গণতন্ত্র রক্ষা, সন্ত্রাসী ও জঙ্গী দমনে আলেম-ওলামা’-শীর্ষক সমাবেশ ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে রাখতে গিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।এতে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনের প্রতিষ্ঠাতা চেয়্যারম্যান মো. ইসমাইল হোসাইন। জিয়া এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না এমন মন্তব্য করে হানিফ আরও বলেন, এতিমখানা দুর্নীতি মামলায় তিনি (খালদা জিয়া) নিজেকে নির্দোষ প্রমাণ করতে পারবেন না। আর এজন্যই নানা টালবাহানা করে এই সরকারের সময় পার করতে চাইছেন। বেগম জিয়া মনে করছেন কোনো মতে এই সরকারের সময় পার করতে পারলেই তারা ক্ষমতায় এসে খালাস পেয়ে যাবেন। আওয়ামী লীগের এই নেতা আরো বলেন, সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে এক মাস আগে ইউনাইটেড ইসলামিক পার্টি সমাবেশের অনুমতি নিয়েছে। অথচ হঠাৎ করে বিএনপি এখানে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে আরেকটি সহিংস পরিবেশ সৃষ্টি করতে চেয়েছিলো। এরা দেশটাকে অস্থির পরিবেশ সৃষ্টি করে অশু শক্তিকে আনতে চায়। তিনি বলেন, মিডিয়ায় খবর বের হয়েছে তারেক রহমান সৌদি আরবে ১২ শ’ কোটি ডলার বিনিয়োগ করেছে। জিয়ায় ভাঙ্গা সুটকেস থেকে এই বিপুল পরিমান অর্থ কিভাবে বের হলো? এটা দেশের টাকা জনগণের টাকা। খালেদা জিয়ার সুপুত্র তারেকের ব্যাংক জালিয়াতির অভিযোগে সিঙ্গাপুরে ৭ বছর কারাদন্ড হয়েছে এবং পাচার হওয়া ১০ কোটি টাকা বাংলাদেশ সরকারকে ফেরত দিয়েছে সিঙ্গাপুর সরকার। একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগের জন্য অত্যান্ত গুরুত্বপূর্ণ মন্তব্য করে হানিফ বলেন, নির্বাচনে আসা না আসা একটি দলের গণতান্ত্রিক অধিকার। আগামী নির্বাচন সঠিক সময়ে সংবিধান অনুযায়ী হবে। সে নির্বাচনে কে আসলো না আসলো তা বিবেচ্য বিষয় নয়। সভায় আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক হাছান মাহমুদ বলেন, বিএনপি বিশৃঙ্খলার দল। এরা ইসলামের চর্চা করে না। শেখ হাসিনা পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়েন। আর নায়িকারা বুড়ো হলে যেমন দেখা যায়, খালেদা জিয়াকে সেরকমই লাগে। এরা সারা বছর ইসলামের কোনো খেদমত করে না, অথচ এই অশুভ শক্তি বারবার পবিত্র ইসলামকে ব্যবহার করে ক্ষমতায় আসতে চায়। সমাবেশে আরো বক্তব্য রাখেন সংসদ সদস্য সিরাজুল ইসলাম মোল্লা, সংগঠনের সংগঠনের মহাসচিব আল্লামা হযরত মাওলানা শাহাদাত হোসাইন, প্রেসিডিয়াম সদস্য মাওলানা গোলাম মোস্তফা, মাওলানা এখলাসুর রহমান প্রমুখ। পরে গণসঙ্গীত ও ধর্মীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়।
×