ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

অভিযুক্ত খালেদা জিয়া

প্রকাশিত: ০৭:২২, ১ জানুয়ারি ২০১৮

অভিযুক্ত খালেদা জিয়া

বছরের দ্বিতীয়ার্ধে খালেদা জিয়ার লন্ডন গমনের পর শুরু হয় তার ফেরা না ফেরা নিয়ে বিতর্ক। দীর্ঘ দু’মাস পর তার ফিরে আসাতে বিতর্কের অবসান। আলোচনায় ছিল খালেদা জিয়ার বিরুদ্ধে বিচারাধীন দুর্নীতি মামলা। খালেদা জিয়া নিজে এবং তার আইনজীবীরা সম্ভব অসম্ভব সব উপায়ে মামলার কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করার চেষ্টা করেছেন। বিশাল গাড়ির বহর নিয়ে রোহিঙ্গাদের ত্রাণ বিতরণে তার সফর ও নবেম্বরের সমাবেশও ছিল আলোচনায়। বেগম খালেদা জিয়া ও তার লন্ডনে পলাতক বড় পুত্রের নামে দুটি দুর্নীতি মামলা দেশে বর্তমানে বিচারের শেষ পর্যায়ে। এর মাঝেই নতুন অভিযোগে অভিযুক্ত হলেন তারা। এবার দুর্নীতিলব্ধ অর্থপাচার ও বিদেশে সম্পদ অর্জনের। সম্প্রতি সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমানের নেতৃত্বে সে দেশে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে বেরিয়ে আসে চাঞ্চল্যকর এই তথ্য। দেশে দুর্নীতিলব্ধ অর্থের মাধ্যমে তারা সৌদি আরব, কাতারসহ বিভিন্ন দেশে গড়ে তুলেছেন সম্পদের পাহাড়। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক একটি সংবাদ সংস্থা জানায়, সৌদি আরবে চলমান দুর্নীতিবিরোধী অভিযানে অন্তত পাঁচজন বিদেশী সরকার প্রধানের সেদেশে বিনিয়োগের তথ্য পাওয়া যায়। এর মধ্যে সাবেক পাকিস্তানী প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ ও লেবাননের প্রধানমন্ত্রী সাদ আল হারিরিও আছেন। এছাড়াও খালেদা জিয়ার প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর বিরুদ্ধেও অভিযোগ আছে সৌদি আরব, কাতারে বিপুল বিনিয়োগের। সূত্র জানায় বিদেশে বিনিয়োগকৃত জিয়া পরিবারের মোট সম্পদের পরিমাণ ১২ বিলিয়ন ডলার। তাদের মালিকানায় বিভিন্ন দেশে রয়েছে বিলাসবহুল শপিং মল ও বানিজ্যিক ভবন।
×