ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

ফের ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ॥ নিহত ৩ পাক সেনা

প্রকাশিত: ২০:৩৭, ২৬ ডিসেম্বর ২০১৭

ফের ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ ॥ নিহত ৩ পাক সেনা

অনলাইন ডেস্ক ॥ নিয়ন্ত্রণরেখা পেরিয়ে পাক অধিকৃত কাশ্মীরের সেনা ঘাঁটিতে আঘাত হানল ভারতীয় সেনাবাহিনী। ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর জবাব ‘ক্রশ বর্ডার রেড’। গত বছরের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’-এর পর ভারতীয় সেনা আবারও এই ধরনের হামলা করল। সংবাদ সংস্থা এএনআই সূত্রে খবর, গতকাল সোমবার সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ পাক অধিকৃত কাশ্মীরের রাওলাকোটের রুখ চাকরি সেক্টরে এই ‘ক্রশ বর্ডার’ হামলা চালানো হয়েছে।হামলা চালায় ভারতীয় সেনা।হামলায় ৩ পাক সেনা-জওয়ানের মৃত্যু হয়েছে। গুরুতর আহত হয়েছেন আরও এক পাক জওয়ান। পাকিস্তানের তরফেও এই হামলার কথা স্বীকার করে নেওয়া হয়েছে। সূত্রের খবর, নিহত পাক জওয়ানদের নাম সাজ্জাদ, আব্দুল রহমান এবং এম উসমান। আহত জওয়ানের নাম এ হুসেন। ভারত যে ধরনের হামলা চালিয়েছে, তাকে সামরিক পরিভাষায় ‘ক্রশ বর্ডার রেড’ বলা হয়। অর্থাৎ, নিয়ন্ত্রণ রেখা টপকে সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালানো। গত শনিবার জম্মু-কাশ্মীরে ভারত-পাক নিয়ন্ত্রণরেখায় পাকিস্তান সেনার হামলায় প্রাণ হারিয়েছিলেন এক মেজর-সহ চার ভারতীয় সেনা। সে দিন ভারতীয় সেনা দলকে নির্দিষ্ট ভাবে নিশানা করেই হামলা চালানো হয়েছিল। সামরিক পরিভাষায় যার নাম ‘টার্গেটেড কিলিং’। এ বার সেই ‘টার্গেটেড কিলিং’-এর জবাব ভারতীয় সেনা দিল ‘ক্রশ বর্ডার রেড’-এর মাধ্যমে। ২০১৬ সাল থেকেই জঙ্গি হামলার পাশাপাশি পাক বাহিনীর বারংবার হামলায় জেরবার নিয়ন্ত্রণরেখা। তবে সেনা সূত্রের মতে, নৌশেরা সেক্টরে ছোটখাটো সংঘর্ষ বিরতি হলেও প্রায় মাস খানেক পরে গত শনিবার ফের বড় হামলা চালায় পাকিস্তান। ১৬ নভেম্বর পুঞ্চের শাহপুর ও দেগওয়ারে বড় ধরনের মর্টার হামলা চালিয়েছিল পাক সেনা। ফলে নিয়ন্ত্রণরেখার কাছে গুলপুর ও নাকারকোট এলাকায় স্থানীয় স্কুল বন্ধ করে দিতে বাধ্য হয় প্রশাসন। চলতি বছরে এখনও পর্যন্ত ৩০০ বার সংঘর্ষবিরতি ভেঙেছে পাকিস্তান। তাতে সেনা ও স্থানীয় বাসিন্দা মিলে ১২ জন নিহত হয়েছেন। পাক সেনাপ্রধান কমর বাজওয়া সম্প্রতি ভারতের সঙ্গে শান্তি স্থাপনের কথা বলেছিলেন। যদিও তার পরেই ভারতীয় সেনাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায় পাক সেনা। যার ফলে স্পষ্ট হয় বাজওয়া মুখে যা-ই বলুন, পাক সেনা ভারত-বিরোধিতার অবস্থান থেকে একচুলও নড়েনি। সূত্র : আনন্দবাজার পত্রিকা
×