ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

আজ ফাইনালে ভারতকে হারানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের

প্রকাশিত: ০৫:১২, ২৪ ডিসেম্বর ২০১৭

আজ ফাইনালে ভারতকে হারানোর প্রত্যয় বাংলাদেশের

রুমেল খান ॥ টুর্নামেন্ট শুরুর সময় অংশ নেয়া সফরকারী তিনটি দলেরই কোচ জানিয়েছিলেন এই আসরে বাংলাদেশই ফেভারিট। তবে টুর্নামেন্ট শুরু হওয়ার পর ভারত দলের কোচ মায়মল রকি এই অবস্থান থেকে সরে আসেন। ঘোষণা দেন, ‘বাংলাদেশ ভাল দল, কোন সন্দেহ নেই। তাই বলে তারাই একমাত্র ফেভারিট নয়। আমরা শিরোপা জয়ের অন্যতম দাবিদার।’ তবে ফাইনালে উঠতে না পারা ভুটান (কোচ সুং জি লি) এবং নেপালের কোচ (গঙ্গা গুরুং) ঢাকা ছাড়ার আগে তাদের আগের কথারই পুনরাবৃত্তি করে গেছেন, ‘ফাইনালে বাংলাদেশই ফেভারিট। কারণ তারা শারীরিকভাবে এবং কৌশলগত দিক দিয়ে ভারতের চেয়ে অনেক এগিয়ে।’ সুং এবং গঙ্গার ধারণা যে শতভাগ সঠিক ছিল তা প্রমাণ করার দিন আজ। কমলাপুর স্টেডিয়ামে দুপুর ২টায় অনুষ্ঠিত জমজমাট এই চূড়ান্ত মহারণে ভারতকে হারানোর লক্ষ্য নিয়ে টার্ফে নামতে হবে মারিয়া, মনিকা, আঁখিদের। লক্ষ্য পূরণ হলে তাদের হাতে উঠবে সাফ অ-১৫ মহিলা চ্যাম্পিয়নশিপের প্রথম আসরের ট্রফিটি। এই ট্রফিটি তখন তারা উৎসর্গ করবে সাবিনা ইয়াসমিনকে। যে কিনা এই দলেরই খেলোয়াড় ছিল। গত ২৬ সেপ্টেম্বর ময়মনসিংহে তিনদিনের জ্বরে আকস্মিকভাবে মৃত্যুবরণ করে। দর্শকদের জন্য সুখবর হচ্ছে, তাদের জন্য আজকে খেলা দেখার টিকেট ফ্রি। যারা বিভিন্ন কারণে স্টেডিয়ামে গিয়ে খেলা উপভোগ করতে পারবেন না তাদের জন্যও রয়েছে সুখবর। বিটিভি ওয়ার্ল্ড, সময় টিভি অনলাইন (সময় নিউজ ডট.টিভি), প্রথম আলোর ফেসবুক পেজ এবং প্রথম আলোর অনলাইন সংস্করণ (ইউটিউবে) সরাসরি দেখা যাবে খেলা। ফাইনালে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। বাংলাদেশ দলের কোচ গোলাম রব্বানী ছোটন বলেছেন, ‘আগের তিন ম্যাচে যেভাবে খেলেছি ফাইনালেও সেভাবেই খেলতে চাই। আমরা আমাদের লক্ষ্য থেকে বিচ্যুত হতে চাই না। স্বাভাবিক খেলাটা খেলে এবং সুযোগ কাজে লাগাতে চাই। ভারত শক্তিশালী দল হলেও ওদের চেয়ে আমরা কোন অংশে পিছিয়ে নেই।’ দলের দুই নির্ভরযোগ্য ফুটবলার তহুরা খাতুন এবং সাজেদা খাতুন ইনজুরিতে। শনিবার বাফুফের আর্টিফিসিয়াল টার্ফে তহুরা ৪০ মিনিটের মতো অনুশীলন করে। সে পুরোপুরি খেলার জন্য ফিট। তবে সাজেদার চোট এখনও সারেনি। কাজেই ফাইনালে তার খেলার কোন সম্ভাবনা নেই। ছোটন আরও জানান, তার দলের খেলার ফর্মেশন শুরুতে হবে ৪-৩-২-১। তবে ভারত দলের খেলার কৌশল পর্যবেক্ষণ করে তিনিও খেলার ধরন পাল্টাবেন। এই আসরে লীগ ম্যাচে নেপালকে ৬-০, ভুটানকে ৩-০ এবং ভারতকে ৩-০ গোলে হারিয়েছে বাংলাদেশ। এখনও অপরাজিত থাকার পাশাপাশি একমাত্র দল হিসেবে কোন গোলও হজম করেনি তারা। পক্ষান্তরে ভারত লীগ ম্যাচে ভুটানকে ৩-০ এবং নেপালকে ১০-০ গোলে হারায়। হারে বাংলাদেশের কাছে। এই আসরে এখন পর্যন্ত সবচেয়ে বেশি গোল (১৩টি) করেছে তারাই। বাংলাদেশ দলের প্লাস পয়েন্ট হচ্ছে- এই আসরে তাদের একাধিক ফুটবলার (৬ জন) গোল করেছে। তহুরা ও আনুচিং ৩টি করে, মনিকা ও আঁখি ২টি করে, সাজেদা ও শামসুন্নাহার ১টি করে। এটাই কোচ ছোটনের জন্য ভরসার কথা। ২০১৫ সালে এএফসি অনুর্ধ-১৪ আঞ্চলিক চ্যাম্পিয়নশিপে ভারতকে দু’বার হারিয়েছিল বাংলাদেশ। গ্রুপপর্বে ৩-১ এবং ফাইনালে ৪-০ গোলে। এবার সাফ অ-১৫ আসরে লীগ ম্যাচে হারিয়ে তাদের হ্যাটট্রিক তেতো হারের স্বাদ উপহার দেয়া লাল-সবুজরা কী আজও পারবে ভারতকে হারিয়ে আরেকটি সাফল্যগাথা রচনা করতে?
×