ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

রংপুরের নির্বাচনকে বিএনপি কলংকিত করতে চায় ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত: ২৩:৪৫, ২২ ডিসেম্বর ২০১৭

রংপুরের নির্বাচনকে বিএনপি কলংকিত করতে চায় ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী

নিজস্ব সংবাদদাতা, ভোলা ॥ বাণিজ্যমন্ত্রী তোফায়েল আহমেদ বলেছেন, যারা রংপুরের অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন কে কলংকিত ও কলুসিত করতে চায় তাদের কথা মানুষ আর বিশ্বাস করবে না। বিএনপি সবকিছুকেই ভিন্ন চোখে দেখে। সবকিছুতেই না বলে, বিএনপি’র কথার কোন মূল্য নেই। মন্ত্রী আরো বলেন, বিএনপি ২০১৪ সনের ৫ জানুয়ারি নির্বাচন করেনি। বহু চেষ্টা করেছে নির্বাচন বাঁধা গ্রস্থ করার। ২০১৩-১৪ সনে অর্থনীতিকে পঙ্গু করার চেষ্টা করেছে। ১৯১৫ সনে ৯৩ দিন হরতাল অবরোধ পঙ্গু করার চেষ্টা করে ব্যর্থ হয়েছে। আগামীতেও ব্যর্থ হবে। যে দল রাজনীতিতে ব্যর্থ হয়। তারা নির্বাচনেও ব্যর্থ হয়। আজ শুক্রবার ভোলা প্রেসক্লাবের আয়োজনে শহরের গাজীপুর রোডস্থ বাণিজ্য মন্ত্রীর বাস ভবনে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথি’র বক্তব্যে মন্ত্রী এসব কথা বলেন। বাণিজ্য মন্ত্রী বলেন, মিডিয়া দেশী বিদেশী আর্ন্তজাতিক সংস্থা রংপুরের মানুষ স্বচোখে দেখেছে অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয়েছে। কিন্তু বিএনপি যে ব্যাধি এক টা রোগ সব কিছুতেই ভিন্ন চোখে দেখা। এক মাত্র বিএনপি বলেছে কারচুপি হয়েছে। বিএনপির কথার কোন মূল্য নেই। তারা যে কোন কথা সত্যকে মিথ্যা বলার চেষ্টা করে। কিন্তু মানুষ বুঝে গেছে,বিএনপির সব কিছুতে না বলার অভ্যাস। তিনি বলেন, আগামী নির্বাচন বর্তমান সরকার ও এই নির্বাচন কমিশনের অধীনে। অবাধ নিরপেক্ষ এবং গ্রহনযোগ্য নির্বাচন ২০১৯ সালের ২৯ জানুয়ারির আগে ৯০ দিনের মধ্যে যে কোন দিন হবে। মন্ত্রী আরো করেছেন, বঙ্গবন্ধুর খুনিদের দূতাবাসে চাকুরী দিয়ে জিয়াউর রহমান দেশ ও স্বাধীনতার মূল্যবোধকে ধ্বংস করে দিয়েছে। এছাড়াও তার আমলে ৭মার্চের ভাষণ রেডিও টেলিভিশনে প্রচার করতে দেয়নি জিয়াউর রহমান। ৯১ এর নির্বাচনের পর আমি বঙ্গবন্ধুর ভাষনকে রেডিও টেলিভিশনে প্রচারের জন্য সংসদে প্রস্তাব উত্থাপন করলে বিএনপি তা প্রত্যাখ্যান করে। কিন্তু আজ সেই ভাষণ বিশ্ব বিখ্যাত ভাষণ হিসেবে অন্তর্জাতিক হিসেবে ইউনেস্কো স্বীকৃত । পরবর্তীতে ১৯৯৬ সালে খালেদা জিয়াও ক্ষমতায় এসে বঙ্গবন্ধুর খুনিদেরকে নির্বাচিত করে সংসদে বসিয়েছে। মন্ত্রী ভোলার অবকাঠামোগত উন্নয়ন প্রসঙ্গে বলেন, আগামী এক বছরের মধ্যে ভোলার একটি রাস্তাও কাঁচা থাকবে না। ভোলা হবে বাংলাদেশের মধ্যে সিঙ্গাপুর। ভোলার মওজুদ গ্যাস দিয়ে বিভিন্ন শিল্প কারখানা গড়ে তোলা হবে। ভোলা-বরিশাল ব্রিজ স্থাপনের জন্য সম্ভাব্যতা যাচাইয়ের কাজ শুরু হয়েছে। ভোলা-বরিশাল সড়ক যোগাযোগের জন্য ব্রিজ স্থাপনের পরিকল্পনা হাতে নেওয়া হয়েছে। খুব দ্রুত ভোলা-বরিশাল সড়ক স্থাপিত হবে। ভোলা প্রেসক্লাব সভাপতি এম হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে মতবিনিময় সভায় এ সময় উপস্থিত ছিলেন, জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক আব্দুল মমিন টুলু, পৌর মেয়র মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক নজরুল ইসলাম গোলদার,প্রবীন সাংবাদিক আবু তাহের, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ন সম্পাদক জহুরুল ইসলাম নকিব,এনামুল হক আরজু,জেলা আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক মইনুল হোসেন বিপ্লব,ভোলা জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ডেপুটি কমান্ডার সফিকুল ইসলামসহ দলীয় নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
×