ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৭ বৈশাখ ১৪৩১

রাজধানীতে র‌্যাবের হাতে দুই জঙ্গী গ্রেফতার

প্রকাশিত: ০১:৫৮, ২০ ডিসেম্বর ২০১৭

রাজধানীতে র‌্যাবের হাতে দুই জঙ্গী গ্রেফতার

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানী ঢাকার যাত্রাবাড়ী থানার সায়েদাবাদ বাসস্ট্যান্ড এলাকায় অভিযান চালিয়ে জেএমবি’র (সারোয়ার গ্রুপ) দুই জঙ্গীকে গ্রেফতার করেছে র্যাব-১১ সদস্যরা। গ্রেফতারকৃতরা হলো- মিজানুর রহমান ওরফে আব্দুল্লাহ ওরফে আব্দুল্লাহ আল মিজান (৩৭) ও ইব্রাহীম খলিল ওরফে ইব্রাহীম ওরফে শাহাজাহান (৩০)। মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টা থেকে রাত পৌঁনে ১১টা পর্যন্ত র্যাব-১১ এর একটি দল অভিযান চালিয়ে তাদেরকে গ্রেফতার করে। এদের কাছ থেকে র্যাব জঙ্গীবাদী বই ও লিফলেট উদ্ধার করে। বুধবার বেলা ৩টায় র্যাব-১১’র সিনিয়র সহকারী পরিচালক ও অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শাকিল আহমেদ স্বাক্ষরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়। প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে র্যাব জানায়, গ্রেফতারকৃতরা নারায়ণগঞ্জের বন্দর থানার সন্ত্রাস বিরোধী একটি মামলার (নং-৬৯ তাং ২২/০৮/২০১৭) এজাহার নামীয় পলাতক আসামী। গ্রেফতারকৃত আব্দুল্লাহ আল মিজান ২০০৯ সালে জৈনক আবদুর রউফের একটি বই পড়ে উগ্রবাদের দিকে আকৃষ্ট হয় এবং জসিম উদ্দিন রাহমানির ধানমন্ডির হাতেমবাগ মসজিদে যাতায়াত শুরু করে। পরে জসিম উদ্দিন রাহমানির একনিষ্ট ছাত্র হিসেবে পরিচিতি লাভ করে। পরে উগ্রতার আদের্শে উজ্জবিত হয়ে জঙ্গীবাদে স¤পৃক্ত হয় এবং সাভার এলাকায় জেএমবি’র দাওয়াতী কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে জসিমউদ্দিন রাহমানি গ্রেফতার হওয়ার পর সে সাভার এলাকায় জেএমবির দাওয়াতী কাজ করতে থাকে এবং নিজস্ব বলয় তৈরি করে সাভার এলাকার দাওয়াতী আমির হিসেবে কাজ করে আসছে। সে কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানার কুতু পালং এলাকায় জেএমবি’র কার্যক্রম পরিচালনার উদ্দেশ্যে এক রোহিঙ্গা নারীকে বিগত এক মাস পূর্বে বিয়ে করে সাভার এলাকায় নিয়ে আসে এবং ঘন ঘন কক্সবাজার জেলার টেকনাফ থানাধীন কুতু পালং এ যাতায়াত করে জেএমবির সদস সংখ্যা বৃদ্ধির কাজ করে আসছিল। সে সাভার এলাকায় সাত সদস্যের দাওয়াতী কমিটির মাধ্যমে জেএমবি’র (সারোয়ার গ্রুপ) দাওয়াতী আমির হিসেবে কাজ করে আসছিল এবং ঐ কমিটির মধ্য হতে ইতোমধ্যে আইনশৃংখলা বাহিনীর হাতে তিনজন এবং র্যাব-১১ এর হাতে এক সদস্য গ্রেফতার হয় । র্যাব আরও জানায়, ইব্রাহীম খলিল ২০১১ সালে আব্দুল্লাহ আল মিজানের মাধ্যমে জেএমবিতে যোগদান করে সাভার এলাকায় জেএমবির দাওয়াতী কাজ শুরু করে। পরবর্তীতে ২০১৫ সালে পুণরায় আব্দুল্লাহ আল মিজানের হাত ধরেই জেএমবি’র (সারোয়ার গ্রুপে) দাওয়াতী কাজ করতে থাকে। সে তার ইমামতী পেশার পাশাপাশি ফরিদপুর, কক্সবাজারসহ একাধিক জেলায় জেএমবির দাওয়াতী কাজ করেছে এবং জেএমবির সদস্য সংখ্যা বৃদ্ধির কাজ করে আসছিল। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়াধীন রয়েছে বলে র্যাব জানায়।
×