ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

প্রকাশিত: ০৫:৫৪, ১৯ ডিসেম্বর ২০১৭

দুর্যোগ মোকাবেলায় ব্যাপক সচেতনতা সৃষ্টি করতে হবে ॥ রাষ্ট্রপতি

রাষ্ট্রপতি মোঃ আবদুল হামিদ জলবায়ু পরিবর্তনজনিত দুর্যোগ মোকাবেলায় যথাযথ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে দক্ষ যুবক গড়ে তুলতে এবং ব্যাপক জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন। রাষ্ট্রপতি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষয়ক্ষতি কমাতে একটি দক্ষ জনশক্তি ও স্বেচ্ছাসেবক গড়ে তুলতে সরকারের সহযোগিতার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনগুলোর সহায়তা খুবই জরুরী। তিনি সোমবার বিকেলে রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির ১৩তম জাতীয় যুব রেড ক্রিসেন্ট ক্যাম্প-২০১৭-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির ভাষণে এ কথা বলেন। ভৌগোলিক অবস্থানগত এবং বৈশ্বিক উষ্ণতার কারণে বাংলাদেশ পৃথিবীর অন্যতম প্রাকৃতিক দুযোর্গপ্রবণ দেশ বলে উল্লেখ করে রাষ্ট্রপতি প্রাকৃতিক দুর্যোগের ঝুঁকি মোকাবেলায় একটি সময়োপযোগী পরিকল্পনা প্রণয়নে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয় এবং বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটিসহ সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান। খবর বাসসর। তিনি বলেন, প্রাকৃতিক দুর্যোগ বন্ধ এবং নিয়ন্ত্রণ করা একেবারেই অসম্ভব, তবে জনসচেতনতা সৃষ্টি এবং শিক্ষামূলক কর্মকা-ের মাধ্যমে প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব। তিনি বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগ মোকাবেলায় বর্তমান সরকার গৃহীত বিভিন্ন সময়োপযোগী পদক্ষেপের উল্লেখ করে বলেন, এ সকল পদক্ষেপের কারণে জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে আনা সম্ভব হয়েছে। তিনি রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির সদস্যদের উদ্দেশ্যে বলেন, এই সফলতার অংশীদার আপনারাও। রাষ্ট্রপতি দক্ষ তরুণদের নিয়ে বাংলাদেশ রেড ক্রিসেন্ট সোসাইটির একটি শক্তিশালী নেটওয়ার্ক গড়ে তোলার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, সারাদেশে সোসাইটির কর্মকা-কে আরও সম্প্রসারিত করতে হবে এবং জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা আরও বাড়াতে হবে। রাষ্ট্রপতি জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের সমৃদ্ধ দেশ গড়ে তুলতে তরুণরাই দেশের ভবিষ্যত বলে উল্লেখ করে যুবশক্তিই সংস্কারমুক্ত হয়ে সৎ ও ন্যায়ের পথে থেকে জাতিকে একটি সোনালি ভোর উপহার দেবে বলে আশা প্রকাশ করেন। আবদুল হামিদ লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন মানবিক সেবামূলক কর্মকা-ে সম্পৃক্ত হওয়ায় যুবসমাজকে বিশেষ করে ছাত্রদের ধন্যবাদ জানান। তিনি তরুণদের উদ্দেশ্যে বলেন, ২০২১ সালে আমরা অত্যন্ত জাঁকজমকপূর্ণভাবে স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উদযাপন করব, তাই তোমাদের এখন থেকেই ভাবতে হবে, স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে তোমরা কেমন বাংলাদেশ চাও। সে লক্ষ্যে এখন থেকেই তোমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। ভিশন-২০২১ ও ভিশন-২০৪১ বাস্তবায়নে এবং জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বপ্নের ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত সোনার বাংলা প্রতিষ্ঠিত করতে তরুণদের গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে হবে।
×