ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দুই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

প্রকাশিত: ০২:২০, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে দুই হাজার কোটি টাকা দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক

স্টাফ রিপোর্টার ॥ চলমান বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচিতে অতিরিক্ত ২৪ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার সুদমুক্ত ঋণ অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক। দেশীয় মুদ্রায় এর পরিমাণ প্রায় দুই হাজার কোটি টাকা। অতিদরিদ্র জনগোষ্ঠীকে সহায়তার জন্য সরকারের নেয়া এ কর্মসূচির স্বচ্ছতা ও দক্ষতা উন্নয়নে এই অর্থ্য ব্যয় করা হবে। সোমবার বিকেলে বিশ্বব্যাংকের ঢাকা কার্যালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। এতে বলা হয়, অতিরিক্ত অর্থ সহায়তার মাধ্যমে চলমান ‘সেফটি নেট সিস্টেম ফর দ্য পুওরেস্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের ৯০ লাখ অতি দরিদ্র পরিবার লাভবান হবেন। অতিরিক্ত অর্থায়নসহ প্রকল্পটিতে বিশ্বব্যাংকের মোট প্রতিশ্রুতির পরিমান দাড়িয়েছে ৭৪ কোটি ৫০ লাখ ডলার। প্রকল্পটির মেয়াদা ধরা হয়েছে ৩০ জুন ২০১৯ পর্যন্ত। এটি দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বিভাগের অধীন দেশের সবচেয়ে বড় কয়েকটি সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির কর্মক্ষমতা উন্নত করতে সাহায্য করবে। এই কর্মসূচিতে সরকারি প্রতিষ্ঠানের সক্ষমতা উন্নয়ন ও মানবিক সহায়তার বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত রয়েছে। এ প্রসঙ্গে বিশ্বব্যাংকের অপারেশনস ম্যানেজার রাজশ্রী পারলকার বলেন, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ সামাজিক সুরক্ষা খাতে ৩৫০ কোটি ডলার (প্রায় ২৮ হাজার কোটি টাকা) ব্যয় করেছে, যা মোট দেশজ উৎপাদনের (জিডিপি) প্রায় ১ দশমিক ৪ শতাংশ। তিনি বলেন, দরিদ্র পরিবারগুলিকে কার্যকরভাবে সনাক্ত করে নিরাপত্তা কর্মসূচি পরিচালনা করা প্রয়োজন। এর মাধ্যমে সরকার সম্পদের কার্যকর ব্যবহার নিশ্চিত করে দারিদ্র কমিয়ে আনতে সক্ষম হবে। জানা গেছে, বিশ্বব্যাংক কর্মসূচির ব্যবস্থাপনাকে ডিজিটলাইজড করা, যাবতীয় তথ্য ব্যবস্থাপনাকে উন্নত করা এবং ডিজিটাল পেমেন্ট চালুর ক্ষেত্রে সহায়তা করবে। এছাড়া এটি দেশের প্রথম ‘পোভার্টি রেজিস্ট্রি’ (দরিদ্র জনগোষ্ঠীর হালনাগাদ তালিকা) তৈরিতেও সহযোতিা করবে। এতে বিভিন্ন সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচির জন্য বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থা আরো কার্যকরভাবে সুবিধাভোগী নির্বাচন করতে পারবে। উল্লেখ্য, এ অতিরিক্ত ঋণ সহায়তা বিশ্বব্যাংকের ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্ট এসোসিয়েশন (আইডিএ) থেকে পাওয়া যাবে। সুদমুক্ত হলেও ঋণের ছাড়কৃত অর্থের জন্য বার্ষিক শূন্য দশমিক ৭৫ শতাংশ সার্ভিস চার্জ দিতে হবে। ছয় বছরের গ্রেস পিরিয়ডসহ ঋণ পরিশোধে সময় পাওয়া যাবে ৩৮ বছর।
×