ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

রাজধানীর শুক্রবাদে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের খুনের অভিযোগ

প্রকাশিত: ০২:১৯, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

রাজধানীর শুক্রবাদে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের খুনের অভিযোগ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর শুক্রবাদে রফিকুল হাসান রিমন (৪২) নামে এক মেরিন ইঞ্জিনিয়ারের খুনের অভিযোগ উঠেছে। সোমবার বিকেলে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে তার লাশের ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। এ ব্যাপারে রমনা বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) মারুফ হোসেন সরদার জানান, নিহত রিমনের কানের দুই পাশে আঘাতের তেথলানো জখমের চিহ্ন, দুই চোখ ফোলা,ও ঘাড়ে লালচে দাগ রয়েছে। ডিসি জানান, এটি দেখে মনে হচ্ছে আত্মহত্যা নয়। হত্যাকাণ্ড। ওখানে গিয়ে তার আত্মহত্যার কারণ পাইনি। দুই কারণ বিবেচনায় নিয়ে তদন্ত করে করা হচ্ছে। নিউমার্কেট থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই) মাহবুবুর রহমান সরকার জানান, সোমবার ভোরেরদিকে শুক্রবারবাদ এলাকা দশতলা নির্মানাধীন ভবনের নিচতলা বেজমেন্ট থেকে রফিকুল হাসান রিমনের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ঢামেক মর্গে পাঠায়। এসআই মাহবুবুর রহমান জানান, সম্প্রতি স্ত্রীর সঙ্গে বিচ্ছেদ হয় মেরিন ইঞ্জিনিয়ার রিমনের। তাদের ২ সন্তান। স্ত্রী থাকেন সায়েন্স ল্যাবরেটরি রোডের একটি বাসায়। তিনি জানান, ১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উপলক্ষ্যে রিমন সায়েন্স ল্যাবরেটরি এলাকায় শ্বশুড়বাড়িতে গিয়ে দুই সন্তানকে স্ত্রীর কাছ নিয়ে ঘুরতে বের হন। সারা দিন ঘুরে সন্ধ্যার পর সেখানে নামিয়ে দিয়ে রিমন চলে যায়। এরপর থেকে তার কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টার দিকে তার মোবাইল ফোন খোলা থাকলেও কল রিসিভ হচ্ছিল না। পরে পরিবারের লোকজন শনিবার নিউমার্কেট থানায় একটি জিডি করেন। রবিবার রাতে শুক্রাবাদ এলাকার নির্মাণাধীন ওই ভবনে থেকে রিমনের লাশ পড়ে থাকার খবর পেয়ে পুলিশ সেখানে যায়। পরে দুই বন্ধু নিহত ব্যক্তিকে রিমন হিসেবে শনাক্ত করেন। পুলিশ জানায়, সম্প্রতি তিনি টুটুল নামে বন্ধুর সঙ্গে শুক্রাবাদের ওই নির্মাণাধীন ভবনের একটি ফ্ল্যাট কেনেন। এ নিয়ে বন্ধু টুটুলের সঙ্গে দ্বন্দ্ব চলছিল। এরই কারনে রিমন খুন হয়ে বলে ধারনা করা হচ্ছে বলে এসআই মাহবুবুর রহমান জানান। এ নিয়ে তদন্ত শুরু হয়েছে। নিউ মার্কেট থানার পরিদর্শক (অপারেশন) আব্দুল সালাম জানান, রিমন নিখোঁজের ঘটনায় জিডি হওয়ার পরপরই তারা তদন্ত শুরু করা হয়েছিল। এখন তার লাশ উদ্ধারের পরই ঘটনার মোড় ঘুরে গেছে। ঘটনাটি হত্যাকান্ড বলে মনে করা হচ্ছে। পুলিশ জানায়, নিহতের বাবার নাম মোঃ খলিল উল্লাহ। গ্রামের বাড়ি লক্ষীপুর জেলার মনোহরপুর গ্রামে। তিনি উত্তরার ৭ নম্বর সেক্টরের ৭ নম্বর সড়কের ২ নম্বর বাড়িতে থাকতেন।
×