ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মহিউদ্দিনের কুলখানিতে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

প্রকাশিত: ২৩:০৬, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

মহিউদ্দিনের কুলখানিতে পদদলিত হয়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১০

অনলাইন ডেস্ক ॥ আওয়ামী লীগ নেতা ও চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র এ বি এম মহিউদ্দিন চৌধুরীর কুলখানির মেজবানে ভিড়ের মধ্যে পদদলিত হয়ে অন্তত দশ জনের মৃত্যু হয়েছে। সোমবার দুপুরে নগরীর জামালখান আসকার দীঘির পাড়ে রীমা কমিউনিটি সেন্টারে এ ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে পুলিশ। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার জানান, ওই কমিউনিটি সেন্টার থেকে অন্তত ১৫ জনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নেওয়া হয়েছিল। তাদের মধ্যে দশজনকে মৃত ঘোষণা করা হয়েছে। নিহতদের মধ্যে ছয়জনের নাম জানাতে পেরেছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তারা হলেন- কৃষ্ণপদ দাশ (৪০), সুবীর দাশ (৫০), ঝণ্টু দাশ (৪৫), প্রদীপ তালুকদার (৪৫), লিটন দেব (৫৩) ও ঘনা শীল (৬০)। এ ঘটনার খবর পেয়ে হাসপাতালে ছুটে যান মহিউদ্দিন চৌধুরীর বড় ছেলে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক চৌধুরী মহিবুল হাসান নওফেল। সেখানে গিয়ে তিনি নিজেই অসুস্থ হয়ে পড়লে পরে তাকে বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। চট্টগ্রাম আওয়ামী লীগের সভাপতি এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী বৃহস্পতিবার গভীর রাতে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান। প্রায় ১৬ বছর চট্টগ্রামের মেয়রের দায়িত্ব পালন করা এই রাজনীতিবিদ স্থানীয়ভাবে ছিলেন দারুণ জনপ্রিয়। তার কুলখানির জন্য সোমবার পরিবারের পক্ষ থেকে নগরীর ১৪টি কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা করা হয়েছিল। অমুসলিম এবং যারা গোমাংস খান না, তাদের জন্য মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছিল ওই রীমা কমিউনিটি সেন্টারে। চট্টগ্রামের পুলিশ কমিশনার ইকবাল বাহার ঘটনাস্থলে সাংবাদিকদের বলেন, “অনেকে পড়ে গেছেন, মানুষের ভিড়ের কারণে অনেকে পদদলিত হয়েছেন।” কমিউনিটি সেন্টারের ফটকে পুলিশের তৎপরতার অভাব ছিল কি না জানতে চাইলে এই পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, বিষয়টি নিরাপত্তার সঙ্গে জড়িত নয়। “এটা মারামারি বা গ্রুপিং বা অন্য কোনো বিষয় না। নিরাপত্তার অভাব হয়নি, অতিরিক্ত মানুষের কারণে এবং ঢোকার সময় হুড়োহুড়ির কারণে অনেকে পড়ে গিয়ে পদদলিত হয়েছেন।” অন্য যেসব কমিউনিটি সেন্টারে মেজবানের ব্যবস্থা হয়েছে, সেসব জায়গায় দুর্ঘটনা এড়াতে পুলিশের তৎপরতা বাড়ানো হয়েছে বলে জানান ইকবাল বাহার।
×