ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

ফ্রান্স টোয়েন্টি ফোরকে সাক্ষাতকার

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী

প্রকাশিত: ০৫:১৫, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী

বিডিনিউজ ॥ সহিংসতার মুখে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গাদের স্বভূমিতে ফেরত পাঠাতে মিয়ানমারের সঙ্গে স্বাক্ষরিত চুক্তির বাস্তবায়ন ঘটবে বলে আশাবাদী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্যারিসে ওয়ান প্ল্যানেট সামিটে অংশগ্রহণকালে দেশটির সম্প্রচারমাধ্যম ফ্রান্স টোয়েন্টিফোরকে দেয়া এক সাক্ষাতকারে একথা বলেন তিনি। মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর যে নিপীড়ন, নির্যাতন হয়েছে তা ‘গ্রহণযোগ্য নয়’ বলে মন্তব্য করেন প্রধানমন্ত্রী। মানবিক কারণে তাদের আশ্রয় দেয়ার কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, প্রথম থেকেই সমস্যার সমাধানে দ্বিপক্ষীয় ও বহুপক্ষীয়ভাবে মিয়ানমারের সঙ্গে আলোচনার চেষ্টা করেছে বাংলাদেশ। সমাধানের পথ খুঁজতে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল ও পররাষ্ট্রমন্ত্রী আবুল হাসান মাহমুদ আলীর মিয়ানমার সফরের কথা তুলে ধরেন তিনি। গতমাসে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সফরে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন নিয়ে মিয়ানমার ও বাংলাদেশের মধ্যে সম্মতিপত্র সই হয়। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তারা যখন চুক্তিতে সই করেছে এবং তাদের ফিরিয়ে নেবে বলে সম্মতি দিয়েছে, তাদের প্রতি আমাদের আস্থা আছে। ‘তাই এদের (রোহিঙ্গা) ফিরিয়ে নেয়া উচিত। সে কারণে আমি আশাবাদী।’ মিয়ানমার সেনাবাহিনীর দমন-পীড়নের মুখে পালিয়ে আসা এসব মানুষকে সেখানে পাঠালে আবারও তাদের এ ধরনের পরিস্থিতির মুখোমুখি পড়তে হবে কি না, সেই শঙ্কার কথা তুলে ধরেন সাক্ষাতকার গ্রহীতা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘তাদের (রোহিঙ্গা) আশ্রয় ও নিরাপত্তার সব বন্দোবস্ত করতে তারা রাজি হয়েছে।’ তিনি বলেন, চুক্তিতে একটি যৌথ ওয়ার্কিং গ্রুপ গঠনের কথা বলা হয়েছে। ওই গ্রুপ বিষয়গুলো ঠিক করবে। প্রক্রিয়া এখনও চলমান। তাই এ বিষয়ে এখনই কোন মন্তব্য করা ঠিক হবে না। সন্ত্রাসবাদ ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলা নিয়েও প্রশ্নের জবাব দেন শেখ হাসিনা। গত সপ্তাহে নিউইয়র্কে বোমার বিস্ফোরণ ঘটিয়ে আহত আকায়েদ উল্লাহর প্রসঙ্গ উল্লেখ করে সাম্প্রতিক সময়ে আন্তর্জাতিক পরিম-লে সন্ত্রাসবাদ নিয়ে বাংলাদেশের কথা উঠে আসার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করা হয়। শেখ হাসিনা বলেন, সন্ত্রাসীদের কোন দেশ নেই, কোন ধর্ম নেই। সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে বাংলাদেশ সরকারের ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা উল্লেখ করেন তিনি। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলার বৈশ্বিক উদ্যোগ থেকে যুক্তরাষ্ট্রের সরে যাওয়া নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী।
×