ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৮ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

সংস্কৃতি সংবাদ

বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের নিবন্ধন শুরু আজ

প্রকাশিত: ০৫:১৪, ১৮ ডিসেম্বর ২০১৭

বেঙ্গল উচ্চাঙ্গ সঙ্গীত উৎসবের নিবন্ধন শুরু আজ

স্টাফ রিপোর্টার ॥ উপমহাদেশের প্রখ্যাত শিল্পীদের অংশগ্রহণে আগামী ২৬ ডিসেম্বর থেকে শুরু হচ্ছে ষষ্ঠতম বেঙ্গল উচ্চাঙ্গসঙ্গীত উৎসব। ধানমন্ডির আবাহনী মাঠে অনুষ্ঠিতব্য উৎসবে অংশগ্রহণকারী শ্রোতা-দর্শকদের জন্য নিবন্ধন শুরু হচ্ছে আজ সোমবার। রাত ১২টা থেকে উৎসবের ওয়েবসাইট (http://bengalclassicalmusicfest.com) থেকে নিবন্ধন করা যাবে। রবিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে নিবন্ধন শুরুর খবর জানানোর পাশাপাশি উৎসবের বিস্তারিত সময়সূচীও ঘোষণা করেছে আয়োজক বেঙ্গল ফাউন্ডেশন। বেঙ্গল ফাউন্ডেশনের সাইটে গিয়ে নিবন্ধন করতে গেলে প্রয়োজন হবে জাতীয় পরিচয়পত্র অথবা পাসপোর্ট নাম্বার, মোবাইল নম্বর ও ইমেইল আইডি। যাদের হাতের কাছে ইন্টারনেট নেই, তারা ধানমন্ডি ৭/১-এর ১০ নং বাড়িতে জ্ঞানতাপস আব্দুর রাজ্জাক বিদ্যাপীঠে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে গিয়ে নিবন্ধন করতে পারবেন। দর্শক-শ্রোতারা বিনামূল্যে এই পাস সংগ্রহ করতে পারবেন। ২৬ ডিসেম্বর থেকে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টা থেকে শুরু হবে উৎসবের আনুষ্ঠানিকতা। চলবে পরদিন ভোর ৫টা পর্যন্ত। প্রতিদিন রাত ১২টায় গেট বন্ধ হয়ে যাবে। এরপর আর উৎসবস্থলে প্রবেশ করা যাবে না। ২৬ ডিসেম্বর এবারের উৎসবের প্রথম দিনেই পারফর্ম করবেন গ্র্যামি এ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত বেহালা শিল্পী ড. এল সুব্রহ্মণ্যন। তার সঙ্গে পারফর্ম করবেন কাজাখস্তানের ৫৮ শিল্পীর দল আসতানা সিম্ফনি ফিলহারমোনিক অর্কেস্ট্রা। এই আসরে রাজরূপা চৌধুরীর সরোদ-বাদনের পাশাপাশি খেয়াল পরিবেশন বিদুষী পদ্মা তালওয়ালকর। থাকবেন সেতার-বাদক ফিরোজ খান ও পূর্বায়ন চ্যাটার্জী, খেয়ালিয়া সুপ্রিয়া দাস ও বংশীবাদক রাকেশ চৌরাসিয়া । ২৭ ডিসেম্বর দ্বিতীয় দিনের উৎসব শুরু হবে অদিতি মঙ্গলদাস ড্যান্স কোম্পানির কত্থক পরিবেশনায়। বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীদের তবলা-বাদনের পর সন্তুরে সুর ছড়াবেন পন্ডিত শিবকুমার শর্মা, খেয়ালিয়া পরিবেশন পন্ডিত উল্লাস কশলকর। সেতারবাদক ওস্তাদ শাহিদ পারভেজ খানের পরিবেশনাও থাকছে দ্বিতীয় দিনের আসরে। এদিন ধ্রুপদ পরিবেশন করবেন অভিজিত কুন্ডু। বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীদের তবলা বাদনের সঙ্গে থাকবে পন্ডিত রনু মজুমদারের বাঁশির সুর। সরোদ বাজাবেন পন্ডিত দেবজ্যোতি বোস। ২৮ ডিসেম্বর তৃতীয় দিনের পরিবেশনা শুরু হবে বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীদের সেতার-বাদনের মধ্য দিয়ে। এরপর ঘাটম ও কঞ্জিরা বাজিয়ে শোনাবেন বিদ্বান ভিক্ষু বিনায়ক রাম ও সেলভাগণেশ বিনায়ক রাম। ঢাকার সরকারী সঙ্গীত কলেজের খেয়াল পরিবেশনার পাশাপাশি সরোদ পরিবেশন করেন আবির হোসেন, বাঁশিতে থাকছেন গাজী আবদুল হাকিম। তৃতীয় দিনের পরিবেশনায় থাকছে ধ্রুপদ পরিবেশন পন্ডিত উদয় ভাওয়ালকর, বেহালা-বাদন বিদুষী কালা রামনাথ। এদিন খেয়াল পরিবেশন করবেন পন্ডিত অজয় চক্রবর্তী। ২৯ ডিসেম্বর উৎসবের চতুর্থ দিনের পরিবেশনার শুরুতেই থাকছে বাংলাদেশের একদল নৃত্যশিল্পীর পরিবেশনা। সরোদ বাদনে থাকবে বেঙ্গল পরম্পরা সঙ্গীতালয়ের শিক্ষার্থীরা। এদিন খেয়াল পরিবেশন করবেন ওস্তাদ রাশিদ খান, সরোদ বাজাবেন পন্ডিত তেজেন্দ্রনারায়ণ মজুমদার। এদিন বেহালা পরিবেশন করবেন মাইশুর মঞ্জুনাথ, খেয়াল পরিবেশন করবেন মেওয়াতি ঘরানার পদ্মবিভূষণ পন্ডিত যশরাজ। চেলো ও সেতার বাজিয়ে শোনাবেন সাসকিয়া রাও দ্য-হাস ও বুদ্ধাদিত্য মুখার্জি। ৩০ ডিসেম্বর উৎসবের শেষ দিনের পরিবেশনা শুরু হবে বিদুষী সুজাতা মহাপাত্রের ওড়িশি নৃত্য পরিবেশনায়। এদিন মোহন বীণা শোনাবেন পন্ডিত বিশ্বমোহন ভট্ট, খেয়াল পরিবেশন ব্রজেশ্বর মুখার্জী, সেতার-বাজিয়ে শোনাবেন পন্ডিত কুশল দাস, কল্যাণজিত দাস ও পন্ডিত কৈবল্যকুমার। উৎসব শেষ হবে কিংবদন্তি বাঁশরিয়া পন্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়ার বাঁশির সুরে। ২৯তম জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব শুরু বুধবার ॥ ‘তোমার গানের পদ্মবনে আবার ডাকো নিমন্ত্রণে/তারি রেণুর তিলক লেখা আমায় করো দান’ স্লোগানে আগামী ২০ ডিসেম্বর বুধবার থেকে রাজধানীর সুফিয়া কামাল জাতীয় গণগ্রন্থাগারের শওকত ওসমান স্মৃতি মিলনায়তনে শুরু হচ্ছে জাতীয় রবীন্দ্রসঙ্গীত উৎসব। বাংলাদেশ রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী সংস্থার আয়োজনে ২৯তম বারের মতো এ উৎসবের উদ্বোধন করবেন বরেণ্য চিত্রশিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। উৎসবে সম্মাননা দেয়া হবে শিল্পী হাশেম খান, বংশীবাদক গাজী আবদুল হাকিম ও সঙ্গীত পরিচালক দৌলতুর রহমান। রবিববার রাজধানীর একটি রেস্টুরেন্টে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানানো হয়। সংবাদ সম্মেলনে উৎসবের বিস্তারিত তুলে ধরেন সংস্থার সভাপতি শিল্পী তপন মাহমুদ। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সংস্থার সহ-সভাপতি বুলা মাহমুদ, সাধারণ সম্পাদক সাজেদ আকবর, জেষ্ঠ্য যুগ্ম সম্পাদক সালমা আকবর, পীযুষ বড়ুয়া, সহ-সম্পাদক ডলি কণা চৌধুরী, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম হায়দার প্রমুখ। উৎসবসূচী তুলে ধরে তপন মাহমুদ বলেন, বুধবার সন্ধ্যা ৫টা ৪৫ মিনিটে উৎসবের উদ্বোধন করবেন বরেণ্যচিত্র শিল্পী মুস্তাফা মনোয়ার। এবারের উৎসবে সারাদেশ থেকে ১১০ জন শিল্পীর একক পরিবেশনা ছাড়াও থাকছে দুইটি নৃত্যনাট্য। এর মধ্যে লোক নাট্যদল পরিবেশন করবে লিয়াকত আলী লাকী ‘রথযাত্রা’ ও পল্লভী ড্যান্স সেন্টার পরিবেশন করবে ‘বিস্ময়ে জাগে প্রাণ’। আমন্ত্রিত শিল্পী হিসেবে সঙ্গীত পরিবেশন করবেন কলকাতার রবীন্দ্রসঙ্গীত শিল্পী শ্রাবণী সেন, সুদেঞ্চা স্যান্নাল রুদ্র ও বিশ্বরূপ রুদ্র। আয়োজকরা জানান, চার দিনের উৎসবটি উৎসর্গ করা হয়েছে সঙ্গীতজ্ঞ সুধীন দাশ, ড. করুণাময় গোস্বামী, শিল্পী আবদুল জব্বার, নায়করাজ রাজ্জাক, বাচিকশিল্পী কাজী আরিফ, শিল্পী বারী সিদ্দিকী, শিল্পী লাকী আখন্দ, শিল্পী নাজমুল হুদা বাচ্চু, নৃত্যগুরু রাহিজা খানম ঝুনু এবং ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের মেয়র আনিসুল হককে। উৎসব শেষ হবে ২৩ ডিসেম্বর।
×