ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ১৭ এপ্রিল ২০২৪, ৩ বৈশাখ ১৪৩১

আরজতপাড়া মিলু গোমেজ খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি

প্রকাশিত: ০১:৩৭, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

আরজতপাড়া মিলু গোমেজ খুনের নেপথ্যে সম্পত্তি

স্টাফ রিপোর্টার ॥ রাজধানীর মহাখালীর আরজতপাড়ায় মিলু মিলগেড গোমেজ (৬৫) খুনের নেপথ্য রয়েছে কোটি কোটি টাকা সম্পত্তি। পুলিশ জানায়, ফার্মগেইটে দুইটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট ও আরজতপাড়ায় নিজস্ব তিনতলা ফ্ল্যাটসহ কোটি কোটি নগদ ব্যাংকের টাকা আত্মসার্থের কারনে এই খুনের ঘটনা ঘটে থাকতে পারেন। খুনের পর তাদের এক সমধর্মী এক আত্মীয়কে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করে চাঞ্চল্যকর তথ্য পাওয়া যাচ্ছে। উল্লেখ্য, শুক্রবার সকাল সাড়ে ৯টার দিকে পুলিশ মহাখালী আরজতপাড়া এলাকার ৩৮ নম্বর নিজ বাসার তৃতীয় তলার ড্রয়িং রুম থেকে মিলু গোমেজের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। পরে তার লাশের সুরতহাল প্রতিবেদন তৈরী করে বিকেল ৩টার দিকে ময়নাতদন্তের জন্য ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ মর্গে পাঠায়। পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপ-কমিশনার বিপ্লব কুমার সরকার জানান, বৃদ্ধা মিলু গোমেজের খুনের ঘটনায় একজনকে পুলিশ হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। তার কাছ থেকে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য পাওয়া গেছে। সেগুলো যাচাই-বাছাই করা হচ্ছে। ডিসি বিপ্লব জানান, ওই ব্যক্তি প্রায়ই বৃদ্ধ দম্পতির বাজার করে দিতেন। ওই বাসায় কোন দারোয়ান বা কর্মচারী নেই। পুলিশ জানায়, নিহত মিলু গোমেজের নামে ফার্মগেইট এলাকায় দুইটি বাণিজ্যিক ফ্ল্যাট রয়েছে। আরজতাপাড়া যে বাড়িতে খুনের ঘটনা ঘটেছে। সেটিও আট কাঠা বিশাল সম্পত্তির ওপর পুরানো আমলের তিনতলা বাড়ি। আর ওই বাড়িটি নিহতের স্বামী বৃদ্ধ অনিল গোমেজের নামে। তাদের ব্যাংকে বিশাল অংকের টাকা জমা রয়েছে। বিশেষ করে এই বৃদ্ধা দম্পত্তি একাই থাকতেন। কারন তার চার সন্তানের মধ্যে তিনজনই কানাডা ও একজন যুক্তরাষ্ট্রে থাকতেন। আর এই সুযোগ নিয়েছে হত্যাকারী। ওই বৃদ্ধ দম্পত্তির সম্পত্তি নেয়ার জন্য কৌশল অবলম্বন করা হয়েছিল বলে ধারনা করা হচ্ছে। কিন্তু বৃদ্ধা মিলু গোমেজের না দেয়ার কারনে এই হত্যাকান্ডের ঘটনা ঘটতে পারে বলে ধারনা করা হচ্ছে। তেজগাঁও বিভাগে ডিসি বিপ্লব কুমার জানান, এসব সম্পত্তির বিষয়টি হত্যাকাণ্ডের পেছনে কাজ করেছে বলে তারা ধারণা করছেন। এমন তথ্যও তারা পাচ্ছেন। তবে এখনও তারা পুরোপুরি নিশ্চিত নয়। তেজগাঁও থানার ওসি মাজহারুল ইসলাম জানান, হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় বৃদ্ধ ফিলবার্ড অনিল গোমেজকে ও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। বয়সের কারণে তার কথা বেশ এলোমেলো। এরপরেও প্রয়োজনে তাকে আবারও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে। ওসি জানান, হত্যাকান্ডে তাদের সমগোত্রীও একজনকে জিজ্ঞাবাদ করা হচ্ছে। আলামতও উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তার নাম বলা যাচ্ছে না। এখনও তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। হত্যাকান্ডের পর নিহতের ভাতিজা সজিব গোমেজ জানায়, ফুফা অনিল গোমেজ ও ফুফু মিলু গোমেজ বাসায় থাকতেন। মাঝে মধ্যে ছেলেদের কাছে বেড়াতে যেতেন। গত দুই মাস আগে কানাডা থেকে দেশে আসে ফুফু মিলু গোমেজ। সজিব জানান, আমাদের সঙ্গে তেমন যোগাযোগ ছিল না। একজন কাজের বুয়া বাসায় কাজ করে। তিনি জানান, ফুফুর কোনো শত্রু ছিল না। কে বা কারা ফুফুকে হত্যা করেছে। তা তিনি জানাতে পারেননি।
×