ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আগামীকাল থেকে আবার রোহিঙ্গাদের খাদ্য বিতরণ চালু হচ্ছে

প্রকাশিত: ২০:০৩, ১৭ ডিসেম্বর ২০১৭

আগামীকাল থেকে আবার রোহিঙ্গাদের খাদ্য বিতরণ চালু হচ্ছে

অনলাইন ডেস্ক ॥ বাংলাদেশের কক্সবাজারে বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের মধ্যে খাদ্য বিতরণ কর্মসূচি সাময়িক বন্ধ রাখার পর আগামীকাল সোমবার থেকে আবার চালু হচ্ছে। কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক আলি আহমেদ বিবিসি বাংলাকে জানিয়েছেন, ১৮ই ডিসেম্বর থেকে স্বাভাবিক ভাবে ত্রাণ কার্যক্রম চলবে। গত সোমবার (১১ই ডিসেম্বর) থেকে এক সপ্তাহের জন্য এ কর্মসূচি বন্ধ রেখেছিল সরকার। জেলা প্রশাসক মি. আহমেদ বলেন, "আসলে আমরা সাময়িকভাবে ত্রাণ কার্যক্রমটা বন্ধ রেখেছিলাম যাতে ত্রাণের অপচয় না হয়। আর এটা শুধু এনজিওদের জন্য ছিল। আন্তর্জাতিক এনজিও, বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি যথারীতি কাজ করবে। স্থানীয় বিভিন্ন পর্যায় থেকে যে সাহায্য আসছিল সেটাও কাজ করবে। আজ থেকে সাময়িক স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার হয়ে যাবে। ১৮ তারিখ(সোমবার) থেকে আমরা আবার ত্রাণ কার্যক্রম চালাবো, অসুবিধা নাই। খাদ্যসামগ্রীর কোনও অভাব হবেনা বলেও জানান মি. আহমেদ। "খাদ্য সামগ্রীর অভাব নেই। প্রচুর খাদ্য সামগ্রী আসছে। বিভিন্ন এনজিওর কাছে প্রচুর খাদ্য আছে"। রোহিঙ্গা শরণার্থীরা ত্রাণের খাবার নিয়ে বাইরে বিক্রি করে দিচ্ছে-এমন কোন অভিযোগ ওঠার মাঝেই আসে সরকারি সিদ্ধান্তের ঘোষণা। যদিও কর্তৃপক্ষ তেমন কোন প্রমাণ তাদের হাতে নেই বলে জানিয়েছিল। খাবার যাতে অপচয় না হয় এবং খাদ্য বিতরণ ব্যবস্থা যাতে আরও কার্যকর করা যায়, সেটা নিশ্চিত করাই এই পদক্ষেপের মূল লক্ষ্য বলে জানায় জেলা প্রশাসন। জেলা প্রশাসক আলী আহমেদ জানান, মিয়ানমার থেকে আশ্রয় নেয়া রোহিঙ্গাদের জন্য শীতকালীন প্রস্তুতিও যথেষ্ট নিয়েছেন তারা। "আমাদের ধারণা ১ লাখ ৬০ হাজারের মত পরিবার থাকতে পারে। এক-দেড় লাখ কম্বল বিতরণ হয়ে গেছে তারা শীতের জন্য কম্বল ও কাপড় পাচ্ছে"। এছাড়া শীতকালীন অসুখ-বিসুখের বিষয়ও বিবেচনায় রাখা হয়েছে বলে জানান মি. আহমেদ। তিনি বলেন, "ডিপথেরিয়া দেখা দিয়েছে কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ডিপথেরিয়া কি-না সেটি নিয়ে কনফিউশন রয়েছে"। তবে এক্ষেত্রে পর্যাপ্ত ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি। সূত্র : বিবিসি বাংলা
×