স্টাফ রিপোর্টার ॥ থিয়েটারের সাড়া জাগানো প্রযোজনা ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকটি বিজয় দিবসের সন্ধ্যা ৭টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির এক্সপেরিমেন্টাল থিয়েটার হলে মঞ্চস্থ হয়। এদিন কালজয়ী এ নাটকের ১৮২তম প্রদর্শনী হয়। সব্যসাচী লেখক সৈয়দ শামসুল হক রচিত ও আবদুল্লাহ আল মামুন নির্দেশিত এ নাটকের বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেন, ফেরদৌসী মজুমদার, কেরামত মওলা, তোফা হাসান, ত্রপা মজুমদার, মারুফ কবির, পরেশ আচার্য, সমর দেব, খুরশিদ আলম, নুরুল ইসলাম সানি, রাশেদুল আওয়াল শাওন, জোয়ারদার সাইফ, তামান্না ইসলাম, রুনা লাইলা, তানভীর হোসেন সামদানী, কল্যাণ চৌধুরী, তানজুম আরা পল্লী, কাওসার রাজীব, আতিকুর রহমান ও এরশাদ হাসান। প্রায় দশ বছরের বিরতির পর নতুন করে প্রযোজনাটি নির্দেশনা দিয়েছেন সুদীপ চক্রবর্তী। ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’ নাটকে ধর্মীয় বিষয়ে মানুষের অজ্ঞতা ও কুসংস্কার সম্পর্কে আলোকপাত করেছেন সৈয়দ শামসুল হক। নাটকে দেখা যায়- চারদিকে মুক্তিযুদ্ধের দামামা। উদ্বেগ-উত্তেজনা ছোট-বড় সবার মধ্যে। আশপাশের গ্রামের নারী-পুরুষ এসেছেন মাতব্বরের কাছে। তাদের চোখেমুখে উৎকণ্ঠা। গত রাতেও পাকিস্তানী সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন মাতব্বরের সঙ্গে দেখা করেছেন জানিয়ে সবাইকে আশ্বাস দিচ্ছেন তিনি। সহজ-সরল গ্রামবাসী সহজে আশ্বস্ত হতে পারেন না মাতব্বরের কথায়। এভাবে নানা ঘটনার ঘনঘটায় এগিয়ে যায় নাটকের কাহিনী। একসময় ঘর থেকে বের হন মাতব্বরের মেয়ে। সবার সামনে বলেন, বাবা জোর করে তাকে ওই রাতে ক্যাপ্টেনের হাতে তুলে দিয়েছিলেন। যে জন্য সে বাবাকে ধিক্কার জানায়। এরপর সেই বীরাঙ্গনা আত্মাহুতি দেন। অবশ্য নিস্তার মেলেনি রাজাকার মাতব্বরের। এমনই মর্মময় দৃশ্যকাব্যে গড়ে উঠেছে নাটক ‘পায়ের আওয়াজ পাওয়া যায়’।
দর্শকনন্দিত এ কাব্যনাট্যটি ৪১বছর আগে মহিলা সমিতি মঞ্চে প্রথম অভিনীত হয়েছিল। সেই সুবাদে গেল বছরের ২৫ নবেম্বর নাটকটি অভিনয়ের ৪০ বছর পূর্তি অনুষ্ঠিত হয়। প্রথম মঞ্চায়ন থেকেই রচনাশৈলী, বিষয়বস্তু ও প্রকাশনা সৌকর্যের জন্য নাটকটি দর্শক মহলে ব্যাপক সাড়া জাগায়। যা হয়ে ওঠে মহান মুক্তিযুদ্ধের এক অনবদ্য দলিল।
শীর্ষ সংবাদ: