ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

রসিক নির্বাচন

কাউন্সিলর প্রার্থীকে কুপিয়ে জখম ॥ গ্রেফতার ৭

প্রকাশিত: ০৪:৫৪, ১৬ ডিসেম্বর ২০১৭

কাউন্সিলর প্রার্থীকে কুপিয়ে জখম ॥ গ্রেফতার ৭

নিজস্ব সংবাদদাতা, রংপুর, ১৫ ডিসেম্বর ॥ রংপুর সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে ৫নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদের ওপর বৃহস্পতিবার রাতে খটখটিয়া এলাকায় হামলা চালিয়ে কুপিয়ে জখম করেছে সন্ত্রাসীরা। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা দেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে পুলিশ সাত জনকে গ্রেফতার করেছে। মাসুদের নির্বাচনী এজেন্ট আব্দুল কাইয়ুম জানান, বৃহস্পতিবার রাত ১১টার দিকে খটখটিয়ার নিজ বাড়ির পাশে আরণ্যক নার্সারিতে ভোটারদের সাথে কথা বলার সময় হঠাৎ করে কয়েকজন সন্ত্রাসী ৩-৪টি মোটরসাইকেলে এসে কাউন্সিলর প্রার্থী মনিরুজ্জামান মাসুদের ওপর হামলা চালায়। এ সময় সন্ত্রাসীরা তার মাথায় এলোপাতাড়ি কোপায়। উপস্থিত লোকজন কিছু বুঝে উঠার আগেই হামলাকারীরা দ্রুত পালিয়ে যায়। গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে রংপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। আহত মাসুদ জানান, সিটি নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পর থেকে ওই ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর মোখলেসুর রহমান তরু ও তার লোকজন নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোর জন্য তাকে বিভিন্নভাবে হুমকি দিয়ে আসছিলেন। মাসুদের ভাই ফিরোজ মিয়া অভিযোগ করে বলেন, আমরা খোঁজ নিয়ে জেনেছি, আসন্ন নির্বাচনে পরাজয়ের আশঙ্কায় প্রতিপক্ষ কাউন্সিলর প্রার্থী মোখলেসুর রহমান তরুর নির্দেশে সন্ত্রাসী বাহিনী মাসুদকে হত্যা করার উদ্দেশ্যে হামলা চালিয়েছে। নির্বাচন নিয়ে বার বার হত্যার হুমকিসহ ভয়ভীতি দেখাচ্ছিল তরু। নিরাপত্তা চেয়ে থানায় সাতটি ডায়েরি করা হলেও পুলিশ কোন ব্যবস্থা নেয়নি। আমরা এ বিষয়ে মোখলেছুর রহমান তরুসহ অন্য সন্ত্রাসীদের নামে কোতয়ালী থানায় মামলা করেছি। এ ছাড়াও বিষয়টি রিটার্নিং কর্মকর্তাকে লিখিতভাবে জানিয়েছি’। এদিকে, রাতেই গুরুতর আহত মাসুদকে দেখতে হাসপাতালে যান জাসদ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ও রংপুর জেলা জাসদের সাধারণ সম্পাদক কুমারেশ রায়, মহানগর জাসদের সাধারণ সম্পাদক ফারুক আহমেদসহ স্থানীয় নেতাকর্মীরা। বিষয়টি নিয়ে এলাকায় চরম উত্তেজনা বিরাজ করছে। এ ব্যপারে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার সাইফুর রহমান সাইফ জানান, এ ঘটনায় মাসুদের ভাই ফিরোজ মিয়া বাদী হয়ে মামলা করেছেন। আমরা এ পর্যন্ত সাত জনকে গ্রেফতার করেছি। বাকীদের গ্রেফতারের অভিযান চলছে। রিটার্নিং কর্মকর্তা সুভাষ চন্দ্র সরকার জানান, এ বিষয়ে লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। বিষয়টি সাথে সাথে আমরা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে জানিয়েছি। তারা এ ব্যাপারে কঠোর পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
×