ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

মহিউদ্দিন চৌধুরীর জানাজা আজ বাদ আসর, পারিবারিক কবরস্থানে দাফন

প্রকাশিত: ২০:৫২, ১৫ ডিসেম্বর ২০১৭

মহিউদ্দিন চৌধুরীর জানাজা আজ বাদ আসর, পারিবারিক কবরস্থানে দাফন

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম অফিস ॥ বর্ষীয়ান রাজনীতিক চট্টগ্রামের হ্যাট্টিক বিজয়ী সাবেক মেয়র মহান মুক্তিযুদ্ধের রণাঙ্গণের সম্মুখ সারির সেনানী মাউন্ট ব্যাটেলিয়নের অধিনায়ক চট্টলবীর খ্যাত আলহাজ্ব এবিএম মহিউদ্দিন চৌধুরী আর নেই (ইন্নালিল্লাহি...রাজিউন)। তাঁর বয়স হয়েছিল ৭৪ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, ৩ কন্যা, ২ পুত্র এবং লাখো ভক্ত, অনুরাগী ও শুভানুধ্যায়ী রেখে গেছেন। তিনি হার্ট, ডায়াবেটিকস ও কিডনিজনিত জটিল রোগে ভুগছিলেন। মাসখানেক আগে পরিস্থিতির অবনতি হলে তাঁকে ঢাকার স্কয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখান থেকে নেয়া হয় সিঙ্গাপুরে। সেখানে হার্ট ও কিডনি চিকিৎসা শেষে পুনরায় ঢাকায় আনা হয়। ভর্তি করা হয় স্কয়ার হাসপাতালে। সেখান থেকে গত মঙ্গলবার তাঁকে নিয়ে আসা হয় চট্টগ্রামের নিজ বাস ভবনে। বৃহস্পতিবার দুপুরে তাঁকে ডায়ালাইসিসের জন্য নেয়া হয় নগরীর ম্যক্স হাসপাতালে। ডায়ালাইসিস শুরু করার আগেই তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটলে তাঁকে লাইফ সাপোর্টে রাখা হয়। কিন্তু এতেও তাঁর অবস্থার উন্নতি হয়নি। ক্রমাগতভাবে তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটতে থাকে। মধ্যরাতে তিনি মূলত ক্লিনিক্যালি ডেড ছিলেন। শুক্রবার ভোররাত ৩টার পর তাঁর লাইফ সাপোর্ট খুলে ফেলে চিকিৎসকগণ মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রামের রাজনৈতিক অঙ্গণে লড়াকু এ নেতা মৃত্যুর আগ পর্যন্ত চট্টগ্রাম মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। শিক্ষানুরাগী, চট্টগ্রামকে পরিচ্ছন্ন নগরীতে পরিণত করাসহ সমাজের বিভিন্ন স্তরে তাঁর ব্যাপক অবদান রয়েছে। চট্টগ্রামে আওয়ামী লীগের কা-ারী হলেও তিনি সর্বদলীয় রাজনীতির অভিভাবকে পরিণত হয়েছিলেন। রাজনীতির পাশাপাশি চট্টগ্রামের সার্বিক উন্নয়নে তিনি মৃত্যুর আগ পর্যন্ত লড়াই করেছেন। যে কোন সঙ্কটে প্রতিবাদী ভূমিকা রেখে সর্বজনের কাছে জনপ্রিয় নেতায় পরিণত হন। ১৯৪৪ সালের ১২ ডিসেম্বর রাউজানের গহিরার প্রভাবশালী বক্স আলী চৌধুরী পরিবারে তাঁর জন্ম। ছাত্র সংগঠন থেকে শ্রমিক সংগঠন এবং এরপরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত থেকে তাঁর জীবনের শেষ মুহূর্তটি অতিবাহিত করেছেন। তাঁর মৃত্যুতে পুরো চট্টগ্রাম জুড়ে গভীর শোকের ছায়া নেমে এসেছে। মহিউদ্দিন চৌধুরীর মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও গভীর সমবেদনা জানিয়েছেন শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি। শুক্রবার ভোর রাত সাড়ে ৩টার দিকে স্থানীয় ম্যাক্স হাসপাতালের ডাক্তাররা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। চট্টগ্রামের রাজনীতিতে নন্দিত এ মেয়রের মৃত্যুর পর তাঁকে এক নজর দেখার জন্য শোকার্ত জনতার ঢল নেমেছে। বাদ আসর ঐতিহাসিক লালদীঘি ময়দানে তাঁর নামাজে জানাজা অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে তাঁর মরদেহ বাস ভবন থেকে নিয়ে আসা হবে মহানগর আওয়ামী লীগের কার্যালয় মার্কেটের সম্মুখ প্রাঙ্গণে। নামাজে জানাজা শেষে তাঁকে ষোলশহর চমশাহিলস্থ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হবে বলে পারিবারিক সূত্রে নিশ্চিত করা হয়েছে।
×