ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৫ চৈত্র ১৪৩০

নূর হোসেনের দখলে থাকা এবিএস বাস হেফাজতে নিলো ইফাদ অটোজ

প্রকাশিত: ০২:০৫, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

নূর হোসেনের দখলে থাকা এবিএস বাস হেফাজতে নিলো ইফাদ অটোজ

স্টাফ রিপোর্টার, নারায়ণগঞ্জ ॥ নারায়ণগঞ্জের আলোচিত ৭ খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেনের দখলে থাকা এবিএস পরিবহনের ২২টি যাত্রীবাহি বাস নিজেদের হেফাজতে নিয়েছেন ইফাদ অটোজ কোম্পানী কর্তৃপক্ষ। গত বুধবার ও বৃহস্পতিবার সিদ্ধিরগঞ্জের শিমরাইলের টেকপাড়ার বালুর মাঠ থেকে বাসগুলো আদালতের আদেশ পেয়ে বাসগুলো তাদের হেফাজতে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুস সাত্তার। এবিএস পরিবহন চাষাঢ়া-চিটাগাং রোডে এই বাসটি চলাচল করতো। কিন্তু নূর হোসেন এই রুটে যাত্রীবাহি বাস আনলেও ক্ষমতার দাপট দেখিয়ে তিনি কোন টাকা পরিশোধ করেননি। তিনি নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের অনুমতি ছাড়াই নগরীর রাস্তা ও ফুটপাত দখল করে পরিবহন টিকেট কাউন্টার বসিয়েছিল। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) শামসুল আলম জানান, ৭ খুনের ঘটনার আগে নূর হোসেন (৭ খুন মামলার ফাঁসির দন্ডপ্রাপ্ত আসামী নূর হোসেন) ঢাকার ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানীর কাছ থেকে কিস্তিতে ২৪টি যাত্রীবাহী বাস ক্রয় করেন। কিন্তু সাত খুনের মামলায় নূর হোসেন জেলে যাওয়ার পর ওই বাসগুলোর কোন কিস্তি পরিশোধ করা হয়নি। ফলে ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানীর পক্ষে ডেপুটি ম্যানেজার ফজলুল হক সরকার ঢাকার নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে নূর হোসেনের স্ত্রী রুমা হোসেনসহ তিন জনের বিরুদ্ধে একটি পিটিশন মামলা ( নং ৪২/১৭) দায়ের করেন। ওই মামলায় নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট মির্জা রুনা লায়লা বাসগুলো ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানীকে বুঝিয়ে দেয়ার নির্দেশ দেন। ফলে বুধবার রাত পর্যন্ত ২১টি ও বৃহস্পতিবার ১টি বাস ওই কোম্পানীর নিজস্ব রেকারের মাধ্যমে নিয়ে যায়। তিনি আরও জানান, ২৪টি বাসের মধ্যে ২২টি বাস নূর হোসেনের বাড়ির পাশে পরিত্যক্ত অবস্থায় ছিল। ১টি বাস সিদ্ধিরগঞ্জ থানায় ও ১টি বাস ফতুল্লায় থানায় রয়েছে। দু’টি বাসের নামে মামলা থাকায় বাস দু’টি বুঝিয়ে দেয়া সম্ভব হয়নি। এসআই শামসুল আলম আরো জানান, প্রতিটি বাসের ইঞ্জিনসহ চেসিস মূল্য ২৪ লাখ টাকা। তারা নগদে ৫ লাখ টাকা করে প্রদান করেন। অবশিষ্ট ১৯ লাখ টাকা বার্ষিক শতকরা ১১ ভাগ সুদ হারে ৮ লাখ ৩৬ হাজার টাকাসহ মোট ২৭ লাখ ৩৬ হাজার টাকা ৪৮টি কিস্তির (প্রতিটি কিস্তি ৫৭ হাজার টাকা) প্রদান করার শর্তে বিক্রয় করা হয়। বাসগুলো এবিএস পরিবহন নামে শিমরাইল-চাষাঢ়া রুটে চলাচল করতো। নূর হোসেন সাতখুনের পর পালিয়ে পরে বাস চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। সিদ্ধিরগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) আব্দুস সাত্তার জানান, আদালতের নির্দেশে নূর হোসেনের দখলে থাকা ২২টি যাত্রীবাহী বাস ইফাদ অটোজ লিমিটেড কোম্পানীকে বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে।
×