স্টাফ রিপোর্টার, কক্সবাজার ॥ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় ক্যাম্পে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরীতে কাঠ সরবরাহ করতে কতিপয় এনজিওর লোভনীয় অপার (অধিক মূল্য) পেয়ে বনজ সম্পদ ও সামাজিক বনায়ন ধবংস করে দিচ্ছে এক শ্রেণীর কাঠচোরের দল। উখিয়া-টেকনাফের রোহিঙ্গা ক্যাম্প গুলোতে বিভিন্ন এনজিও, আইএনজিও এবং ব্যক্তি বিশেষের নামে চ্যারিটরি সংস্থার লোভনীয় ওই অপারে ধবংস হচ্ছে বনায়নের বাকী অংশটুকুও। ইতোপূর্বে রোহিঙ্গারা মিয়ানমার থেকে অনুপ্রবেশ করে উড়ে এসে জুড়ে বসার মত যে যেখানে ইচ্ছে বনের সৃজিত বাগান ধবংস ও পাহাড় কেটে ঝুপড়ি তৈরীতে বনজ সম্পদের অপুরণীয় ক্ষতি সাধন করেছে। বর্তমানে ওই রোহিঙ্গাদের জন্য বিভিন্ন স্থাপনা নির্মাণকল্পে কিছু কিছু এনজিওর (প্রজেক্ট) কার্যক্রম সম্পন্ন করতে ঠিকাদার দিয়ে কেটে নেয়া হচ্ছে বনের গাছ। এতে সরকারের বিপুল পরিমাণ রাজস্বের ক্ষতি করে চলছে তারা।
সূত্র জানায়, ওসব সংস্থার অর্থায়নে রোহিঙ্গাদের শেড তৈরী, মেডিকেল সেন্টার, নারী বান্ধক কেন্দ্র, শিশু বিকাশ কেন্দ্র ও শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নির্মাণে হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ ব্যবহার করা হচ্ছে। বনজসম্পদ এমনকি সামাজিক বনায়নের গাছও কেটে প্রকাশ্যে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে আনা হচ্ছে প্রতিদিন। রোহিঙ্গা ক্যাম্পে ব্যবহৃত কাঠের কোন পারমিট বা বৈধতা নেই বলে জানিয়েছেন বনবিভাগের কর্মকর্তাগণ।
সচেতন মহলের অভিযোগ, হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ দিয়ে রোহিঙ্গা ক্যাম্পে বিভিন্ন স্থাপনা তৈরী করার কারনে সংরক্ষিত বনায়ন ধংসের দার প্রান্তে পৌছেছে। শুধু তাই নয়, এভাবে ক্যাম্পে অবৈধ কাঠ ব্যবহার হতে থাকলে উখিয়া-টেকনাফের সংরক্ষিত পুরো বনাঞ্চলের অস্তিত্বও থাকবে না। সামাজিক বনায়নের গাছ কেটে সমিল হতে চিরাই করে প্রকাশ্যে কাঠগুলো সরবরাহ করা হলেও স্থানীয় বনবিভাগ এ কাজে রহস্যজনক ভূমিকা পালন করছে। ঠিকাদার নামধারী কাঠচোরের দল বনবিভাগের কর্মচারীদের কাছে সরকারী দলের চট্টগ্রামের একজন এমপির পরিচালনাধীন একটি এনজিওর নাম ভাঙ্গিয়ে ধমক দিয়ে থাকে বলে জানা গেছে। কতিপয় এনজিও কর্মকর্তা ও ঠিকাদার ক্যাম্পে দায়িত্বে নিয়োজিত প্রসাশনের কতিপয় অসৎ কর্মকর্তা ও স্থানীয় বনবিভাগকে ম্যানেজ করে ফ্রিস্টাইলে হাজার হাজার ঘনফুট অবৈধ কাঠ ব্যবহার করছে।
আরো পড়ুন
শীর্ষ সংবাদ: