ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ২৯ মার্চ ২০২৪, ১৪ চৈত্র ১৪৩০

ফেরার চিন্তাও করছেন না মাশরাফি

প্রকাশিত: ১৮:১৪, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

ফেরার চিন্তাও করছেন না মাশরাফি

অনলাইন ডেস্ক ॥ টুর্নামেন্টে ১৫ উইকেট নিয়ে সেরা বোলারদের একজন তিনি। অন্তত তিনটি ম্যাচে ডেথ ওভারে বল করতে এসে ম্যাচের চিত্র বদলে দিয়েছেন। পাশাপাশি ব্যাট হাতে ছিল ম্যাচের ভাগ্য বদলে দেওয়া দুটি ইনিংস। এমন খেলোয়াড় জাতীয় দলের হয়ে খেলবেন না! এবারের বিপিএল দেখে মাশরাফি বিন মুর্তজার টি-টোয়েন্টি দলে ফেরা নিয়ে খুব আলাপ হচ্ছে। অন্তত বাইরের লোকজন চাচ্ছেন, তিনি অবসর ভেঙে ফিরে আসুন। কিন্তু মাশরাফি নিজে গতকাল পরিষ্কার বলে দিলেন, এই ধরনের চিন্তাও করছেন না তিনি। সিদ্ধান্ত বদল করে তরুণ ক্রিকেটারদের ভুল ম্যাসেজ দিতে চান না, ‘কামব্যাকের কথা চিন্তাও করছি না। আমার আজেবাজে জিদ নেই। যারা তরুণ ক্রিকেটার আছে তারা তাহলে ভুল মেসেজ পাবে। আমি সব সময় চেষ্টা করি আমি যেটা খেলি, যেখানেই খেলি আমার শতভাগ দিতে। কি হবে কত দূরে—এগুলো পরিকল্পনা করি না।’ টুর্নামেন্টের চ্যাম্পিয়ন দল হিসেবে দুই কোটি টাকা প্রাইজমানি পাচ্ছে রংপুর রাইডার্স। জাতীয় দলের হয়ে না হলেও এই ধরনের লিগে টি-টোয়েন্টি খেলে যেতে চান মাশরাফি। সোজা বললেন, এটা তার আর্থিক উপার্জনের একটা উত্স এবং ম্যাচ প্র্যাকটিসেরও সুযোগ, ‘টি-টোয়েন্টি খেলব না কেন? টু বি অনেস্ট আমি এখানে খেললে আর্থিকভাবেও লাভবান হচ্ছি। বিপিএল খেলার সামর্থ্য আমার আছে। এ ছাড়া আমার জন্য অনুশীলন খুব গুরুত্বপূর্ণ। আর ম্যাচ অনুশীলন যদি না করতে পারি তাহলে একেবারে খেলাটা কঠিন।’ জাতীয় দলে না ফিরলেও মাশরাফি ম্যাজিকে এখন বিভোর হয়ে আছে বাংলাদেশ। পাঁচটি বিপিএলের মধ্যে চারটি শিরোপাই উঠেছে মাশরাফির হাতে। এই ম্যাজিকের রহস্যটা জানতে ব্যগ্র সবাই। মাশরাফির কাছে এটা অবশ্য রহস্যের কিছু না। তিনি বলছেন, গত আসরেই তো ‘ব্যর্থ’ ছিলেন। ফলে ভাগ্য দিয়েই স্রেফ ব্যাখ্যা করা চলে এই অর্জনকে, ‘আগেরবার তো সেমিফাইনালে উঠিনি। কোনো রহস্য নেই। লাক ফেবার না করলে কিছুই সম্ভব না। আমি ভাগ্যে বিশ্বাস করি। লাক ফেবার করছে তাই পারছি।’ মাশরাফি বরং ভাবতে চান যে, রংপুর দলটাকে তিনি এবং তার দল হতাশ করেননি, ‘খুব ভালো লাগছে। ওদের সঙ্গে যখন সাইন করি তখন ওদের প্রত্যাশা ছিল যে দলটা যেন সেমিফাইনাল খেলে। অনেক কষ্ট করে সেমিফাইনালে উঠতে হয়েছে। এরপর ওনারা খুশি ছিল। আর চার নম্বর থাকলে এটা জিনিস সাহায্য করে যে দুটি সেমিফাইনাল খেলতে হয়। বাট সুবিধা থাকে যে প্রত্যাশা কম থাকে। আমরা জানতাম আমাদের দুই-তিনটা বড় খেলোয়াড় আছে। তারা যদি ম্যাসিভ আকারে ড্যামেজ করতে পারে তাহলে অন্য দলের জেতা কঠিন। ওরা ওইটাই করেছে। আমরা যা চাচ্ছিলাম তারা সেটাই করেছে।’ নিজেদের অর্জনের পেছনে বড় কৃতিত্ব দিচ্ছে, সব খেলোয়াড়ের স্বাধীনভাবে খেলতে পারার ব্যাপারটাকে, ‘গ্রুপ পর্ব পার করার পর চতুর্থ দল হিসেবে উঠলাম তখন আমাদের একটাই মেসেজ ছিল যে আমরা যে সুযোগটি পেয়েছি সেটা কাজে লাগাতে হবে। হয়তো বা আমাদের বাড়িও চলে যেতে হতে পারে। আর একটা জিনিস করি যে আমরা অলআউট ক্রিকেট খেলি। ফ্রিডম নিয়ে। যেটা করতে মন চায় সেটা যেন পূর্ণ স্বাধীনতা নিয়ে করি।’
×