ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই

বাউফলের সেই ভুয়া ডাক্তার কারাগারে

প্রকাশিত: ০৬:৩০, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

বাউফলের সেই ভুয়া ডাক্তার কারাগারে

নিজস্ব সংবাদদাতা, বাউফল, ১৩ ডিসেম্বর ॥ বাউফলে নিরাময় ক্লিনিকে সন্তান প্রসবের সময় প্রসূতির পেটে গজ রেখে সেলাই দেয়ার ঘটনায় সেই ভুয়া চিকিৎসক রাজন দাসকে পটুয়াখালী কারাগারে পাঠানো হয়েছে। বুধবার দুপুরে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়। রাজন দাসের প্রকৃত নাম অর্জুন চক্রবর্তী, বাবার নাম তপন চক্রবর্তী, চাঁদপুর জেলার উত্তর নলুয়া গ্রামে তার বাড়ি। তিনি সিলেটে কর্মরত রাজন দাস নামের এক চিকিৎসকের নাম ও রেজিস্ট্রেশন (রেজিস্ট্রেশন নম্বর ৭০০২০) ব্যবহার করে গত এক বছর ধরে বাউফলের কালিশুরী লাইফ কেয়ার ও নিরাময় ক্লিনিকে প্রসূতি মায়েদের সিজার করে আসছিলেন। গত মার্চ মাসে নিরাময় ক্লিনিকে ওই ভুয়া চিকিৎসক বাউফল সদর ইউনিয়নের বিলবিলাস গ্রামের রাসেল সরদারের স্ত্রী মাকসুদা বেগমকে (২৫) পেট কেটে সন্তান প্রসবের পর ভেতরে গজ রেখে সেলাই করে দেন। এ ঘটনার কয়েক দিন পর মাকসুদা বেগম অসুস্থ হয়ে পরলে তাকে বরিশাল শেরে-ই-বাংলা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে চিকিৎসকরা পুনরায় তার পেট কেটে ভেতর থেকে গজ বের করেন। এ খবর একটি দৈনিকে প্রকাশিত হলে মোঃ শহিদ উল্লাহ নামের এক আইনজীবী হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন। এর প্রেক্ষিতে হাইকোর্ট পটুয়াখালীর সিভিল সার্জন ও বরিশাল শেরে-বাংলা মেডিক্যাল কলেজের গাইনি বিভাগের প্রধান ও নিরাময় ক্লিনিকের কর্তৃপক্ষকে তলব করেন এবং প্রতিবেদন দাখিলের জন্য নির্দেশ দেন। গত ৬ নবেম্বর হাইকোর্টে প্রতিবেদ দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে কথিত চিকিৎসক রঞ্জন দাসের (প্রকৃত নাম অর্জুন চক্রবর্তী) সার্টিফিকেট ভুয়া বলে উল্লেখ করা হয়। গত ১১ ডিসেম্বর ওই ভুয়া চিকিৎসক হাইকোর্টে জামিন চাইলে বিচারক তাকে গ্রেফতারের জন্য কোর্ট পুলিশকে নির্দেশ দেন। এরপর ওই ভুয়া চিকিৎসককে শাহবাগ থানা থানায় হস্তান্তর করা হয়। এ ছাড়াও হাইকোর্টের ওই বেঞ্চ নিরাময় ক্লিনিকের মালিক, ভুয়া চিকিৎসক, চিকিৎসকের সহকারীসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা করার জন্য নির্দেশ দেন।
×