ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ১৮ এপ্রিল ২০২৪, ৫ বৈশাখ ১৪৩১

কুড়িগ্রাম ও ভৈরবে সংঘর্ষে নিহত দুই

প্রকাশিত: ০৬:২৯, ১৪ ডিসেম্বর ২০১৭

কুড়িগ্রাম ও ভৈরবে সংঘর্ষে নিহত দুই

স্টাফ রিপোর্টার, কুড়িগ্রাম ॥ সদর উপজেলার হলোখানা ইউনিয়নের চরে কাঁশবন দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে নুরজামাল ম-ল (৫৫) নিহত হয়েছে। এ সময় ১৫ জন আহত হয়েছে। পুলিশ এ ঘটনায় ৩ জনকে আটক করেছে। নিহতের পক্ষের লোকজন প্রতিপক্ষের ৬টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। জানা গেছে, বুধবার দুপুর দেড়টার দিকে জমির মালিক এনামুল হক শ্রমিকদের নিয়ে ঐ চরের জমির কাঁশবন কাটতে গেলে প্রতিপক্ষ একরামুল হকের লোকজন দেশীয় অস্ত্রেসস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এতে ঘটনাস্থলেই নিহত হয় হলোখানা মৌজার ভোলা ম-লের পুত্র নুরজামাল ম-ল (৫৫)। এ সংঘর্ষে উভয়পক্ষের আহত হয় কমপক্ষে ১৫ জন। হত্যার ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিক্ষুব্ধ লোকজন প্রতিপক্ষের ৬টি বাড়িতে আগুন লাগিয়ে দেয়। এতে কয়েক লাখ টাকার মালামাল ভস্মীভূত হয়। এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তিনি আরো জানান, ধরলা নদী বিচ্ছিন্ন এ দুর্গম চরে গত ৯ ডিসেম্বর একই কাঁশবন দখলকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে ৫ জন আহত হয়েছিল। দীর্ঘদিন ধরে ৬৫ একর জমি নিয়ে এনামুল হক গং এবং একরামুল গংয়ের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। এরই জের ধরে একর পর এক ঘটনা ঘটছে। ভৈরব নিজস্ব সংবাদদাতা ভৈরব থেকে জানান, বুধবার দুপুরে ভবানীপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জের ধরে সংঘর্ষে তাহের মিয়া (৫০) নিহত হয়। সংঘর্ষে উভয়পক্ষে প্রায় ৩০ জন আহত হয়। গ্রামের হুমায়ুন গ্রুপ ও জয়নাল গ্রুপের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতার জেরে এ ঘটনা ঘটছে। পুলিশ জানায়, উপজেলার শ্রীনগর ইউনিয়নের ভবানীপুর গ্রামে দীর্ঘদিন যাবত হুমায়ুন গ্রুপ ও জয়নাল গ্রুপের মধ্যে আধিপত্য বিস্তার ও পূর্বশত্রুতা চলছে। এরই ধারাবাহিকতায় বুধবার উভয়পক্ষ অস্ত্র নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। সংঘর্ষে টেঁটাবিদ্ধ হয়ে হুমায়ুন সমর্থক তাহের মিয়া ঘটনাস্থলে মারা যান। আহতরা ভৈরবসহ কুলিয়ারচর, বাজিতপুর ও ব্রাক্ষণবাড়িয়া এলাকার বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসা নেন। ফরিদপুরে ভাংচুর নিজস্ব সংবাদদাতা ফরিদপুর থেকে জানান, সালথায় আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দু-দল গ্রামবাসীর সংঘর্ষে পাঁচজন আহত হয়েছে। এতে উভয় দলের ১৪ বসতঘর ভাংচুর করা হয়। বুধবার সকাল ১০টার দিকে উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের চাঁদপুর গ্রামে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। স্থানীয়রা জানিয়েছেন, চাঁদপুর গ্রামে আধিপত্য বিস্তার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ফারুক মিয়ার সমর্থকদের সঙ্গে ওমর মেম্বরের সমর্থকদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছিল। বুধবার সকালে কথা কাটাকাটির একপর্যায়ে উভয় দলের সমর্থকরা দেশীয় অস্ত্র ঢাল-কাতরা, সড়কি-ভেলা, রামদা ও ইটপাটকেল নিয়ে ধাওয়া পাল্টাধাওয়া ও সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। ঘণ্টাব্যাপী এ ধাওয়া পাল্টাধাওয়ার সময় উভয় দলের ১৪টি বসতঘর ভাংচুর করে সংঘর্ষকারীরা। ভাংচুর ঠেকাতে এলে ৫ জন আহত হয়।
×