ঢাকা, বাংলাদেশ   শুক্রবার ১৯ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

নকল ও নিম্নমানের প্লাস্টিকপণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে

প্রকাশিত: ০২:২৯, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

নকল ও নিম্নমানের প্লাস্টিকপণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণ হচ্ছে

অর্থনৈতিক রিপোর্টার ॥ নকল ও নিম্নমানের প্লাস্টিকপণ্য বাজারজাতকরণ নিয়ন্ত্রণে উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। মানহীন নকল প্লাস্টিকপণ্যের উৎপাদক ও বিক্রয়কারীদের শাস্তির আওতায় আনার দাবি জানিয়েছে এখাতের শীর্ষ সংগঠন বিপিজিএমইএ। বুধবার সকালে লালবাগস্থ সাগুণ কমিউনিটি সেন্টারে বিপিজিএমইএ’র ক্রোকারিজ ও টয়েজ স্ট্যান্ডিং কমিটি এর যৌথ উদ্যোগে ‘নকল প্রতিরোধ ও প্লাস্টিক সেক্টরের উন্নয়ন’শীর্ষক এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় বিপিজিএমইএ’র সভাপতি মো. জসিম উদ্দিন সভাপতিত্ব করেন। অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন পুলিশের এডিসি কামাল হোসেন, এসি লালবাগ মো. সালাহউদ্দিন, এসি চকবাজার সিরাজুল ইসলাম। এছাড়া ব্যবসায়ীদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন বিপিজিএমইএ সাবেক সভাপতি এএসএম কামাল উদ্দিন, মো. ইউসুফ আশরাফ, উপদেষ্ঠা সিরাজউদ্দিন মালিক, ব্যবসায়ী নেতা আব্দুস সালাম, শফি মাহমুদ, এফবিসিসিআই পরিচালক হাফেজ হারুন, ওয়ার্ড কমিশনার হাসিবুর রহমান মানিক ও দেলোয়ার হোসেন প্রমুখ। সভা পরিচালনা করেন বিপিজিএমইএ সহ সভাপতি কে এম ইকবাল হোসেন। অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মো. জসিম উদ্দিন বলেন, সকলের সহযোগিতার কারনে এ্যাসোসিয়েশন আজ এ পর্যায়ে এসেছে। প্লাস্টিক সেক্টরের অব্যাহত অগ্রযাত্রার বিবরন দিয়ে বলেন, প্রায় ৫ হাজার ইন্ডাস্ট্রি গড়ে উঠেছে সেক্টরে। ১২ লাখ লোক এই শিল্পের উপর নির্ভরশীল। প্লাস্টিকের ব্যবহার বাড়ছে ক্রমাগতভাবে। বর্তমানে আমরা ৬-৭ কেজির মতো ব্যবহার করছি। আগামী ২০৩০ সালে এর ব্যবহার বেড়ে ৫০ কেজিতে পৌছাতে পারে। তিনি রোডম্যাপ-২০৩০ প্রণয়নের কথা উল্লেখ করে বলেন, সেসময়ে সেক্টর খুব বড় হবে। চাহিদা বাড়বে সবক্ষেত্রে। গ্যাস বিদ্যুত পানি সহ ভৌত অবকাঠামো গড়ে তোলার প্রয়োজন হবে। এসব জিনিস বিবেচনায় নিয়েই রোপম্যাপ প্রণয়ন করা হচ্ছে। আগামী প্লাস্টিক ফেয়ারে এটি প্রকাশ করা হবে। এমনকি প্রধানমন্ত্রীর বরাবরে পেশ করা হবে। তিনি বলেন, আগামীতে পণ্য নকল করার কোন উপায় থাকবে না। এমনকি ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি এ্যাক্ট এর অধীনে কোন বিদেশী পণ্যও নকল করা যাবে না। তিনি বলেন, যারা এ্যাসোসিয়েশনকে সম্মান করে না এবং এখান থেকে ডাইস পাশ করে না তাদেরকে প্রশ্রয় দেয়া হবে না। এসব ব্যক্তিরা সঠিকভাবে ব্যবসা না করলে সম্মিলিতভাবে এদেরকে প্রতিরোধ করা হবে বলে তিনি হুসিয়ারি দেন। বক্তারা বলেন, প্লাস্টিক এ্যাসোসিয়েশন একটি সুশৃংখল নিয়ম নীতির মাধ্যমে সেক্টরকে নেতৃত্ব দিচ্ছে। এখানে প্লাস্টিক পন্য পেটেন্ট রেজিস্ট্রেশন করানো হয়। এখানে নকল প্রতিরোধে একটি কমিটি কাজ করে যাচ্ছে। কিন্তু তারপরও কিছু সংখ্যক লোক কার্যক্রমকে বাধাগ্রস্ত করতে তৎপর রয়েছে। তারা পণ্য নকল করে বাজারে ছাড়ছে, এতে বাজারে কিছুটা অস্থিরতা তৈরি হয়। নেতৃবৃন্দ এই নকল প্রবণতা প্রতিরোধ করার জন্য পুলিশ সহ সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের সহায়তা কামনা করেন। তারা বলেন, নকল প্রতিরোধ করা গেলে অত্র সেক্টরে উন্নয়ন ত্বরান্বিত হবে। ওয়ার্ড কমিশনারগণ ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে পণ্য নকল প্রতিরোধে সব সময় পাশে থেকে সহযোগিতার আশ্বাস দেন। কেউ বাইরে থেকে কষ্ট করে টাকা খরচ করে ডাইস এনে পণ্য উৎপাদন করে কিন্তু এক শ্রেণীর অসাধু ব্যবসায়ী তার অনুকরণে পণ্য নকল করে বাজারে ছাড়ছে। এটা কোনমতে গ্রহনযোগ্য নয়। এর বিরুদ্ধে সকলকে সোচ্চার হতে হবে। চকবাজার, লালবাগ জোনের পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, উন্নয়নের পূর্বশর্ত আইন শৃংখলা। কোন অনিয়ম মেনে নেয়া হবে না। আপনারা তথ্য দিলে সর্বতভাবে সহায়তা করা হবে। নকল করে কেউ পার পাবে না। পণ্য নকল প্রতিরোধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা যেতে পারে বলে তারা মন্তব্য করেন।
×