ঢাকা, বাংলাদেশ   শনিবার ২০ এপ্রিল ২০২৪, ৬ বৈশাখ ১৪৩১

আমরা ডাকসু নির্বাচন করবো ইনশল্লাহ ॥ ঢাবি উপাচার্য

প্রকাশিত: ০২:০১, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

আমরা ডাকসু নির্বাচন করবো ইনশল্লাহ ॥ ঢাবি উপাচার্য

বিশ্ববিদ্যালয় রিপোর্টার ॥ ঢাকা বিশ^বিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো.আখতারুজ্জামান বলেছেন, ‘আমরা ডাকসু না হওয়ার ২৭ বছরের সংস্কৃতি হতে বেরিয়ে আসতে চাই। আমরা ডাকসু নির্বাচন ইনশল্লাহ করবো।’ বুধবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টিএসসি ক্যাফেটেরিয়ায় সাংবাদিক সমিতির এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (ডুজা) ২০১৭ সালের কার্যকরী পরিষদের দায়িত্ব হস্তান্তর উপলক্ষ্যে সাংবাদিক সমিতি এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। অনুষ্ঠানে সামাজিক মাধ্যম বনাম মূলধারার গণমাধ্যম শিরোনামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রোবায়েত ফেরদৌস। এছাড়া অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক সমিতির সভাপতি অধ্যাপক এএসএম মাকসুদ কামাল, বাসসের সিনিয়র রিপোর্টার খাইরুজ্জামান কামাল ডুজার সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজানুর রহমান প্রমুখ। অনুষ্ঠানে সমিতির সদ্য সাবেক সভাপতি ফরহাদ উদ্দিন ও সাধারণ সম্পাদক ফররুখ মাহমুদের কাছ থেকে দায়িত্ব গ্রহণ করেন নব নির্বাচিত সভাপতি আসিফুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুল হাসান নয়ন। উপাচার্য বলেন, ডাকসু নির্বাচন করার জন্য যা যা করার প্রয়োজন তাই তাই গৃহীত হবে। কিন্তু উসকানিতে পড়লে নষ্ট হয়ে যাবে। তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান যখন রাজনীতি করতেন তখন কেউ কেউ বলতেন ভোটের বাক্সে লাথি মার, বাংলাদেশ মুক্ত কর। কিন্তু জাতির জনক ভোটের বাক্সে লাথি মারেন নি। তিনি গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুসরণ করে রাজনীতি করেছেন। আমরা এ ধরনের হঠকারী উসকানীমূলক বক্তব্যে পড়বো না। সাতাশ বছরে যেটি হয়নি তার পেছনে অনেকগুলি যৌক্তিক কারণ থাকতে পারে। আমরা এগুলো বিশ্লেষণ করছি। উপাচার্য ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম রক্ষার জন্য সাংবাদিক সমিতির ভূমিকা রয়েছে মন্তব্য করে তিনি সমিতির নেতৃবৃন্দের প্রতি এমন কর্মকান্ড চালিয়ে যাবার আহ্বান জানান। মূল প্রবন্ধে রোবায়েত ফেরদৌস বলেন, সামাজিক মাধ্যম এখন নিঃসন্দেহে সব মানুষের কাছে অত্যন্ত জনপ্রিয়। ব্যক্তিগত বিষয় থেকে শুরু করে সামাজিক-রাজনৈতিক সব ধরনের বিষয় নিমিষেই সোস্যাল মিডিয়া ছড়িয়ে পড়ে। সোস্যাল মিডিয়ার একটি বড় সুবিধা হলো তথ্য ও মতামত প্রকাশে এর মুক্ত অবারিত দিগন্ত। সংবাদ মাধ্যম যখন অনেক ‘সত্য’প্রকাশ করতে চায় না সোশ্যাল মিডিয়া তখন বিনা দ্বিধায় সেসব তথ্য প্রকাশ করতে পারে। একই সঙ্গে এর দূর্বল দিক হলো এ প্লাটফর্মের মাধ্যমে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই ভুল তথ্য ছড়িয়ে পড়ে যা প্রাণঘাতী দাঙ্গারও রুপ নিয়েছে বাংলাদেশে।
×