স্টাফ রিপোর্টার ॥ প্রকাশিত গেজেটের কারণে, নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃংখলা বিধিমালায় বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বলে কিছু নেই বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, এখন থেকে বিচারকদের চাকরি বাঁচাতে সরকারের সব অন্যায় আবদার শুনতে হবে। বলে জানিয়েছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেন, এখন নি¤œ আদালতের বিচারকরা সরকারের হুকুমে মানতে বাধ্য হবেন। এর ফলে বিচারকরা সবসময় আতঙ্কে থাকবেন এবং নির্বাহী বিভাগের অন্যায় আবদার শুনতে হবে। এতে ন্যায়বিচার কালেরগর্ভে হারিয়ে যাবে। বুধবার দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টন বিএনপি কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, মাসদার হোসেন মামলায় বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণ নিয়ে সুপ্রিমকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছিলেন নি¤œ আদালতের বিচারকদের শৃংখলা বিধিমালা তার পরিপন্থী। এমনকি সংবিধানেরও পরিপন্থী। এ শৃংখলাবিধির কারণে প্রশাসন থেকে বিচার বিভাগকে পৃথকীকরণের মৃত্যু ঘটেছে। এতে বিচার বিভাগের স্বাধীনতা বিঘ্নিত হবে।
রিজভী বলেন, বিচারিক আদালত সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠান। গণপ্রজাতন্ত্রের কর্মচারি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত করার উদ্দেশে নির্বাহী বিভাগ এখন বিচার বিভাগকে নিরঙ্কুশভাবে নিয়ন্ত্রণ করবে। ফলে সরকারের হুকুমেই নি¤œ আদালতের বিচারকদের চলতে হবে।
আওয়ামী লীগকে ভোটে হারানোর মতো দল দেশে আর নেই বলে সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয়ের এমন বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় রিজভী বলেন, এই মনোভাবকে বলা হয় ফ্যাসিষ্ট মনোভাব। যা বহুদলীয় গণতন্ত্র, সুশাসন ও মানুষের নাগরিক অধিকারকে কুঠারাঘাত করার সামিল।
বিএনপির মুখপাত্র রুহুল কবির রিজভী বলেন, ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন নির্বাচনের আগেও প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা জরিপ প্রকাশ করে বলেছিলেন, আমার কাছে তথ্য আছে আওয়ামী লীগই জিতবে। এবারও তার বক্তব্যে আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে আরেকটা নীল নকশার লক্ষণ দেখা যাচ্ছে।
ছাত্রলীগ স্কুল পর্যায়ে কমিটি ঘোষণা করে শিক্ষার্থীদের মধ্যে হানাহানি ছড়িয়ে দিয়েছে মন্তব্য করে রিজভী বলেন, দু’দিন আগে মৌলভীবাজারে ছাত্রলীগের অভ্যন্তরীণ কোন্দলে খুন হয়েছেন শাবাব ও মাহী নামে দুই স্কুল শিক্ষার্থী। এদের পরিবারে চলছে এখন শোকের মাতম। ক্ষমতাসীনরা দেশব্যাপী সন্ত্রাসের পরিকাঠামো নির্মাণের জন্য স্কুল পর্যায়ে কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে। উচ্চ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো ধ্বংস করে তারা এখন মাধ্যমিক পর্যায়েও ছাত্রলীগের কমিটির নামে শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করে গোটা জাতিকে পঙ্গু করার পরিকল্পনা করেছে।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা আতাউর রহমান ঢালি, আব্দুস সালাম, প্রকাশনা বিষয়ক সম্পাদক হাবিুল ইসলাম হাবিব, স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সম্পাদক মীর সরাফত আলী সফু, প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক এবিএম মোশাররফ হোসেন, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুস সালাম আজাদ প্রমুখ।
