ঢাকা, বাংলাদেশ   বৃহস্পতিবার ২৫ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার সব মন্ত্রণালয়ের

প্রকাশিত: ০৭:৪৩, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে সমন্বিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার সব মন্ত্রণালয়ের

স্টাফ রিপোর্টার ॥ দেশের পুষ্টি পরিস্থিতি উন্নয়নে সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয় সমন্বিতভাবে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে। মঙ্গলবার রাজধানীর বিয়াম মিলনায়তনে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম-পরিকল্পনা অবহিতকরণ সভায় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের আহ্বানের প্রেক্ষিতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী ও প্রতিমন্ত্রীরা এ অঙ্গীকার করেন। ২০১৬ থেকে ২০২৫ সালের মধ্যে বাস্তবায়নের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করে দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হয়েছে। স্বাস্থ্য মন্ত্রণাালয় এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী। কৃষিমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রায় ৪৫ বছর আগে জনগণের পুষ্টি নিশ্চিত করার কথা বলেছিলেন। তাকে সপরিবারে হত্যার পর রাষ্ট্রীয় দায়িত্ব পালনকারী কোনো সরকারই এ বিষয়ে গুরুত্ব দেয়নি। প্রথমবারের মতো ক্ষমতায় গিয়ে ১৯৯৭ সালে শেখ হাসিনা পুষ্টি কার্যক্রম শুরু করে। পরবর্তীতে বিএনপি-জামায়াত জোট সরকার ক্ষমতায় গিয়ে তা বন্ধ করে দেয়। আওয়ামী লীগের বাইরে বিভিন্ন সময়ে রাষ্ট্র পরিচালনায় থাকা সরকারের সমালোচনা করে মতিয়া চৌধুরী বলেন, জিয়া, এরশাদ থেকে শুরু করে খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে রাষ্ট্র পরিচালনাকারী সরকারগুলো পুষ্টি কার্যক্রমে হাত দেয়নি। কারণ জনগণের প্রতি তাদের কোনো দায়িত্ববোধ নেই। তারা মনে করেনÑমানুষ সচেতন হলে অধিকার চাইবে, সে কারণেই এমন মনোভাব। দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি পরিকল্পনাকে একটি জাতীয় দলিল আখ্যায়িত করে তিনি বলেন, পুষ্টি পরিকল্পনা বাস্তবায়ন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অঙ্গীকার। এ কাজে কৃষি মন্ত্রণালয় সবসময় পাশে থাকবে। অনুষ্ঠানে মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী মেহের আফরোজ চুমকি বলেন, পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়ন হলে নারী ও শিশুরা বেশি উপকৃত হবে। শিশুরা অবুঝ এবং নারীরা উপার্জনক্ষম না হওয়ার কারণে সমাজ ও পরিবার তাদের জন্য অর্থ ব্যয়ে কৃপণতা দেখায়। এ অবস্থায় রাষ্ট্র নারী ও শিশুদের জীবনমান উন্নয়নের পদক্ষেপ নিয়েছে। মহিলা ও শিশুবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ কাজে পাশে থাকবে বলে অঙ্গীকার করেন তিনি। সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী নুরুজ্জামান আহমেদ দ্বিতীয় জাতীয় পুষ্টি কর্ম পরিকল্পনা বাস্তবায়নের একসঙ্গে কাজ করা অঙ্গীকার করেন। অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্যমন্ত্রী মোহাম্মদ নাসিম বলেন, পুষ্টি কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত সংশ্লিষ্ট সব মন্ত্রণালয়কে একসঙ্গে পাওয়া যায় না। পুষ্টি কার্যক্রমে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় নেতৃত্ব দিচ্ছে। বিভিন্ন সভায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, সচিব ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের সভায় অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানালেও তারা আসতে চায় না। এটি হতে পারে না। পুষ্টি পরিস্থিতির উন্নয়নে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে যে কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হয়েছে, তাতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করতে হবে।
×