ঢাকা, বাংলাদেশ   বুধবার ২৪ এপ্রিল ২০২৪, ১১ বৈশাখ ১৪৩১

নীলফামারীতে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

প্রকাশিত: ০৬:২৮, ১৩ ডিসেম্বর ২০১৭

নীলফামারীতে খেলতে গিয়ে নিখোঁজ শিশুর লাশ উদ্ধার

স্টাফ রিপোর্টার, নীলফামারী ॥ বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে সোমবার বিকেলে নিখোঁজ হয় সাত বছরের শিশু জাহিদ হোসেন। নিখোঁজের ১৫ ঘণ্টা পর মঙ্গলবার সকাল ৭টায় শিশুটির মরদেহ পাওয়া গেল ডিমলা উপজেলা সদর ইউনিয়নের বাবুরহাট গ্রামের শ্মশানঘাটের একটি লিচু বাগানে। খবর পেয়ে পুলিশ শিশুটির মরদেহ উদ্ধার করে। শিশুটিকে গলায় দড়ি পেঁচিয়ে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে বলে পুলিশ ধারণা করছে। পুলিশ জানায়,উপজেলার বালাপাড়া ইউনিয়নের দক্ষিণ সুন্দরখাতা গ্রামের আসাদ আলী ও জুলেখা বেগমের ছেলে শিশু জাহিদ। মা-বাবার মধ্যে ৫ বছর আগে বিয়েবিচ্ছেদ ঘটে। বিয়েবিচ্ছেদের পর জুলেখা তার ছেলেসহ ডিমলা সদরের বাবুরহাট শ্মশানেরপাড় গ্রামে বাবা মৃত কালু মাহমুদের বাড়িতে ওঠে। এখানে জুলেখা তার মা আলিমন বেওয়া ও ভাই আলিমুদ্দিনের সংসারে থাকত। আড়াই বছর আগে জুলেখা বেগম দ্বিতীয় বিয়ে করে আলমগীর হোসেন নামের এক যুবককে। স্বামীসহ জুলেখা মায়ের বাড়ির আধাকিলেমিটার অদূরে বাবুরহাট গ্রামে বসবাস করলেও তার সন্তান জাহিদ নানি ও মামার বাড়িতেই থাকত। এ অবস্থায় শিশুটি পরিকল্পিতভাবে হত্যার শিকার হলো। শিশুটির নানি আলিমন বেওয়া জানায়, নাতি জাহিদ তার কাছেই থাকত। মাঝে মাঝে সে দিনেরবেলা তার মায়ের সঙ্গে দেখা করে দিনেই ফিরে আসত। কোনদিন মা ও সৎ বাবার বাড়িতে রাতে ছিল না জাহিদ। কারণ সৎ বাবা জাহিদকে দেখতে পারত না। তিনি জানান সোমবার বিকেলে বাড়ির সামনে খেলতে খেলতে জাহিদ নিখোঁজ হয়। তাকে খুঁজতে বের হন তিনি। এক পর্যায় হায়দার নামে এক ব্যক্তি জানায় শিশু জাহিদ তার মার সঙ্গে দেখা করতে গেছে। রাতেই তিনি জুলেখার বাড়িতে ছুটে যান। কিন্তু সেখানেও জাহিদ যায়নি। এরপর নাতিকে না পেয়ে ফিরে আসেন বাড়িতে। রাতে আবারও তিনি দিনমজুর ছেলে আলিমুদ্দিনকে নিয়ে বিভিন্নস্থানে জাহিদকে খুঁজে পাননি। এরপর সকাল ৭টার দিকে খবর পান গ্রামের অদূরে একটি লিচুবাগানে নাতি জাহিদের লাশ পড়ে আছে। হবিগঞ্জে যুবক নিজস্ব সংবাদদাতা হবিগঞ্জ থেকে জানান, মঙ্গলবার বিকেলে হবিগঞ্জ সদর উপজেলাধীন ধুলিয়াখাল বাইপাস সড়কের পাশ থেকে খলিল মিয়া (৩৫) নামে এক ব্যক্তির মৃতদেহ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহত ব্যক্তি সংশ্লিষ্ট এলাকার একটি বাগানের গাছের সঙ্গে ঝুলন্ত ছিল। সে আরজু মিয়ার পুত্র। পুলিশ ও এলাকাবাসীর প্রাথমিক ধারণা, শত্রুতার জের ধরেই হয়তবা কেউ খলিলকে হত্যার পর গাছে ঝুলিয়ে রেখেছে।
×